ফিলিস্তিনিদের এবার আশ্রয় দেবে না মিসর-জর্ডান

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২২ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০৪ এএম | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০৪ এএম

ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকটের একটা কঠিন সময় চলছে। হামাসের হামলার জবাবে ইসরাইল গাজায় গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে।

অল্প জায়গায় সর্বোচ্চ ঘনবসতি থাকা গাজার মানুষদের অন্য প্রান্তে চলে যেতে বলেছে যদিও ফিলিস্তিনিদের মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকা তো দূর মৌলিক অধিকারের সুযোগও নেই।

গাজার দক্ষিণে পরিস্থিতি এতটাই মানবেতর যে অনেকে উত্তরেই ফিরে যাচ্ছেন। পশ্চিম তীরেও আরও আগে থেকেই ইসরাইলের নানা দমন পীড়ন চলছে। গাজা এবং পশ্চিম তীর দুই দিকেই ফিলিস্তিনের মানুষ এখন অনেকটা বন্দীদশায় মানবেতর অবস্থায় রয়েছে।

কিন্তু এই দুই অংশের সঙ্গে যেসব দেশের সীমান্ত, মিসর ও জর্ডান তাদের কেউ এসব মানুষকে ঠাঁই দিতে রাজি না।

এনিয়ে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেছেন জর্ডানে কোনো শরণার্থী নয়, মিসরে কোনো শরণার্থী নয়। এই মানবিক সংকট গাজা এবং পশ্চিম তীরের ভেতরেই সামাল দিতে হবে। এবং ফিলিস্তিনি সংকট ও তাদের ভবিষ্যৎ অন্যদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া বা চেষ্টা করা যাবে না।

গাজার দক্ষিণে পরিস্থিতি এতটাই মানবেতর যে অনেকে উত্তরেই ফিরে যাচ্ছেন। পশ্চিম তীরেও আরও আগে থেকেই ইসরাইলের নানা দমন পীড়ন চলছে। গাজা এবং পশ্চিম তীর দুই দিকেই ফিলিস্তিনের মানুষ এখন অনেকটা বন্দীদশায় মানবেতর অবস্থায় রয়েছে।

কিন্তু এই দুই অংশের সঙ্গে যেসব দেশের সীমান্ত, মিসর ও জর্ডান তাদের কেউ এসব মানুষকে ঠাঁই দিতে রাজি না।

এনিয়ে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেছেন জর্ডানে কোনো শরণার্থী নয়, মিসরে কোনো শরণার্থী নয়। এই মানবিক সংকট গাজা এবং পশ্চিম তীরের ভেতরেই সামাল দিতে হবে। এবং ফিলিস্তিনি সংকট ও তাদের ভবিষ্যৎ অন্যদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া বা চেষ্টা করা যাবে না।

কেন প্রতিবেশী দেশগুলো নিজ দেশে ফিলিস্তিনের মানবেতর অবস্থায় থাকা মানুষদের আশ্রয় দিতে চায় না?

ফিলিস্তিনের গাজা অংশের সাথে ইসরাইল ছাড়া সীমান্ত রয়েছে শুধু মিসরের। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিও জর্ডানের বাদশাহর মতো একইভাবে ফিলিস্তিনিদের নিজ দেশে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি সংকট সমাধানের জন্য কোনো সামরিক উপায়ে বা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করে যে কোন পদক্ষেপ মিসর প্রত্যাখ্যান করে যেটা এ অঞ্চলে দেশগুলোর ক্ষতি সাধন করতে পারে।

একই সাথে তিনি এও বলেন যে গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করে মিশরের দিকে পাঠানোর চিন্তা করার আরেক অর্থ “পশ্চিম তীরের মানুষদের বাস্তুচ্যুত করে জর্ডানে পাঠানোর মতো একই ধরণের পরিস্থিতি ঘটবে” এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য মিশর বা আন্তর্জাতিক মহলে যে আলোচনা চলছে সেটা আর সম্ভব হবে না।

১৯৭৮ সালে মিসরই ছিল প্রথম কোনো আরব রাষ্ট্র যারা কয়েক দফা যুদ্ধের পর শেষ পর্যন্ত ইসরাইলের সাথে সমঝোতায় আসে।

২০০৭ সালে হামাস গোষ্ঠী গাজার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইসরাইলের সঙ্গে সঙ্গে মিসরও গাজার সাথে তাদের সীমান্তের কড়াকড়ি বাড়িয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, হামাস যাতে উদ্বাস্তুদের সঙ্গে মিসরে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্যেই এতটা কড়াকড়ি। কারণ বাড়তি সশস্ত্র গোষ্ঠী তৎপরতা সামাল দেওয়ার সক্ষমতা মিসরের নেই।

হামাস আশির দশকে সৃষ্টি হয়েছিল মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের ফিলিস্তিনি শাখা হিসেবে। মুসলিম ব্রাদারহুড ২০১১ সালে মিসরের ক্ষমতায় আসলেও এখন তাদেরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে হামাসের শেকড়ের সম্পর্কটাও একটা উদ্বেগের বিষয়।

মিসরের বর্তমান সরকারের সাথে হামাসের সম্পর্ক রয়েছে। একটা সময়ে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমও ছিল তারা।তবে নিজ দেশে শরণার্থীর ঢল চায় না মিসর। সেটা দিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য মিসরকে তাদের দায়িত্ব নিতে হবে যেটা স্থায়ী হয়ে যেতে পারে।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

কমলনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৩

কমলনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৩

কুড়িগ্রামে জেলা বিএনপির ১২টি ইউনিট বিলুপ্ত ঘোষণা

কুড়িগ্রামে জেলা বিএনপির ১২টি ইউনিট বিলুপ্ত ঘোষণা

তারাকান্দায় বাসের ধাক্কায় আহত-৪

তারাকান্দায় বাসের ধাক্কায় আহত-৪

কুয়েটে অনুষ্ঠিত হলো ন্যাশনাল আইডিয়া কেস কম্পিটিশন ‘বিজব্যাটেল’

কুয়েটে অনুষ্ঠিত হলো ন্যাশনাল আইডিয়া কেস কম্পিটিশন ‘বিজব্যাটেল’

ভারতের ড্রেসিংরুম চ্যাপেল যুগের মতো বিধ্বস্ত: হরভজন

ভারতের ড্রেসিংরুম চ্যাপেল যুগের মতো বিধ্বস্ত: হরভজন

জুনে জাফর-২ ও পায়া উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে ইরান

জুনে জাফর-২ ও পায়া উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে ইরান

আন্দোলনের ইমেজ বিশ্বকে জানাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

আন্দোলনের ইমেজ বিশ্বকে জানাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে বাঁশ ও বেত শিল্প প্রায় বিলুপ্ত

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে বাঁশ ও বেত শিল্প প্রায় বিলুপ্ত

দুই যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ৪ সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে- গ্রেপ্তার- ১

দুই যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ৪ সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে- গ্রেপ্তার- ১

হবিগঞ্জে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি

হবিগঞ্জে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি

ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি শুরু

ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি শুরু

শুরু হয়েছে 'শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ সিজন–২ এর রেজিষ্ট্রেশন; কি থাকবে এবারের পর্বে?

শুরু হয়েছে 'শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ সিজন–২ এর রেজিষ্ট্রেশন; কি থাকবে এবারের পর্বে?

‘২০ বছরের অধিক সাজাখাটা বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিন’

‘২০ বছরের অধিক সাজাখাটা বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিন’

বাংলাদেশে ঢুকে গাছের ডাল কাটল বিএসএফ, সীমান্তে উত্তেজনা

বাংলাদেশে ঢুকে গাছের ডাল কাটল বিএসএফ, সীমান্তে উত্তেজনা

নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় ৬ জন গ্রেফতার, ড্রেজার জব্দ

নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় ৬ জন গ্রেফতার, ড্রেজার জব্দ

ইরানের সুপ্রিম কোর্টের সামনে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত দুই বিচারক

ইরানের সুপ্রিম কোর্টের সামনে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত দুই বিচারক

কলাপাড়ায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, প্রকল্প পরিচালকের গাড়ী বহর আটকে দিল বিক্ষোভকারীরা

কলাপাড়ায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, প্রকল্প পরিচালকের গাড়ী বহর আটকে দিল বিক্ষোভকারীরা

সাজিদ-নোমানের ঘূর্ণিতে ১৩৭ রানেই শেষ উইন্ডিজ

সাজিদ-নোমানের ঘূর্ণিতে ১৩৭ রানেই শেষ উইন্ডিজ

কেন মেলোনির সামনে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী?

কেন মেলোনির সামনে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী?

ট্রাম্পের অভিষেকে যোগ দিচ্ছেন মুকেশ ও নীতা আম্বানি

ট্রাম্পের অভিষেকে যোগ দিচ্ছেন মুকেশ ও নীতা আম্বানি