ইসরাইল-হামাসের সংঘর্ষে এবার জড়িয়ে গেল ম্যাকডোনাল্ডসও। ইসরাইলি সেনাকে বিনামূল্যে খাবার দেয়ার অভিযোগে দেশে-দেশে ক্ষোভের মুখে মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা। যদিও ওমান, লেবাননের মতো দেশে থাকা ম্যাকডোনাল্ডসের তরফে জানানো হয়েছে, ইসরাইলি সেনাকে বিনামূল্যে খাবার দেয়ার সিদ্ধান্ত ইসরাইলি ম্যাকডোনাল্ডসের কর্মকর্তাদের নিজস্ব। এর সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। পালটা গাজার পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দিয়েছে তারা।

ইসরাইল বনাম হামাসের লড়াই চলছে। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩ হাজার মানুষ। তবু অন্ত নেই গোলাগুলিতে। কারও দাবি, হামাসের লড়াই সমর্থনযোগ্য কেউ আবার ইসরাইলের পাশে দাঁড়াচ্ছে। মোট কথা এই লড়াই ঘিরে দ্বিধাবিভক্ত বিশ্ব। এমন পরিস্থিতি ইসরাইলি সেনার পাশে দাঁড়ায় সে দেশের ম্যাকডোনাল্ডস কর্তৃপক্ষ। নিউজ উইকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দিন কয়েক আগে মার্কিন ফাস্টফুড চেনের ইসরাইলি শাখা জানায়, যুদ্ধক্ষেত্র ও হাসপাতালে থাকা ইসরাইলি সেনাকে বিনামূল্যে ৪ হাজার খাবার দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার সেনাকে খাবার দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

ইনস্টাগ্রামে এই পোস্ট করতেই ম্যাকডোনাল্ডসের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে একাধিক দেশে। লেবাননে সংস্থার আউটলেটের বাইরে বিক্ষোভ হয়। অভিযোগ, ফিলিস্তিনপন্থীদের হাতে আক্রান্ত হয় একাধিক শাখা। তবে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।

এর পরই তড়িঘড়ি ম্যাকডোনাল্ডসের লেবানন শাখার তরফে জানানো হয়, ‘দেশের বাইরে এই সংস্থার কোনও শাখার সিদ্ধান্তের সঙ্গে তারা যুক্ত নয়। বরং লেবানন ও দেশবাসীর ভাবাবেগকে আমরা সম্মান করি। তাদের পাশেই আছি।’ আবার ম্যাকডোনাল্ডসের ওমান শাখার তরফে জানানো হয়েছে, তারা ইতিমধ্যে গাজার মানুষের জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে। তবু ক্ষোভের আগুন নিভছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যাকডোনাল্ডসকে বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে নেটিজেন ও ফিলিস্তিনপন্থীদের রোষের মুখে মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা।