ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া মহামারীর নেপথ্যে জলবায়ু বদল?
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম
জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বাড়ছে মশাবাহিত রোগ। এই নিয়ে এবার সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে এশিয়ার ক্রান্তীয় এলাকা থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ ছড়িয়ে পড়ছে ইউরোপ ও আমেরিকার নাতিশীতোষ্ণ এলাকাতেও। সাম্প্রতিক গবেষণায় মিলেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
চলতি বছরের অগাস্টে জলবায়ু পরিবর্তন, বনাঞ্চল ধ্বংস ও নগরায়ণ সংক্রান্ত একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ্য করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেখানেই গত কয়েক দশকে বিশ্বব্যাপী মশাবাহিত রোগ ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সালে বিশ্বে মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ লাখ। ২০১৯-এ যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ লাখ ২০ হাজার। ২০২২-এ কোভিড মহামারী শুরুর পর থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়াতে আক্রান্তে সংখ্যা কমবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। উলটে সংক্রমিত সংখ্যা দিনকে দিন আরও বেড়েছে।
উল্লেখ্য, গবেষণা রিপোর্টে একটি সতর্কবার্তাও দেয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হবে। সেক্ষেত্রে বছরে মশাবাহিত রোগে সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০ থেকে ৪০ কোটি। কারণ, অতি সাধারণ ভাইরাল ইনফেকশানও মশার মাধ্যমে মানবদেবে দ্রুত ছাড়াচ্ছে। ‘বর্তমান সময়ে, ১২৯টি দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা রয়েছে। শতাধিক দেশে এটি মহামারীর আকার নিতে পারে। কারণ মশাবাহিত রোগকে কোনও দেশই সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না।’ গত অগাস্টে জেনেভায় হওয়ায় একটি সম্মেলনে বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা রমন ভেলায়ুধন।
বিশ্বের কোন কোন দেশে দ্রুত ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু? এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তের ভেলায়ুধন বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকায় বিস্তীর্ণ এলাকায় মশাবাহিত রোগে সংক্রমিত সংখ্য ও মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। এর মধ্যে তিনটি দেশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেগুলি হল বলিভিয়া, পেরু ও প্যারাগুয়ে।’ মশাবাহিত রোগবৃদ্ধির কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। তাদের যুক্তি, এর জেরে নাতিশীতোষ্ণ এলাকার তাপমাত্রা বেড়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা। মশার বংশবৃদ্ধির পক্ষে এটা আদর্শ পরিবেশ।
গবেষকদের কথায়, ‘আগে মনে করা হত, শীতল ও আর্দ্র আবহাওয়ায় মশা বেশি জন্মায়। এখন দেখা যাচ্ছে, শুষ্ক ও গরম পরিবেশেও দিব্যি বংশবৃদ্ধি করতে পারছে মশা। আবহাওয়া শুষ্ক থাকলে মশা বেশ তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে। মানুষের মতো মশার দেহে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। ফলে শুষ্ক এলাকায় রক্তপানের জন্য মশা বেশি করে মানুষকে কামড়ায়।’
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ অফিসার নিহত অপর এক ঘটনায় নিহত ২
আখাউড়ায় রেলওয়ের জায়গা থাকা ৪০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে হত্যা মামলায় আরও একজনসহ গ্রেপ্তার ৬
সাধ্যের বাইরে গিয়ে মা-বাবার চাহিদা পূরণ করা প্রসঙ্গে?
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন
ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে শীর্ষ দুয়ে ইরান
জাইসের লেন্সের জয়জয়কার, স্মার্টফোনেও দুর্দান্ত
সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু
আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক
যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার
গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান
সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’
বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল
১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে