শর্ত পূরণ না হওয়ায় শ্রীলঙ্কার ঋণের অর্থছাড় স্থগিত করলো আইএমএফ
০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা নীতি সুদহার ১০০ ভিত্তি পয়েন্ট কমিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত আসার আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ আটকে দিয়েছে। ঋণের কিছু শর্ত সরকার পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় কিস্তির অর্থছাড় স্থগিত হয়ে গেছে। -এএফপি
শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে যে, তাদের প্রধান সুদের হার কমিয়ে ১১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতির হার গত মাসে দ্রুত কমে ১ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক বছর আগে মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল—৭০ শতাংশ। মার্চ মাসে আইএমএফের সঙ্গে কলম্বোর সরকার ২৯০ কোটি ডলারের একটি ঋণ চুক্তিতে পৌঁছায়। চার বছর মেয়াদে এই অর্থ ছাড় করার কথা ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় কিস্তির ৩৩ কোটি ডলারই সরকার হাতে পায়নি। এরপর কর্তৃপক্ষ নীতি সুদহার কমানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে।
এরই মধ্যে আইএমএফ তাদের ঋণ কর্মসূচির প্রথম পর্যালোচনা শেষ করেছে। সেজন্য সরকার আশা করেছিল যে গত মাসেই দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করা হবে। তবে আইএমএফ মতামত দিয়েছে, সরকার শর্তানুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারেনি। এর জন্য দেশটিকে আরও কর আদায় করতে হবে বলে আইএমএফ মনে করে। গত বছরের এপ্রিল মাসে শ্রীলঙ্কা প্রথমবারের মতো তাদের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়। দেশটির বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। যে সমস্ত বেসরকারি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে শ্রীলঙ্কা ঋণ নিয়েছে, তাদের সঙ্গে নিয়ে ঋণ পুনর্গঠনের পরিকল্পনা এখনো শেষ হয়নি।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে, সুদহারের বড় পরিবর্তন দেশটির অর্থনীতি চাঙা করতে সাহায্য করবে। এর আগে গত জুন ও জুলাই মাসে দুবার সুদের হার কমানো হয়েছিল। এক বিবৃতিতে ব্যাংকটি বলেছে, মুদ্রা ব্যবস্থায় যে ক্রমাগত শিথিলতা আনা হচ্ছে, তা ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের গ্রাহকদের কাছে দ্রুত ও যথাযথভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আর্থিক খাতকে অনুরোধ করা হচ্ছে। সেটা করা হলে তা অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে।
আইএমএফ গত সপ্তাহে বলেছে, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি স্থিতিশীল হচ্ছে, এমন প্রাথমিক লক্ষণ দেখা গেছে। তবে অর্থনীতি যে চাঙা হবে, নিশ্চিতভাবে তা বলা যাচ্ছে না। গত বছর শ্রীলঙ্কার হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করার মতো অর্থও ছিল না। ফলে দেশটিতে খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের সংকট দেখা দেয়। এটা ছিল দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট। এর জেরে শ্রীলঙ্কায় মাসের পর মাস ধরে মানুষ বিক্ষোভ করেন। তাঁদের প্রতিবাদ ছিল দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে। এই সংকটের কারণে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান।
অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়ার পর ২০২২ সালের শুরুর দিক থেকে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদের হার বাড়াতে থাকে। সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয় গত বছরের এপ্রিলে—রেকর্ড ৭ শতাংশীয় পয়েন্ট। এর ফলে ঋণের সুদের হার গত মার্চে সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ৫ শতাংশে ওঠে। এর পর থেকে দেশটিতে সুদের হার কমানো শুরু হয়।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত