আধার নিয়ে ঘোর আঁধারে ভারত
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫০ পিএম | আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫০ পিএম
আধার কার্ড মানে জাতীয় পরিচয়পত্র, যেমন বাংলাদেশের এনআইডি। তবে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। আগেই জানিয়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু বাস্তবে আধার নম্বরের প্রয়োজন হয় প্রতিটি ক্ষেত্রে। দেশের প্রায় সমস্ত ডিজিটল লেনদেনে আধার নম্বর যুক্ত করা বাধ্যতামূলক। আর তাতেই হয়েছে সমস্যা। আধার নম্বর থেকে খোলা বাজারে বেরিয়ে পড়েছে ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য। আর তা ব্যবহার করেই শুরু হয়েছে জালিয়াতি।
কলকাতা বিমানবন্দর থানা অঞ্চলের অধিবাসী এক নারী সম্প্রতি পাঁচ লাখ টাকা খুইয়েছেন। তিনি যে সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন, আগেই বুঝতে পেরে পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি হয়ে গেছে।
ঘটনার সূত্রপাত মাস চারেক আগে। অনলাইনে একটি জিনিস কিনে সেটা ফেরত দেন ওই নারী। এরপর কুরিয়ার সংস্থা থেকে তার কাছে ফোন আসে। বলা হয় তিনি যে পার্সেল পাঠিয়েছেন, তাতে নিষিদ্ধ জিনিস আছে। এরপর মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের নাম করেও ওই নারীর কাছে ফোন আসে। তারা ওই নারীর বহু তথ্য শেয়ার করেন। এরপর অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য তাকে ব্যাংক থেকে টাকা পাঠাতে বলা হয়।
এই নারীর ক্ষেত্রে ভয় দেখিয়ে টাকা চুরি করা হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে আধার নম্বর এবং আঙুলের ছাপ ব্যবহার হয়েছে যেখানে সেই লিংক ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। রাজ্যের আরেক ব্যক্তি ট্রেড লাইসেন্স খুলবেন বলে কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। গিয়ে দেখেন তার নামে আস্ত একটি সংস্থা তৈরি হয়ে আছে। ওই সংস্থা তার আধার নম্বর, প্যান নম্বর ব্যবহার করে ভুয়া সংস্থা খুলেছে। সংস্থার যে ঠিকানা দেয়া হয়েছ, তা-ও ভুয়া। শেষপর্যন্ত অবশ্য পুলিশ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আধারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন সুমন সেনগুপ্ত। ডয়চে ভেলেকে সুমন জানিয়েছেন, ‘আধার থেকে যে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার সুযোগ আছে, বহু বছর আগেই আমরা তা বলেছিলাম। সরকার সে সময় এসব অভিযোগ গুরুত্ব দেয়নি। মানুষ এবার সমস্যার মুখে পড়তে শুরু করেছে।’ বস্তুত, এই ঘটনাগুলির পরে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা ওঠে। সেখানে নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, ভোটার কার্ডের জন্য আধার নম্বর আর বাধ্যতামূলক নয়। ওই সংক্রান্ত দুইটি ফর্ম বাতিল করা হচ্ছে।
আধার নম্বর ডিজিটালি লক করার একটি ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অভিযোগ, বারংবার চেষ্টা করেও তা অনলাইন করা যাচ্ছে না। লিংক ফেল হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে কয়েক কোটি নাগরিকের আধার নম্বর নিরাপদ করা হবে, কীভাবে ফাঁস হয়ে যাওয়া তথ্য শনাক্ত করা হবে, কেউ তা জানে না। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
টানা ৩৫ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার জবি শিক্ষার্থীদের
খুশদিল ঝড়ে খুলনাকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল রংপুর
ভারতে পালানোর সময় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা পান্ডে গ্রেপ্তার
বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা মিয়া গ্রেফতার
লুকিয়ে পাথর লুঠে যেয়ে সিলেটে এক শ্রমিকের মৃত্যু !
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানকে কার্যালয় থেকে বের করে দিয়ে তালা!
খুলনা-পাইকগাছা মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
‘১০ দিনের ট্রেনিং করে ১ কোটি লোক যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত’
বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য শেরপুর বিএনপির মিছিল
রায়পুরায় জমির আইল নিয়ে মারামারি, আহত ৪
স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়লেন জেসুস
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল জাপান, সুনামির সতর্কতা
‘আমার কি সর্বনাশ হইয়া গেল রে, আমার সোনা হারায় গেল রে'!
ভাঙ্গায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিশুর
ভাঙ্গায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আ'লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জামায়াতকর্মীর মৃত্যু
ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশ সেই কৃষি কর্মকর্তাকে বদলী
ইসলামবিদ্বেষীদের মোকাবেলায় মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্য খুবই জরুরি
না.গঞ্জে নির্বাচন কমিশনার ‘সৎ উদ্দেশ্য থাকলে নির্ভেজাল ভোটার লিস্ট করা সম্ভব’
আর্মি ডে’র কুচকাওয়াজে প্রথমবার অংশ নিচ্ছে রোবট সেনা