জামিনের আবেদন মঞ্জুর, দেশে ফেরার আগেই স্বস্তি নওয়াজ শরিফের
১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:০১ পিএম | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:০১ পিএম
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দেশে ফেরা নিশ্চিত হতেই, তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। দুর্নীতি মামলায় তিনি জামিন পেতে পারেন বলে কোনও কোনও মহল থেকে দেওয়া হয়েছিল ইঙ্গিত। অবেশেষে তাতে সিলমোহর পড়ল। অ্যাভেনফিল্ড এবং আল-আজিজিয়া মামলায় নওয়াজের জামিন মঞ্জুর করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
সংবাদমাধ্য সূত্রে খবর, চার বছরের বেশি সময় লন্ডনে স্ব-আরোপিত নির্বাসন জীবন কাটানোর পর আগামী শনিবার অর্থাৎ ২১ অক্টোবর দেশের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) প্রধান। তাকে যাতে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার না করে, তারজন্য বুধবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে শরিফের আইনজীবীরা একটি পিটিশন দাখিল করেন। বৃহস্পতিবার তার শুনানি হয়। এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষামূলক জামিন মঞ্জুর করা হয়। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই রায়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে নওয়াজের দল। নির্বাসন কাটিয়ে দেশে ফেরার পর লাহোরের একটি দলীয় সমাবেশে ভাষণ দিতে পারেন নওয়াজ। তাকে স্বাগত জানাতে হাজার হাজার দলীয় সমর্থক বিমাবন্দরে উপস্থিত থাকবেন বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ৭৩ বছর বয়সী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে আল-আজিজিয়া এবং অ্যাভেনফিল্ড সম্পত্তির দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ২০১৮ সালে অ্যাভেনফিল্ড সম্পত্তি দুর্নীতি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১০ বছরের কারাদণ্ডের কথা শোনায় আদালত। আল-আজিজিয়া স্টিল মিলস দুর্নীতি মামলায় শরীফের সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল।
এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এছাড়া তোশাখানা মামলায়-ও নওয়াজকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়ে। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দিও করা হয়েছিল নওয়াজকে। সেই সময় শারীরিক চিকিৎসাক জন্য আদালতের অনুমতি নিয়ে ২০১৯ সালে লন্ডনে গিয়েছিলেন। তারপর আর দেশে ফেরেন নি তিনি। যদিও লন্ডনে থাকাকালীন তোশাখানা মামলায় জামিন পেয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ২০২০ সালে তৎকালীন ইমরান খান সরকার শরিফের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিল। যদিও সরকারের সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। গত সপ্তাহে লন্ডন থেকে সউদী আরবে গিয়েছিলেন নওয়াজ। সেখান থেকেই দেশে ফিরছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হয় ইমরান খান সরকার। ক্ষমতায় আছে নওয়াজ শরিফের দল। প্রধানমন্ত্রী হন নওয়াজের ভাই শাহবাজ শরিফ। তারপেরই নওয়াজকে দেশে ফেরাতে শুরু হয়েছিল তৎপরতা। আগামী বছর শুরুতেই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। পাকিস্তানের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির জন্য নওয়াজের দলকেই দায়ি করেছে জনগণের একাংশ। এমন পরিস্থিতিতে চাপে থাকা দলকে টেনে তুলতেই নওয়াজের প্রত্যাবর্তন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আজ ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে করাচিতে
পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকালে বিদেশি অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক
ফ্যাসিস্টের দোসর সোহানা সাবা পেল ভারতে বড় দায়িত্ব
সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে অসন্তোষ বিএনপি
মাগুরার শ্রীপুরে কৃষক দলের বিশাল কৃষক সমাবেশ
ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?
টানা তৃতীয় বছরের মতো চীনের জনসংখ্যা কমল
নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় ড্রেজারসহ ৬ জন গ্রেফতার
টিউলিপের পতন, এক রাজনৈতিক অধ্যায়ের অবসান
অভিষেকের আগে শি জিনপিংকে ট্রাম্পের ফোন
সিরিয়ায় আটক নাগরিকদের দেশে বিচার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফ্রান্স
বিশ্ব ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন : ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার
আখাউড়া কালন্দি খালে বইবে জলধারা
টঙ্গীতে ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেফতার ১৩
৩৩ জিম্মির বিনিময়ে ১ হাজার ৯৭৭ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল
যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নেন পুতুল
আল-শারা ও শেখ মোহাম্মদের ঐতিহাসিক টেলি-আলোচনা
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন যারা, নেই নরেন্দ্র মোদি
বাণিজ্য উপদেষ্টা কালোবাজারি সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন: ডা. ইরান
ভারতে ১২ মাওবাদীকে হত্যা