ঢাকা   মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২ আশ্বিন ১৪৩১

শরণার্থী বাড়ায় জার্মানিতে আশ্রয়ের অধিকার নিয়ে বিতর্ক

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৭ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৪৮ পিএম | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৪৮ পিএম

 

 

 

জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন বাড়তে থাকায় কয়েকজন রাজনীতিবিদ আবেদনের সংখ্যা সীমিত করা বা আবেদন করার অধিকার একেবারে বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে জার্মান সংবিধানে আশ্রয়ের অধিকারের কথা বলা আছে।

 

বিরোধী দল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী পার্টি সিডিইউর শীর্ষস্থানীয় নেতা ইয়েন্স স্পান সম্প্রতি বলেন, ‘সম্পূর্ণ অনিয়ন্ত্রিত আশ্রয়-অভিবাসন থেকে জার্মানির বিরতি দরকার।’ তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বা সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের ইন্টিগ্রেট করতে সময় ও সম্পদ লাগে। সেটা ভালোভাবে করা তখনই সম্ভব যদি অতিরিক্ত আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে যায়।’

 

জাতিসংঘের হিসেবে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে শরণার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন বাড়ছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত এক লাখে ৭৫ হাজার ২৭২ জন জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। গতবছরের একই সময়ের তুলনায়এই সংখ্যা প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি। সিরিয়া, আফগানিস্তান ও তুরস্কের মানুষেরা বেশিরভাগ আবেদন করেছেন। ২০২২ সালের তুলনায় এ বছর তুর্কিদের আবেদন প্রায় তিন গুণ বেড়েছে।

 

বর্তমান জোট সরকারের নেতৃত্ব দেয়া দল সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি পার্টির সাবেক প্রধান সিগমার গাব্রিয়েল জার্মানির আরএনডি মিডিয়া গোষ্ঠীকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আশ্রয়ের অধিকার বাতিলের পক্ষে মন্তব্য করেছেন। এদিকে, জার্মানির অভিবাসনবিরোধী দল এএফডি ২০১৫ সাল থেকেই আশ্রয়ের অধিকার বাতিলের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই দলের প্রতি সমর্থন বেড়েছে। সবশেষ জরিপ অনুযায়ী, জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম দল এখন এএফডি।

 

জার্মানি বিশ্বের কয়েকটি দেশের একটি যার সংবিধানে এমন অধিকারের কথা বলা আছে। ১৬এ ধারা বলছে, ‘রাজনৈতিকভাবে নির্যাতিত ব্যক্তিদের আশ্রয়ের অধিকার রয়েছে।’ তবে ১৯৯৩ সালে এই ধারা সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এই ধারা বলছে, একজন মানুষ তখনই জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করতে পারবেন যদি তিনি তথাকথিত নিরাপদ তৃতীয় দেশের মাধ্যমে না আসেন।

 

গত জুলাইতে সিডিইউর সাংসদ টর্স্টেন ফ্রাই একজন ব্যক্তির আশ্রয়ের অধিকার বাতিলের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এর পরিবর্তে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মাধ্যমে প্রতিবছর তিন থেকে চার লাখ শরণার্থী ঠিক করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রস্তাব করেছিলেন। তবে জার্মানির বর্তমান জোট সরকার এই অধিকার বাতিল সমর্থন করবে বলে মনে হয় না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্যাজা বুধবার স্পিগেল ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘আমি একজন ব্যক্তির আশ্রয়ের অধিকার বাতিলের একেবারে বিপক্ষে।’

 

‘অভিবাসন সীমিত করার জন্য মানবাধিকার স্থগিত করা’ একটি ‘সমাধান’ হতে পারে না বলে ভেল্ট সংবাদপত্রকে বলেছেন জোটসঙ্গী সবুজ দলের অভ্যন্তরীণ নীতি বিষয়ক মুখপাত্র লামিয়া কাদ্দোর। তবে জার্মান সরকার নতুন শরণার্থী আসার সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে। সেজন্য তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয় আইন সংস্কারের পক্ষে চেষ্টা চালাচ্ছে। জার্মানি চাইছে, যাদের আশ্রয় আবেদন অনুমোদন পাওয়ার সুযোগ কম তাদেরকে যেন ইইউ সীমান্তের বাইরে থেকেই পাঠিয়ে দেয়া সম্ভব হয়। তাহলে জার্মানিতে আশ্রয়প্রার্থী আসার সংখ্যা কমবে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা