ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

ভোটের মুখে রাজস্থানেও জাতিগত জনগণনা! গেহলটের ঘোষণায় বিতর্ক

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম

 

 

 

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের মূল হাতিয়ার হতে চলেছে জাতিগত জনগণনা। একাধিক সাম্প্রতিক জনসভায় সে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এবার কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে জাতিগত জনগণনা শুরু করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিল দল। শুক্রবার কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ঘোষণা করলেন, বিহারের মতো সেরাজ্যেও জাতিগত জনগণনা হবে।

 

আসলে আসন্ন জনগণনায় জাতপাতের উল্লেখ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ দেশের কত শতাংশ বাসিন্দা তফসিলি জাতি বা উপজাতির, কত শতাংশ ওবিসি, কিছুই ঘোষণা করা হবে না। কেন্দ্রের দাবি, এভাবে আলাদা করে জাতপাত ঘোষণা করলে বিভেদ বাড়বে। বিরোধীরা তাতে নারাজ। বিরোধী শিবিরের দাবি, আলাদা আলাদা শ্রেণির মানুষের সংখ্যা জানলে তাদের জন্য কাজ করতে সুবিধা হবে সরকারেরই। কোন শ্রেণির মানুষ কত শতাংশ, সেটা জানলে সেই মতো প্রকল্প তৈরি করা যায়।

 

প্রসঙ্গত, মোদি সরকারের পালটা হিসাবে বিহার সরকার আলাদা করে জাতিগত জনগণনা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জাতিগত জনগণনার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিহারের জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি সম্প্রদায়ের। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশই অত্যধিক অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত। জেনারেল কাস্টের অন্তর্গত রয়েছেন ১৫ শতাংশ জনতা। এছাড়াও তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন ১৯ শতাংশ। সেই রিপোর্ট সামনে আসতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

 

রাহুল গান্ধী নিজেই প্রশ্ন তুলছিলেন এত বেশি সংখ্যক ওবিসিদের প্রতিনিধিত্ব কেন্দ্রীয় স্তরে কম কেন? এমনকী কংগ্রেসের ভেতরেও জাতিগত জনগণনা নিয়ে সরব হওয়ার দাবি উঠছিল। সেই দাবি মেনেই ভোটের মুখে রাজস্থান সরকার জাতিগত জনগণনা করার সিদ্ধান্ত নিল।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত