লন্ডনে চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম
যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার গোষ্ঠী ও সংস্থাগুলির জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর তিব্বত এবং নিপীড়িত সংখ্যালঘুরা রবিবার লন্ডনের কেন্দ্রে ‘চীনা রাষ্ট্র কর্তৃক সংঘটিত মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং নৃশংসতা’ তুলে ধরে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছে। এইদিন ছিলো গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।
গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর তিব্বত এবং নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের মতে, হংকংগার, দক্ষিণ মঙ্গোলিয়ান, তিব্বতি এবং উইঘুর সহ চীনের নির্যাতিত সম্প্রদায়ের প্রতিবাদের কেন্দ্রীয় থিম ছিল ‘উদযাপন করার কিছু নেই’। খবর দ্যা প্রিন্টের।
মাওসেতুং-এর একনায়কত্বের অধীনে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) ক্ষমতায় আসে। তৎকালীন ক্ষমতাসীন কুওমিনতাং সরকার (দ্য ন্যাশনালিস্ট - রিপাবলিক অফ চায়না - এখন তাইওয়ান) উৎখাত হওয়ার পর ১ অক্টোবর, ১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠা হয়। মাও তখন তার পিএলএ সৈন্যদের পূর্ব তুর্কিস্তান ও তিব্বত আক্রমণ করার নির্দেশ দেন। এই দুটি দেশ এখনও গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অবৈধ দখলে রয়েছে।
রবিবার বিকাল ৩টায় বিক্ষোভকারীরা ট্রাফালগার স্কোয়ারে জড়ো হয়। সেখানে নেতৃস্থানীয় কর্মীরা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
ব্রিটেনের তিব্বতি সম্প্রদায়ের চেয়ারম্যান তেনজিন কুঙ্গা, যিনি স্বাধীন তিব্বতের অ্যাডভোকেসি অফিসার প্রতিবাদ আয়োজনের উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন। স্টপ উইঘুর জেনোসাইডের রহিমা মাহমুদ এবং হংকং লিবার্টির ফিন লাউ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা তুলে ধরেন কীভাবে ৭৪ বছরের কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) শাসন তাদের জাতি ও সম্প্রদায়কে নির্যাতন করে আসছে। তাদের উপর সামরিক আগ্রাসন, দখলদারিত্ব, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণ আটক, নির্যাতন, দমন, সাংস্কৃতিক নির্মূল করা হচ্ছে।
তিব্বতের জন্য অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) কর্তৃক জারি করা একটি বিবৃতি সমাবেশে পাঠ করা হয়।
বিবৃতিটির বলা হয়েছে, সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক প্রচারণা এবং স্বাধীনতার পক্ষে ওকালতি করার পরেও তিব্বত চীনা দখলে রয়ে গেছে।
তিব্বতের সংসদীয় গ্রুপটি মনে করে, তিব্বতে তার কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি উইঘুর ও হংকংবাসীদের বিরুদ্ধে দমনমূলক নীতির জন্য চীনকে জবাবদিহি করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রয়োজন। আগামী বছরের শুরুর দিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে এই বিষয়টি উত্থাপন করার আহ্বান জানায় তারা।
এরপর বিক্ষোভকারীরা চীনা দূতাবাসের দিকে মিছিল নিয়ে যায় এবং একটি বড় সমাবেশ করে। লিসেস্টার স্কোয়ার, চায়না টাউন, রিজেন্ট স্ট্রিট এবং অক্সফোর্ড সার্কাসের মধ্য দিয়ে মিছিল করার সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ফ্রি তিব্বত’, ‘ফ্রি ইস্ট তুর্কেস্তান’, ‘ফ্রি হংকং’, ‘ফ্রি সাউদার্ন মঙ্গোলিয়া’ এবং ‘উইঘুর গণহত্যা বন্ধ করুন’ বলে উচ্চস্বরে স্লোগান দেয়।
চীনা দূতাবাসের বাইরে, ইউকে উইঘুর সম্প্রদায়ের চেয়ারম্যান মাইরা আইসা এবং ভয়েস অফ সাউদার্ন মঙ্গোলিয়া (ভিওএসএম)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ার এঙ্গেরজিরগালাং বক্তৃতা করেন। তারা নিজ নিজ দেশে স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের আহ্বান জানান। নিজ নিজ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় এসময়।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে
গণপিটুনিতে হত্যা: ঢালাওভাবে ছাত্রদের বিজয়কে খাটো করতে আওয়ামী মিডিয়ার আস্ফালন, সমালোচনার ঝড়
ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
দোয়ারাবাজার সীমান্তে মহিষসহ মাছের চালান জব্ধ
সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, নারী গ্রেফতার
আশ্বিনকেও ফেরালেন তাসকিন
কক্সবাজার পাহাড়তলীতে অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ মানুষ, বাধা দেয়ায় বাসার মালিকের উপর হামলা
অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে ইইউ
তাসকিনের জোড়া আঘাত, লিটনের রেকর্ড
ডিবির আলোচিত ডিসি মশিউর গ্রেপ্তার
১৯৯ রানের জুটি ভাঙলেন তাসকিন
গণপিটুনিতে দুই মাসে ৩৩ জনের মৃত্যু
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়
মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ
বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই
জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে
বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন
এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার