ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

সিকিমে তিস্তা নদীতে ভেসে উঠছে একের পর এক লাশ

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০৬ অক্টোবর ২০২৩, ০২:০৮ পিএম | আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ০২:০৮ পিএম

ঝুলছে বাড়ি, গিলছে শেষ সম্বল। সিকিমের মেঘ ফাটা বৃষ্টিতে তিস্তায় হড়পা বান। ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও তিস্তার গ্রাস কমছে না বহু এলাকায়। দুর্যোগ সামান্য কমে তিস্তার পানিরস্তর কমতেই ভেসে উঠছে একের পর এক লাশ।

 

বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির তিস্তার চর ও সন্ধাবেলা ময়নাগুড়ি থানা এলাকার নানা জায়গা থেকে মোট ১৮টি লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এর মধ্যে চার জন সেনা সদস্যও রয়েছে। বাকি ১৪ লাশ সাধারণ মানুষের। মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। লাশগুলোকে উদ্ধারের পর জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে।

 

অন্যদিকে, এখনও রাতের ঘুম নেই কালিম্পং জেলার তিস্তা বাজার, মল্লি ও মংপো এলাকার। তিস্তার পানি কমলেও এখনও দুই পাড় ক্রমশ ভাঙছে। তাতেই একের পর এক বাড়ি তিস্তা গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। এই এলাকাগুলিতে গিয়ে দেখা গেল প্রচুর বাড়ির নীচ থেকে মাটি ধসে গিয়ে। রীতিমতো বাড়িগুলি ঝুলছে। আবার কোথাও হারিয়ে গিয়েছে পাহাড়ের গাড়ি চালকদের গাড়ি। তিস্তার মধ্যে ৭-৮ ফুট মাটির নীচে চাপা পড়ে রয়েছে গাড়িগুলি। পলি সরতেই বেরিয়ে আসছে গাড়ি। উদ্ধার হচ্ছে লাশও। কীভাবে আবার সব ঠিক হবে সেই চিন্তায় তিস্তা বাজার, মল্লি এলাকার বাসিন্দারা।

 

তিস্তায় হড়পা বানে সিকিমে তো বটেই এই রাজ্যের কালিম্পং জেলার মধ্যে থাকা এলাকাগুলিতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিস্তা বাজার এলাকায় গেলে তিস্তার অভিশাপ দেখা যাচ্ছে। সেখানে তিস্তার পানিতে তলিয়ে গিয়েছে প্রায় ১৪ টি বাড়ি। এছাড়াও প্রচুর দোকান, বাসিন্দাদের গাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে তিস্তা। কিন্তু এত সবের পরেও তিস্তার থামার যেন কোনও লক্ষণই নেই। যেভাবে তিস্তার জলোচ্ছ্বাস রয়েছে তাতে এখনও দুপাশে ধস নামছে।

 

জাতীয় সড়কে ফাটল ধরছে। তিস্তা বাজারে একের পর দোকান ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে তিস্তায়। রাত জেগে এখন দুর্দশার দৃশ্য দেখছেন বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই তিস্তাবাজার সহ কালিম্পঙের বেশ কয়েক জায়গায় প্রশাসনের তরফে রিলিফ ক্যাম্প খোলা হয়েছে। যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। বৃহস্পতিবার থেকে এলাকাগুলিতে যাওয়া শুরু হয়েছে ত্রাণ সামগ্রী। জিটিএ চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা, দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন। সূত্র: টিওআই।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত