নাগারনো-কারাবাখে চলবে আজারবাইজানের সামরিক অভিযান : ঘোষণা প্রেসিডেন্টের

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:২৪ পিএম | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:২৪ পিএম

 

 

 বিরোধপূর্ণ নাগারনো-কারাবাখে সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে নিজেদের পাহাড়ি ছিটমহল কারাবাখে পূর্ণমাত্রার হামলা চালানো শুরু করে আজারি সেনাবাহিনী। তারা দাবি করে সেখানে, ‘সন্ত্রাস বিরোধী’ অভিযান চালানো হচ্ছে। -আল জাজিরা

তবে প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ সঙ্গে এও জানিয়েছেন, সেখানকার সন্ত্রাসীরা যদি অস্ত্র ফেলে দেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযান বন্ধ করে দেবেন তিনি। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) আজারি প্রেসিডেন্টকে ফোন করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এই ফোন কলেই ব্লিঙ্কেনকে তিনি জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত সেখানকার সন্ত্রাসীরা অস্ত্র ফেলে না দেবে ততক্ষণ হামলা অব্যাহত থাকবে।

আন্তর্জাতিকভাবে নাগরনো-কারাবাখ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ আজারবাইজানের অংশ। তবে সেখানে বসবাস করেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী জাতিগত আর্মেনিয়ানরা। আজারবাইজানের অভিযোগ প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়ার সহযোগিতা নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে নিজেদের সংঘটিত করছিল সেখানকার বাসিন্দারা।

আজারবাইজান আরও জানিয়েছে, নাগোরনো-কারাবাখে গত ৯ সেপ্টেম্বর কথিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এছাড়া আর্মেনিয়ার সহায়তা নিয়ে সেখানে মাইন পোঁতা হচ্ছিল। এসব কার্যক্রম থামাতেই বাধ্য হয়ে সামরিক অভিযান শুরু করতে হয়েছে তাদের। এই নাগারনো-কারাবাখ নিয়ে ১৯৯০ সাল ও ২০২০ সালে দুইবার যুদ্ধ করেছিল আর্মেনিয়া-আজারবাইজান। ৯০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হওয়ার পরই এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

সেখানে যেসব জাতিগত আর্মেনিয়ান বসবাস করেন তাদের দাবি, এই অঞ্চলটিতে প্রাচীন আমল থেকেই তাদের বংশধরেরা রয়েছে। অপরদিকে আজারবাইজানের দাবি ঐতিহাসিকভাবে এই ছিটমহলটি তাদেরই। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, আজারবাইজানের মূল উদ্দেশ্য হলো এখন নাগারনো-কারাবাখের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা। এরপর জাতিগত আর্মেনিয়ানদের আজারি পাসপোর্ট দেওয়া। আর যেসব আর্মেনিয়ান আজারি পাসপোর্ট নেবে না, তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোলরক্ষক বীরত্বে ১০ জনের ইউনাইটেড হারাল আর্সেনালকে

গোলরক্ষক বীরত্বে ১০ জনের ইউনাইটেড হারাল আর্সেনালকে

৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতদূর?

৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতদূর?

মর্গের দুই লাশের দাবিদার দুই পরিবার,

মর্গের দুই লাশের দাবিদার দুই পরিবার,

আইনজীবীকে হত্যার হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

আইনজীবীকে হত্যার হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

তথ্য থাকলেও সন্দেহজনক লেনদেনে দেরিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএফআইইউ!

তথ্য থাকলেও সন্দেহজনক লেনদেনে দেরিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএফআইইউ!

সাবেক এমপি হেনরীর ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ,

সাবেক এমপি হেনরীর ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ,

গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে উৎকণ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে উৎকণ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ

শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ

চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২

চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২

স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব

স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব

শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস

শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস

শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম

শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম

ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ

ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ

ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন

ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন

পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১

পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১

ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ

ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ

চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না

চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না

ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫

ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫

বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড

বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড