ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

ডেঙ্গুর আতঙ্ক, ব্যাগ ভরতি মশা নিয়ে হাসপাতালে হাজির ব্যক্তি!

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৪১ পিএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৪১ পিএম

মশার উপদ্রব নতুন নয়। সারাবছরই কমবেশি মশা ঘরে ঘরে দেখা যায়। কিন্তু গৃহকর্তার চিন্তা অন্য কারণে। কারণ এই ধরনের মশা তিনি আগে দেখেননি। সাইজে বিশাল নির্ঘাত ডেঙ্গু মশাই হবে। ডেঙ্গু আতঙ্কে বুধবার একটি প্লাস্টিক ব্যাগে শদেড়েক মশা বন্দি করে হাসপাতালে যান ভারতের পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার খুর্তুবা গ্রামের বাসিন্দা মনসুর আলি শেখ।

 

তিনি মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে যেতেই চিকিৎসক তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “বলুন আপনার শরীরে কী সমস্যা?” মনসুর আলি শেখের উত্তর, “এখনও পর্যন্ত কিছু হয়নি স্যার। তবে আর কিছুদিন পরেই মনে হয় ইন্তেকাল হয়ে যাবে। আপনারা এভাবে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে হবে?” তখনও কিছু বুঝতে পারেননি হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জুলফিকার আলি। তিনি হাঁ করে ‘রোগীর’ মুখের দিকে চেয়ে রইলেন। তখন মনসুর আলি শেখ ব্যাগ থেকে বের করলেন একটি প্যাকেট। সেটি ডাক্তারের সামনে তুলে ধরে বলতে শুরু করেন, “এই দেখুন। এইরকম ডেঙ্গু মশায় গ্রাম ছেয়ে গিয়েছে। চলাফেরা করার সময়েও মশা এসে ছেঁকে ধরছে। ডেঙ্গু মশার সঙ্গে থাকলে আর কতদিন বাঁচতে পারব স্যার? আমার ওষুধ চাই না। মশা মারার ওষুধ কিছু দিন।”

 

এরপর চিকিৎসক জুলফিকার আলি দেখেন, প্লাস্টিক ব্যাগে অন্তত শদেড়েক মশা। সেগুলির মধ্যে বেশকিছু জ্যান্ত মশাও রয়েছে। মনসুর আলি শেখের এই কাণ্ড দেখে হেসে খুন চিকিৎসক। দুজনের কথোপকথন শুনে আরও কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী এগিয়ে এসে মনসুর আলি শেখের কাণ্ডকারখানা দেখতে থাকেন। তারাও হেসে লুটোপুটি।

 

জুলফিকার আলি বলেন, “এই আবহাওয়ার কারণে মশার উপদ্রব বেড়েছে একথা সত্য। আগে দেখেছি সাপে কাটলে সেই সাপ ধরে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসতে। এভাবে কাউকে মশা ধরে হাসপাতালে আসতে দেখেনি।” জুলফিকার আলি বলেন, “এমনিতেই আমরা মশার লার্ভা নিধনে এলাকায় পদক্ষেপ করছি। পাশাপাশি মানুষদের সচেতন করছি। তবে এই কাজে সকলের আরও সচেতন হওয়ার প্রয়োজন।” মনসুর আলি শেখের দাবি, তাদের গ্রামে ব্লিচিং পাউডার ছড়াতে হবে। এলাকায় নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত