ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্তরে চীন-রাশিয়া সম্পর্ক: পুতিন
২১ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩২ পিএম | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩২ পিএম
সম্প্রতি চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) সাংবাদিক রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির পুতিনের সাক্ষাত্কার নিয়েছেন। দু’বছর পর পুতিন প্রথম বিদেশি গণমাধ্যমে সাক্ষাত্কার দিলেন। চীন-রাশিয়া সম্পর্ক ‘ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্তরে’ পৌঁছেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সাক্ষাত্কারে পুতিন বলেছেন, দু’দেশের সুসম্পর্ক বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে গড়ে ওঠে নি। বরং, ২০ বছর ধরে স্থিতিশীলভাবে উন্নত হয়েছে। দু’দেশ সবসময়ই সদিচ্ছার ভিত্তিতে সীমান্তসহ বিভিন্ন ইস্যু সমাধান করেছে। রাশিয়া হলো চীনের বৃহত্তম জ্বালানি সম্পদ সরবরাহকারী দেশ। রাশিয়া ক্রমশ চীনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হচ্ছে। চীনের আর্থ-বাণিজ্যিক অংশীদারের তালিকায় রাশিয়া ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। রুশ-চীন সম্পর্ক বিশ্বের স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দু’দেশের সম্পর্ক মূলত বিশ্বের স্থিতিশীলতার মূল কারণ। যা দু’দেশের জনস্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
পুতিন বলেন, দু’দেশ দূরপ্রাচ্য গ্যাস পাইপলাইন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং মঙ্গোলিয়ার মধ্য দিয়ে আরেকটি গ্যাস পরিবহন পাইপ- সাইবেরিয়ার শক্তি ২ নির্মাণ নিয়ে গবেষণা করছে। দু’দেশ দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট তৈরি করছে এবং নিউট্রন রিঅ্যাক্টরের বিষয়ে কাজ করছে। এ ছাড়া দু’দেশের গাড়ি ও কৃষির খাতের সহযোগিতা অব্যাহতভাবে বাড়ছে। বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়া-চীন বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
পুতিন বলেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উত্থাপিত ‘বেল্ট এন্ড রোড’ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বিশ্বের যৌথ উন্নয়ন। যা ‘বৃহত্তর ইউরেশিয়া’ পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। প্রতিটি দেশের দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় কাঠামোতে সহযোগিতা চালানোর অধিকার আছে বলে মনে করেন পুতিন। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি খাতে সহযোগিতা সম্পর্কে পুতিন বলেন, এটি মানুষের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তোলে। দু’দেশ বিভিন্ন পর্যায়ে ক্রীড়া সহযোগিতা চালায়।
পুতিন বলেন, বহুমুখী বিশ্বে স্বায়ত্তশাসন আবির্ভূত হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়াটি অপ্রতিরোধ্য। এশিয়ায় ভারত ও ইন্দোনেশিয়া এবং ল্যাটিন আমেরিকার ব্রাজিলসহ বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশ দ্রুত উন্নত হচ্ছে। ব্রিক্সের সব সদস্য দেশ বহুমুখী বিশ্ব গড়ে তোলার ধারণায় সমর্থন করে। সবাই সমান সম্পর্ক চায়।
ইউক্রেনের সংঘর্ষ নিয়ে পুতিন বলেন, সব দেশের নিরাপত্তার স্বার্থ সমান হওয়া উচিত। তাই ইউক্রেনের জোটনিরপেক্ষ অবস্থান মস্কোর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯১ সালে তৎকালীন মার্কিন সরকার রাশাকে বলেছিল যে, ন্যাটো পূর্ব দিকে প্রসারিত হবে না, কিন্তু তারপরও ন্যাটো পাঁচবার সম্প্রসারিত হয়েছে। মস্কো মনে করে, ইউক্রেনের মাধ্যমে ন্যাটোর সম্প্রসারণ রাশার জন্য হুমকি।
পুতিন আরো বলেন, জোটগত সংঘাতের মানসিকতা ইতিহাসের অগ্রগতির অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে চীন-রাশিয়া যৌথ বিবৃতিতেও জোর দিয়ে বলা হয় যে, সমতা ও সম্মানের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক বিনিময়ের একটি নতুন দৃষ্টান্ত বাস্তবায়নের জন্য সব দেশের হাত মেলানো উচিত।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কমলনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৩
কুড়িগ্রামে জেলা বিএনপির ১২টি ইউনিট বিলুপ্ত ঘোষণা
তারাকান্দায় বাসের ধাক্কায় আহত-৪
কুয়েটে অনুষ্ঠিত হলো ন্যাশনাল আইডিয়া কেস কম্পিটিশন ‘বিজব্যাটেল’
ভারতের ড্রেসিংরুম চ্যাপেল যুগের মতো বিধ্বস্ত: হরভজন
জুনে জাফর-২ ও পায়া উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে ইরান
আন্দোলনের ইমেজ বিশ্বকে জানাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে বাঁশ ও বেত শিল্প প্রায় বিলুপ্ত
দুই যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ৪ সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে- গ্রেপ্তার- ১
হবিগঞ্জে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি
ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি শুরু
শুরু হয়েছে 'শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ সিজন–২ এর রেজিষ্ট্রেশন; কি থাকবে এবারের পর্বে?
‘২০ বছরের অধিক সাজাখাটা বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিন’
বাংলাদেশে ঢুকে গাছের ডাল কাটল বিএসএফ, সীমান্তে উত্তেজনা
নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় ৬ জন গ্রেফতার, ড্রেজার জব্দ
ইরানের সুপ্রিম কোর্টের সামনে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত দুই বিচারক
কলাপাড়ায় প্রধান উপদেস্টার কায্যালয়ের সচিব, প্রকল্প পরিচালকের গাড়ী বহর আটকে দিল বিক্ষোভকারীরা
সাজিদ-নোমানের ঘূর্ণিতে ১৩৭ রানেই শেষ উইন্ডিজ
কেন মেলোনির সামনে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী?
ট্রাম্পের অভিষেকে যোগ দিচ্ছেন মুকেশ ও নীতা আম্বানি