দুই চিকিৎসকের বদান্যতায় মাঝ আকাশে বাঁচলো ছয় মাসের শিশুর প্রাণ
০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম
ঘটনাটি ভারতের। শনিবার সকালে এয়ার ইন্ডিগোর ফ্লাইটে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে,শিশুটির বয়স মাত্র ছয় মাস। জন্ম থেকেই হৃদরোগে ভুগসে সে। চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে রাঁচি থেকে প্লেনে করে দিল্লি যাচ্ছিলেন তার মা। কিন্তু, মাঝ আকাশেই তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয় শিশুটির। অসহায় মা তখন সন্তানকে বাঁচাতে কাতর আর্জি জানান বিমানের ক্রু সদস্যদের কাছে। সেই সময় এগিয়ে আসেন রাঁচির এক আমলা চিকিৎসক ও তার সঙ্গী। তাদের চিকিৎসায় অবশেষে বিপদমুক্ত হয় শিশুটি। -টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি
ইন্ডিগো সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে প্লেনটি যখন মাঝ আকাশে, তখন শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরিস্থিতি যে খারাপের দিকে যাচ্ছে, তা বুঝতে পারেন বিমানবালারা। শিশুটিকে বাঁচাতে বিমানে কোনো চিকিৎসক রয়েছেন কি না জিজ্ঞাসা করে মাইকে ঘোষণা দেন তারা। ওই ঘোষণা শুনেই এগিয়ে আসেন আইএএস অফিসার ও চিকিৎসক নীতিন কুলকার্নি ও ডা. মোজাম্মিল ফিরোজ। বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের প্রধান সচিব হলেও চিকিৎসকের কর্তব্য ভোলেননি কুলকার্নি। তাই রাঁচি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ফিরোজকে সঙ্গে নিয়ে শিশুটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তিনি।
ডা. কুলকার্নি জানান, প্লেনটিতে শিশুদের জন্য অক্সিজেন মাস্ক ছিল না। ফলে প্রাপ্তবয়স্কদের মাস্ক দিয়েই ওই শিশুকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। তার মেডিকেল রিপোর্টগুলো দেখে জানা যায়, সে জন্মগতভাবেই হৃদরোগী। চিকিৎসার জন্য তাকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। জানা গেছে, শিশুটির শ্বাসকষ্টের জন্য তৎক্ষণাৎ বিশেষ ইনজেকশনের দরকার ছিল, যার মধ্যে একটি তার মায়ের কাছে ছিল। সেই ইনজেকশন শিশুটিকে দেন ডা. কুলকার্নি। সেটা সেই সময় ভীষণ কাজে এসেছিল বলে জানান তিনি।
অক্সিমিটার না থাকায় শিশুটির শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ জানা যাচ্ছিল না। তবে নানাভাবে শিশুটিকে সুস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যান ডা. কুলকার্নি ও ডা. ফিরোজ। তাদের তৎপরতায় ধীরে-ধীরে শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল হয় ও স্টেথোস্কোপে হৃৎস্পন্দন ধরা পড়ে।
প্লেনের ক্রুরাও নানাভাবে শিশুটির চিকিৎসায় সহায়তা করেছিলেন বলে জানান ডা. কুলকার্নি। তারপর বেলা ৯টা ২৫ মিনিট নাগাদ প্লেনটি দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে সম্পূর্ণ অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে এইমস হাসপাতালে পাঠানো হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নানান চেষ্টায় শিশুটি বিপদমুক্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ডা. কুলকার্নি ও ডা. ফিরোজ। আইএএস কর্মকর্তা হয়ে ডা. নীতিন কুলকার্নি যেভাবে শিশুটিকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাতে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই বিমানের অন্য যাত্রীরা। ডা. কুলকার্নি ও ডা. ফিরোজ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মানববন্ধন থেকে অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি খেলাফত আন্দোলনের
মাদারীপুরে আইনজীবীদের শীতকালীন ক্রিকেট খেলা
কমলনগরে হার্ভেস্টার মেশিনের ধাক্কায় শিশু নিহত
পদ ফিরে পেলেন মির্জাপুর উপজেলা কৃষক দল আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মৃধা
রেস্তোরাঁর নামেও এস আলম ঋণ নেয় ২৩৪ কোটি টাকা
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
টিউলিপের পদত্যাগ: এবার তোপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
দৌলতপুরে ইউসুফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার ২
চবি প্রশাসনের শুভবুদ্ধি কামনায় 'হেদায়েত' সভা
যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনে আমাদের সম্পর্ক হোঁচট খাবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাগমারায় বাঁইগাছা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে হামলা
ভুয়া ‘ব্র্যাড পিট’-এর প্রেমে পড়ে ৯ কোটি টাকা খোয়ালেন ফরাসি মহিলা
কসবায় পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটিতে কিশোর খুন
সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে বর্তমান প্রেমিক খুন
ইবি শিক্ষার্থীকে মারধর, গড়াই ও রূপসা পরিবহনের পাঁচ বাস আটক
বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সমন্বয় সভা
পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর গ্রহণ চলছে, ব্যাপক সাড়া
বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষি, সেচ ও সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
সোনারগাঁও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
পুলিশের দুই এএসআই’য়ের মদ্যপ অবস্থায় অশ্লীল নৃত্য ভাইরাল: বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি