বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে চীনা আদালত। এই শিক্ষাবিদের মেয়ে বিশ্বব্যাপী পণ্ডিতদের তার মায়ের পক্ষ সমর্থনের জন্য আবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন, চীনা সরকার তার মাকে কোনো দয়া দেখায় নি।
মানবাধিকার সংস্থা দুই হুয়া গত মাসে বলেছে, চীনা আদালত রাহিল দাউতকে ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার’ জন্য যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে। যদিও সরকার এই মামলার বিষয়ে নীরব রয়েছে।
উইঘুর লোককাহিনী লেখক উইঘুর লোককাহিনী বলেন, দাউত উইঘুরদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা তার মেয়ে আকেদা পুলাতি এএফপিকে বলেছেন, তিনি আশা করেন তার মায়ের মুক্তির জন্য সারা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সহশিক্ষাবিদরা বেইজিংয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করতে সাহায্য করতে পারে।
তিনি একটি ফোন সাক্ষাত্কারে বলেন, আমি চাই সারা পৃথিবীর মানবাধিকার সংস্থাগুলি উইঘুর জনগণের কথা ভুলে না যাক।
পুলতি বলেন, তিনি জিনজিয়ানে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলে তার মা বেঁচে আছেন। তবে তাদের কাছে আরও বিস্তারিত জানতে চাইতে পারেন না। পুলতি চীনা কর্তৃপক্ষের আচরণে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, আমি জানি, চীনা সরকার উইঘুর জনগণ এবং আমার মায়ের জন্য কোন করুণা দেখাবে না। কিন্তু নাগরিক হিসাবে এই ধারনা আমার কল্পনার বাইরে। আমার বাকি জীবন অসহ্য যন্ত্রণার হবে, যদি আমার মাকে কারাগারে জীবন কাটাতে হয়।
রাহিল দাউত চীনা নাগরিকদের মডেল। একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পণ্ডিত এবং কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। তিনি তার ক্ষেত্রে নারীদের জন্য একটি উজ্জল দৃষ্টান্ন। পুলতি বলেন, আমার মা দেখিয়েছেন একজন নারী কতটা অর্জন করতে পারে। তিনি যা করছিলেন তা ছিল কেবল সংস্কৃতি অধ্যয়ন করা এবং সংস্কৃতি রক্ষা করা।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, চীনে শত শত পণ্ডিত, ডাক্তার, সাংবাদিক এবং অন্যান্যদের আটক করা হচ্ছে। সাজা দেয়া হচ্ছে। চীন উইঘুরদের বিরুদ্ধে অন্যায় ও গণহত্যার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। তারা গণহত্যার অভিযোগকে ‘শতাব্দীর মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার দাউতের শাস্তির নিন্দা করেছে। বেইজিংকে অবিলম্বে তাকে এবং অন্যায়ভাবে আটক অন্যদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

সূত্র: এএফপি