মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রবার্ট কেনেডি জুনিয়র রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসনকে বলেছেন, জৈবিক অস্ত্র তৈরির বিষয়ে পেন্টাগনের কর্মসূচির কাঠামোর মধ্যে ইউক্রেনে জৈব গবেষণাগার তৈরি করা হয়েছে।

কেনেডি জুনিয়র বলেন, ‘আমাদের ইউক্রেনে বায়োল্যাব আছে কারণ আমরা জৈব অস্ত্র তৈরি করছি।’ ‘এ জৈব অস্ত্রগুলি সব ধরণের নতুন সিন্থেটিক বায়োলজি এবং সিআরআইএসপিআর প্রযুক্তি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশলগুলি ব্যবহার করছে যা পূর্ববর্তী প্রজন্মের কাছে উপলব্ধ ছিল না,’ তিনি কার্লসনের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন যা এক্স সোশ্যাল নেটওয়ার্কে (পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত) পোস্ট করা হয়।

‘যখন প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট ২০০১ সালে বায়োল্যাবস অস্ত্র প্রতিযোগিতা পুনরায় চালু করে, তখন পেন্টাগন জৈব অস্ত্রে প্রচুর অর্থ লাগাতে শুরু করে,’ কেনেডি জুনিয়র যোগ করেছেন। ‘তবে তারা তখন নার্ভাস ছিল কারণ আপনি যদি জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন করেন তবে এটি একটি ফাঁসির অপরাধ,’ তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন।

‘সুতরাং তারা প্রকৃতপক্ষে জৈব অস্ত্রের বিকাশে পূর্ণ শক্তি নিয়ে যেতে নার্ভাস ছিল। তাই তারা এইচএইচএস (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস)-এর একটি সংস্থার কাছে বায়োসিকিউরিটির কর্তৃত্ব হস্তান্তর করেছে,’ রাজনীতিবিদ যোগ করেছেন। ‘কিন্তু এখন, যখন আপনি জৈব অস্ত্র তৈরি করেন, প্রতিটি জৈব অস্ত্র, এটির জন্য ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হয় যাতে আপনি তাদের পাশাপাশি বিকাশ করেন কারণ ১০০ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনি যখন একটি জৈব অস্ত্র স্থাপন করেন, তখন ব্লোব্যাক হয়। আপনার পক্ষও অসুস্থ হয়ে পড়ে,’ তিনি উপসংহারে বলেছিলেন।

এপ্রিলের মাঝামাঝি, একটি রাশিয়ান সংসদীয় কমিশন ইউক্রেনে মার্কিন পরিচালিত বায়োল্যাবগুলোর কার্যক্রমের তদন্তের বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। নথি অনুসারে, পেন্টাগনের সামরিক জৈবিক কর্মসূচি বড় আকারে বেড়েছে, যা জৈবিক অস্ত্র কনভেনশন দ্বারা অনুমোদিত সন্ত্রাসবিরোধী প্রকল্প এবং কার্যকলাপের আড়ালে বাস্তবায়িত হচ্ছে। কমিশন আরও উল্লেখ করেছে যে মার্কিন নিয়ন্ত্রিত সমস্ত গবেষণাগারের কার্যক্রমে পেন্টাগন বিশেষজ্ঞরা জড়িত। যাইহোক, তাদের কাজ গোপনীয় এবং আয়োজক দেশগুলির সরকারী সংস্থাগুলো কাছে শুধুমাত্র মাধ্যমিক গবেষণার অ্যাক্সেস আছে। সূত্র: তাস।