কঙ্গোতে গির্জায় প্রার্থনারত মানুষের ওপর হামলা, নিহত ১৪
২৯ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৫০ এএম | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৫০ এএম
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) গির্জায় সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। গত রোববার দেশটির পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি গির্জায় এই হামলা হয় এবং হামলার সময় বহু মানুষ সেখানে প্রার্থনা করছিলেন।
অবশ্য নিহতদের মধ্যে কয়েকজন হামলাকারীও রয়েছে। আফ্রিকার এই দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও কঙ্গোর পূর্বাঞ্চল বছরের পর বছর ধরে ক্রমাগত সহিংসতার মধ্যে রয়েছে এবং রোববারের এই হামলা ও প্রাণহানি ধারাবাহিক অস্থিতিশীলতারই সর্বশেষ ঘটনা।
রয়টার্স বলছে, রোববার কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ইতুরিতে গির্জায় প্রার্থনারত উপাসকদের ওপর মিলিশিয়া হামলার পর অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের এক নেতা সোমবার জানিয়েছেন।
ডজুগু অঞ্চলের প্রশাসক রুফিন মাপেলা এবং নাগরিক সমাজের নেতা ডিউডোন লোসা বলেছেন, দ্য কোঅপারেটিভ ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব কঙ্গো (কোডেকো) গ্রুপ এই হামলার পেছনে রয়েছে।
লোসা বলেছেন, ‘নিহত ব্যক্তিরা ঘটনার দিন গির্জায় উপস্থিত হয়ে তাদের প্রভুর কাছে প্রার্থনা করছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোডেকো হিসাবে চিহ্নিত মিলিশিয়ারা তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে ও হামলা চালায়।’
উভয়েই বলেছেন, নিহত ১৪ জনের মধ্যে ৯ জন বেসামরিক নাগরিক, ৪ জন হামলাকারী এবং একজন সৈন্য রয়েছেন। মাপেলা বলেন, বাহেমা-নর্ড চিফডমে লেক অ্যালবার্টের তীরে অবস্থিত মেসা, সেপ্যাক এবং অমোপ্রো গির্জাগুলোতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
ইতুরি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জুলেস এনগোঙ্গো শিকুদি স্থানীয় জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কঙ্গোতে যে কয়েকটি সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠী রয়েছে, তার একটি হচ্ছে কোডেকো। কঙ্গোর খনিজ-সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলীয় ভূখণ্ড ও সম্পদের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে মিলিশিয়ারা। এই সংঘাতে গত এক দশকে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এর আগে ব্যাপক মিলিশিয়া সহিংসতা রোধ করার লক্ষ্যে কঙ্গোর সরকার ২০২১ সালে নর্থ কিভু এবং ইতুরিতে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু হত্যাকাণ্ড ও বিদ্রোহী তৎপরতা কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।
অবশ্য ২০ বছরের বেশি সময় ধরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা মোতায়েন রয়েছে কঙ্গোতে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দিল্লিতে দূষণ-কুয়াশার কারণে ভ্রমণ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত ,যাত্রীদের ভোগান্তি
বাগেরহাটে লখপুর গ্রুপের কর্মহীন শ্রমিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
নিকলীতে দশ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
‘গণঅভ্যুত্থানে আহত ১১ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে, আরও যাবেন ২৮ জন’
১০ কোটিতে মাল্টার পাসপোর্ট নেওয়ার চেষ্টা টিউলিপের চাচীর
জামিন বাতিল করে সাদপন্থিদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি
পাকিস্তানকে ছেড়ে ভারতের দিকে ঝুঁকছে তালেবান?
টাঙ্গাইলে জিয়া মঞ্চে ৩১ দফা নিয়ে লিফলেট বিতরণ
পলাতক ওসিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারি, অভিযানে সেনাবাহিনী-পুলিশ-র্যাব
কানাডার লিবারেল পার্টি ৯ মার্চ নতুন নেতা নির্বাচন করবে
স্বৈরাচারের সহযোগীদের রাজনৈতিক দলে ঢোকালে প্রতিরোধ করা হবে : ড. রিপন
দশ বছর পর ফের পুরষ্কৃত মালালা, ফিরছেন পাকিস্তান
ভারতে এক মাসে এক গ্রাহক পেলেন ২১০ কোটির বিদ্যুৎ বিলের কপি
সাতক্ষীরায় ইজিবাইকের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে কিশোরী নিহত
সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী জনগণ, রাজনৈতিক দলের কোনো ভূমিকা নেই
চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, মৃদু শৈত্য প্রবাহের কবলে গোট জেলা
খলনায়ক এআই, একধাক্কায় বেকার হতে চলেছেন ২ লাখ কর্মী
মক্কায় বন্যার পানিতে ভেসে গেল গাড়ি, ৪ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানে অস্ত্রের মুখে ১৭ সরকারি কর্মীকে অপহরণ
যুক্তরাষ্ট্রে দাবানল নেভানোর কাজে এবার নামানো হলো কারাবন্দিদের