ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

সাগরে চীনের বেড়া সরানোয় যে প্রভাব পড়ছে আসিয়ান দেশগুলোতে

Daily Inqilab ইনকিলাব

০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫৭ এএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫৭ এএম

দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত এলাকা স্কারবোরো শোলের প্রবেশপথে চীনের তৈরি ভাসমান বেড়া সম্প্রতি উঠিয়ে দেয় ফিলিপিন্স। বিষয়টি আপাতত দৃষ্টিতে তুচ্ছ মনে হলেও এটি চীনের আধিপত্যের বিরুদ্ধে সরাসরি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এই ঘটনা সাগরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রথমবারের মত সামরিক মহড়ায় আসিয়ান দেশগুলোর এক হওয়ার বৃহত্তর তাত্পর্য তুলে ধরে।

হংকং পোস্ট লিখেছে, ফিলিপিন্সের ন্যাশনাল ডিফেন্স সেক্রেটারি গিলবার্তো তেওডোরো জুনিয়র বলেন, “আমরা চীনের 'গুণ্ডামি'র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব। আমরা থামব না। আমাদের সার্বভৌম অধিকার ও ভূখণ্ডের মধ্যে ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে চীন। তাদের দাবির কারণে বেশিরভাগ আসিয়ান দেশ নিজেদের সামুদ্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। দক্ষিণ চীন সাগরের বেশি এলাকা চীন নিজেদের বলে দাবি করে।”

আসিয়ান হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের সংগঠন। দেশগুলো হলো- ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম। বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান জবরদখলের প্রতি নজর রেখে আসিয়ান দেশগুলো তাদের সেনা, নৌ ও বিশেষ বাহিনীকে একসঙ্গে মহড়ায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শুরুর দিকে সন্দেহ ছিল ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার মত চীন ঘেঁষা দেশগুলোর আসিয়ানের যৌথ মহড়ায় অংশ নেবে কিনা। যাইহোক দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটা নিজেদের দাবি করে সম্প্রতি একটি মানচিত্র প্রকাশ করে চীন। ওই ঘটনা সব আসিয়ান দেশকেই উত্তেজিত করেছে। সমুদ্র সীমায় চীন যে দাবি করে সেটিকে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ফিলিপিন্স ‘অবৈধ’ হিসেবে অভিহিত করে বেইজিংকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে কাজ করতে বলেছে।

কুয়ালালামপুর ভিত্তিক ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো টমাস ড্যানিয়েল বলেন, প্রথমবারের মত যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে সব আসিয়ান দেশ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। আসিয়ান কখনোই এমন কোনো যৌথ মহড়া চালায়নি। তাই এখন সেটি হওয়ার উপযুক্ত সময়। ছোটখাটোভাবে চীনের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ শুরু হলে পরে কী আসছে সেটি দেখা গুরুত্বপূর্ণ।”


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত