সাত দশক পর ‘ফক্স’-এর চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন রুপার্ট মারডক
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:২৬ এএম | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:২৬ এএম
থেমে গেল সাত দশকের পথ চলা। ফক্স কর্পোরেশন এবং ফক্স নিউজের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করলেন মিডিয়া ব্যারন রুপার্ট মারডক। জানা গিয়েছে তিনি এখন দুই সংস্থাতেই ‘চেয়ারম্যান এমেরিটাস’ পদে আসীন হবেন।
বৃহস্পতিবার কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে ৯২ বছর বয়সী মারডক লিখেছেন, ‘আমার পুরো পেশাগত জীবনের প্রতিটি দিনই আমি সংবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। বাকি জীবনে এর পরিবর্তন হবে না। তবে, আমাদের কাছে সত্যিই একটি প্রতিভাবান দল এবং লাচলানের মতো একজন উৎসাহী, নীতিনির্ধারক নেতা রয়েছে। তাই, এটাই আমার জন্য ভিন্ন ভূমিকা গ্রহণ করার সঠিক সময়।’ মারডক আরও জানিয়েছেন, তার জায়গায় উভয় সংস্থার একমাত্র চেয়ারম্যান হবেন তার বড় ছেলে লাচলান। বর্তমানে তিনি ফক্স কর্পোরেশনের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা পদে আছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমার বাবা দৃঢ়ভাবে স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। লাচলানও এই বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যারা স্ব-সেবাকারী আমলাতন্ত্রের উৎস এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করার সাহস রাখে, তাদের শ্বাসরোধ করাটাই আমলাতন্ত্রের লক্ষ্য। অভিজাত সমাজ, প্রকাশ্যে তাদের সমাজের তাদের বাইরের মানুষদের ঘৃণা করে। বেশিরভাগ মিডিয়া এই অভিজাতদের সহযোগী। সত্যকে অনুসরণ করার পরিবর্তে তারা রাজনৈতিক আখ্যান প্রচার করে।’
তবে, রাজনৈতিক আখ্যানের প্রচার যে মারডকের আওতাধীন সংবাদ সংস্থাগুলো করে না, তা নয়। বস্তুত, গত কয়েক দশকে ফক্স অ্যান্ড নিউজ কর্পোরেশনের নেতা হিসেবে, আমেরিকার রিপাবলিকান পার্টিতে (ট্রা্ম্প যে দলের সদস্য) তিনি যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছেন। তার আওতায় থাকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, ফক্স নিউজ চ্যানেলের মতো সংবাদমাধ্যমগুলির সম্পাদকীয় অবস্থান, ডানপন্থী বলেই পরিচিত।
তবে, মিডিয়া ব্যবসায় মারডকের জুড়ি মেলা ভার। ১৯৯৬-এ সিএনএন-এর প্রতিযোগী হিসেবেই তিনি ফক্স নিউজ চালু করেছিলেন। বর্তমানে এই চ্যানেল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক নম্বর কেবল নিউজ চ্যানেলে পরিণত হয়েছে। সামনেই ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে ফক্স কর্পোরেশন এবং ফক্স নিউজের মাথার উপর থেকে রুপার্ট মারডকের সরে যাওয়াটা মার্কিন রাজনৈতিক মহলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে, রুপার্ট মারডকের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। তার ব্যক্তিগত জীবনও অত্যন্ত রঙিন। ১৯৫৬ সালে তিনি প্রথম বিয়ে করেছিলেন প্যাট্রিসিয়া বুকারকে। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত সেই বিয়ে টিকেছিল। এরপর ১৯৬৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি আনা মারিয়া টরভের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে ছিলেন। তারপর, ১৯৯৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিল ওয়েন্ডি ডেং-এর। এই তিন বিয়ে থেকে রুপার্ট মারডকের ছয় সন্তান রয়েছে। ছয় বছর আগে তিনি ফের বিয়ে করেন। জেরি হলের সঙ্গে এই বিয়ে এখনও টিকে রয়েছে। সূত্র: বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নবনিযুক্ত সচিব ছাগলনাইয়ার সন্তান সামছু উদ্দিন
বাংলাদেশে শনাক্ত হলো 'রিওভাইরাস’, রোগটি সম্পর্কে যা জানা যায়
আন্দোলনের মুখে পাঠ্যবই থেকে বাদ পড়লো ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি
মাসের শেষে আবারো আসছে শৈত্যপ্রবাহ
বর্ষসেরা ফটোগ্রাফার হিসাবে পুরস্কার পেলেন, আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক মুগনিউর রহমান মনি
রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
বেড়া কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের অফিসিয়াল ও উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বাইডেন-নেতানিয়াহুর ফোনালাপ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা
না ফেরার দেশে নির্মাতা রায়হান রাফির বাবা
এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা, গ্রেপ্তার ২
ছাগলনাইয়ায় খালে ভাসছিল নারীর অর্ধগলিত লাশ
ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতায় ৫ দিনে গাজায় নিহত ৭০ শিশু
ঘরে বসে মাত্র ১০ দিনেই মিলবে থাইল্যান্ডের ভিসা
মিয়ানমারের কাচিনে জান্তার বিমান হামলা, শিশুসহ নিহত ১৫
আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা
দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, এবার পাশে দাঁড়াল কানাডা
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে মৃত্যু বেড়ে ২৪, ছড়িয়ে পড়ছে আরও নতুন এলাকায়
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বরখাস্ত
একযোগে ৭ শিক্ষা বোর্ড সচিব পদে রদবদল