বৃষ্টি ও ভূমিধসে বিধ্বস্ত ভারতের হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ড, নিহত ৮১
১৮ আগস্ট ২০২৩, ০৮:২৮ এএম | আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৩, ০৮:২৮ এএম
ভারতের হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পাশাপাশি এবার হড়পা বানে বিপর্যস্ত পাঞ্জাব অঞ্চল। হিমালয়ের দুই রাজ্যের পাশাপাশি গত কয়েক দিন ধরেই উত্তর ভারতের এই রাজ্যে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। তার জেরে রাজ্যের হোসিয়ারপুর, গুরুদাসপুর ও রূপনগর-সহ বেশ কিছু জেলায় হড়পা বান নেমে আসে। তার সঙ্গে পং এবং ভাকরা বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি ছাড়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। তবে উদ্ধার এবং ত্রাণকাজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।
অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে গত কয়েক দিনের বৃষ্টি, ধস এবং বন্যা পরিস্থিতির জেরে ইতোমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়েছে। শুধু হিমাচলেই বুধবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। তবে এই দুই রাজ্যে বৃষ্টি এখনই থামবে না বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। আগামী কয়েক দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা। হিমাচলের মুখ্যসচিব ওঙ্কারচাঁদ শর্মা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, “গত তিন দিনে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ জন নিখোঁজ আছে। রোববার রাত পর্যন্ত ৫৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।”
রোববার থেকে হিমাচলে বৃষ্টির তাণ্ডব বেড়েছে। শিমলা-সহ রাজ্যের বেশির ভাগ জেলায় মুহুর্মুহু ধস নেমেছে। রাজধানী শিমলায় তিনটি এলাকা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধসের কারণে। সেগুলো হলো, সামার হিল, ফাগলি এবং কৃষ্ণনগর। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তথ্য বলছে, গত ২৪ জুন থেকে বর্ষার এই মওসুমে হিমাচলে ২১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৮ জন নিখোঁজ আছে। ডেপুটি কমিশনার নিপুণ জিন্দল জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কাংড়া জেলার ইন্দোরা এবং ফতেহপুর থেকে ১,৭৩১ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, উনা, হামিরপুর বিলাসপুর, কাংড়া, মান্ডি, শিমলা, সোলান ও সিরমুরে আগামী দু’দিন ধরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে।
শিমলার আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তা সুরেন্দ্র পাল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, এ বছর জুলাইয়ে হিমাচলে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা গত ৫০ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই মওসুমে গত ৫৪ দিনে ৭৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে এ রাজ্যে। উত্তরাখণ্ডের নৈতিতাল, চম্পাবত, উধম সিংহ নগর, দেহরাদূন, টিহরী, পৌড়ী এবং আলমোড়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার দেহরাদূনের বিকাশনগর তহসিলের লাঙ্ঘা জাখান গ্রামে ১৫টি বাড়ি ধসে গেছে। তবে আগে থেকেই বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়ায় বড় বিপদ এড়ানো গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া এ ধসের কারণে বন্ধ আছে পৌড়ী-কোটদ্বার-দুগাড্ডা জাতীয় সড়ক। পিপলকোটির কাছে হৃষীকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের বিশাল অংশ হড়পা বানে ভেসে গেছে।
সূত্র : এবিপি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুয়েল গ্রেফতার
বিচারবিভাগ নিয়ে আজ রোডম্যাপ দেবেন প্রধান বিচারপতি
নেছারাবাদে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার নিহতদের স্মরণে বিএনপির আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল
নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চায় চীন: শি জিনপিং
পতিত স্বৈরাচারের দোষর মিডিয়া আর স্বার্থান্বেষী মহল পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে
পাকিস্তান-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টও মুলতানে
৭০টির বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সিআইআইই-তে অংশ নেবে
সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে আজ প্রতিনিধিদল যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে
৩ হাজার কয়েদির সাজা মওকুফ অথবা হ্রাস করতে যাচ্ছে ইরান
অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর শ্রীলংকায় প্রথম নির্বাচন আজ
জুনে ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন ১৭ শতাংশ কমেছে
রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
গারো পাহাড়ের বালু খেকোদের বিরুদ্ধে এসিল্যান্ডের সতর্কবার্তা
রেকর্ডের মালা গেঁথে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়
মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?
টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক
ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার
মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি