চীনপন্থীর জয়ে আঞ্চলিক মিত্র ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের দূরত্ব বাড়বে?
০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:২২ পিএম | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:২২ পিএম
মালদ্বীপ দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে চীনপন্থী বিরোধী প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছে যা দেশটিকে ঐতিহ্যগত মিত্র ভারত থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে। এ নির্বাচন আসলে পর্যটন হটস্পট হিসাবে পরিচিত ছোট দ্বীপপুঞ্জে প্রভাব বিস্তারে ভারত ও চীনের মধ্যে লড়াইয়ে পরিণত হয়েছিল।
বিরোধী দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) দলের নেতা মোহাম্মদ মুইজ্জু, ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারণার চালিয়েছিলেন এবং এখন তিনি মালদ্বীপের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সৈন্যদের বের করে দেয়ার এবং দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আগামী ১৭ নভেম্বর তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
‘আজকের ফলাফলের মাধ্যমে আমরা দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ পেয়েছি। মালদ্বীপের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার শক্তি,’ মুইজ্জু তার বিজয়ের পর এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘এখন সময় আমাদের মতভেদকে দূরে সরিয়ে একত্রিত হওয়ার। আমাদের একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ হতে হবে।’ তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট সোলিহকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে কারাগার থেকে গৃহবন্দীতে স্থানান্তর করতেও বলেছেন।
মোহামেদ মুইজ্জুর দল পিএনসিকে ব্যাপকভাবে চীনপন্থী হিসেবে দেখা হয়। ৪৫ বছর বয়সী মুইজ যুক্তরাজ্যে পুরকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে মালদ্বীপের রাজধানী মালের মেয়র তিনি। মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের শাসনামলে অবকাঠামো নির্মাণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৮ সালে আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসেন ইব্রাহিম সলিহ। এরপর দুর্নীতির অভিযোগে ইয়ামিনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তার অনুপস্থিতিতে দলের হাল ধরেন মুইজ্জু।
আবদুল্লাহ ইয়ামিনের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালনকালে চীনের অর্থায়নে মালদ্বীপে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন মুইজ্জু। এসব প্রকল্পের মধ্যে রাজধানী মালের সঙ্গে দেশের প্রধান বিমানবন্দরের সংযোগকারী সেতু নির্মাণও রয়েছে। ২০ কোটি ডলার ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। শুধু মন্ত্রী থাকাকালেই চীনের সঙ্গে কাজ করেননি মুইজ্জু। এরপরেও চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন। গত বছর চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে অংশ নেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘দল ক্ষমতায় এলে আমাদের দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’
ভারতের অতিমাত্রায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব দ্বীপরাষ্ট্রটির বেশির ভাগ মানুষ পছন্দ করেন না। আর এই সুযোগে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনে সফল হয়েছেন মুইজ্জু। তবে মালদ্বীপের সঙ্গে নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৮৮ সালে মালদ্বীপে সামরিক অভ্যুত্থানচেষ্টার সময় সেখানে ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে ভারতের প্রভাবের কারণে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ।
ভারত মহাসাগরের মাঝখানে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে মালদ্বীপ। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্য দিয়ে যে জাহাজ চলাচলের রুট বা শিপিং লাইনগুলোর মাঝখানে দেশটির অবস্থান। সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনও ছিলেন চীনঘেঁষা। তিনি মালদ্বীপে নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ভারতকে প্রত্যাখ্যান করে চীনের কাছ থেকে প্রচুর ঋণ নিয়েছিলেন। ভারত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে ভারত সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলোর কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এখন মালদ্বীপে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার কারণে ভারত মহাসাগরে চীনের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পাবে। সূত্র : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার
রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল