খালিস্তানিদের দোষ খুঁজে পায়নি স্কটিশ পুলিশ, চরম ক্ষুব্ধ ভারত
০৬ অক্টোবর ২০২৩, ০২:১০ পিএম | আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ০২:১০ পিএম
স্কটল্যান্ডের গুরুদ্বারে যেতে বাধা দেয়া হয়েছিল ভারতীয় হাইকমিশনারকে। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে ‘অপরাধ’ খুঁজে পায়নি স্কটিশ পুলিশ। এই আবহে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। বিষয়টি ব্রিটিশ প্রশাসনের সামনে ফের তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর এক গুরুদ্বারে ভারতীয় হাইকমিশনারকে ঢুকতে বাধা দেয়ার অভিযোগ ওঠে সম্প্রতি। অভিযোগের আঙুল ওঠে খালিস্তানপন্থী দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই আবহে তদন্ত শুরু করে স্কটিশ পুলিশ। তবে তারা জানাল, খলিস্তানপন্থীরা যে কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা আইনের চোখে ‘অপরাধ’ নয়। এই মামলাটিও বন্ধ করে দিয়েছে স্কটিশ পুলিশ।
আর স্কটিশ পুলিশের এই বিবৃতির পরই এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই সময় অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘এটা কোনও ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমাদের হাইকমিশন স্পষ্ট ভাষায় জানায়, সেদিন হাইকমিশনারকে আটকানো হয়েছিল এবং হুমকি দেয়া হয়েছিল। তিনি বিষয়টিকে বাড়তে দিতে চাননি বলে সেখান থেকে চলে আসেন।’
অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘ব্রিটিশ সরকারের কাছে আমরা এই ঘটনা নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। আমরা আমাদের কথা তাদের সামনে আবারও তুলে ধরব। আমাদের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তারা যাতে স্বাভাবিক ভাবে তাদের সব কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনও ভাবেই যাতে তাঁরা কোনও হুমকির মুখে না পড়েন, সেটাও দেখতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীকে স্কটল্যান্ডের একটি গুরুদ্বারে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছিল সম্প্রতি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে ভারত। এদিকে এই ঘটনার ভিডিও ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে। ‘শিখু ইউথ ইউকে’ নামক একটি পেজ থেকে তা পোস্ট করা হয়। এদিকে ব্রিটিশ হাইকমিশনের তরফে বলা হয়, ‘বিক্রম দোরাইস্বামী কোনও বিতর্কে জড়াতে চাননি, তাই গুরুদ্বারে না ঢুকে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন।’
এদিকে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন শিখ বিক্রম দোরাইস্বামীকে একটি গুরুদ্বারের সামনে আটকেছে। এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ব্রিটেনের এক মন্ত্রী। এর আগে কানাডায় ভারতীয় হাইমিশনের কর্মীদের হত্যা করার ডাক দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছিল। তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ট্রুডো সরকার। বরং জাস্টিন ট্রুডো সেই সব ঘটনাকে ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে স্কটল্যান্ডের গুরুদ্বারের ঘটনার নিন্দায় সরব হন ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক ব্রিটিশ মন্ত্রী অ্যান-ম্যারি ট্রেভেলিয়ান। যদিও শেষ পর্যন্ত এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপই নেয়া হল না। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত