নতুন করে উত্তপ্ত মণিপুর, নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত দুই
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:০২ পিএম | আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:০২ পিএম
শুক্রবার নতুন করে উত্তপ্ত ভারতের মণিপুর রাজ্য। সরকারি একটি সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলি বিনিময়ে নিহত হয়েছেন অন্তত দু’জন। আহত ৫০ জনেরও বেশি। মণিপুরের কাকচিং এবং তেঙ্গনৌপালে এই সংঘর্ষ হয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে ফের ওই এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা নাগাদ আসাম রাইফেলসের সদস্য এবং স্থানীয়দের মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয়। মহিলারা পথ অবরোধ করেন। স্থানীয়দের নিয়ন্ত্রণ করতে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সূত্রের খবর, সংঘর্ষে কয়েক জন নিরাপত্তা রক্ষীও আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় কুকি এবং মেইতেইরা একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে।
কুকিদের দাবি, মেইতেইরা সেনার পোশাক পরে পাল্লেলে হামলা চালায়। গ্রামের লোকজন প্রাণে বাঁচতে সেনা ছাউনিতে আশ্রয় নেন। তাদের আরও দাবি, এই ঘটনায় এক জন নিরাপত্তারক্ষী এবং কুকি সম্প্রদায়ের এক জন প্রাণ হারান। ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডার ফোরামের মুখপাত্র গিনজা ভুয়ালজং জানিয়েছেন, সেনার উর্দি পরা ছ’জন মেইতেইয়েরও মৃত্যু হয়েছে। পাল্লেলে কুকি এবং মেইতেইদের শান্তিচুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তিভঙ্গ করেছে মেইতেইরা।
মেইতেইদের আবার দাবি, উপজাতি গোষ্ঠীর লোকজনই প্রথম গুলি চালায়। দু’জন মেইতেইয়ের বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। তাদের দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছে কুকি-সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠীর প্ররোচনা। দু’দিন আগে গত বুধবার মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় কারফিউ অমান্য করে, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে মেইতেইদের নাগরিক অধিকার সংগঠন কোকোমির সদস্যেরা। মিছিল ঠেকাতে এবং জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রবার বুলেট ছোড়েন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর পর শুক্রবার ফের উত্তপ্ত হয় মণিপুর।
গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। সূত্র: টিওআই।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার
উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস
শুল্ক-কর বাড়ানোর অধ্যাদেশ প্রত্যাহার দাবি নাগরিক কমিটির
আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত দাবিতে টঙ্গীতে বিক্ষোভ মিছিল
বন্দরে সাবেক কাউন্সিলর আ. লীগ নেতা সিরাজকে সমাজচ্যুত ঘোষণা
ফ্যাসিবাদের দরজা বন্ধ ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় -ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
‘নির্দোষ প্রমাণে ব্যর্থ হলে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে নেবো’
ড. ইউনূসের পাঁচ মামলা বাতিলে কোনো আইনি দুর্বলতা নেই
কেরানীগঞ্জে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই ঘাতক বন্ধু গ্রেফতার
৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ কর্মকর্তার পদায়ন