গাজায় ‘ভালো ব্যবহার’ পেয়েছি, বললেন মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি নারী

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৫৬ পিএম | আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৫৬ পিএম

হামাসের হাতে অপহৃত হওয়ার সময়টা ভয়ংকর হলেও গাজায় জিম্মি অবস্থায় তাদের কাছ থেকে ‘ভালো ব্যবহার’ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিপ্রাপ্ত এক ইসরায়েলি নারী। তিনি বলেছেন, বন্দিদশায় তাদের যেন কোনো সমস্যা না হয়, তার সব বন্দোবস্ত করে রেখেছিল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি।

‘মানবিক কারণে’ গত সোমবার (২৩ অক্টোবর) আরও দুই ইসরায়েলি নারীকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তারা হলেন ৮৫ বছর বয়সী ইয়োচেভেদ লিফশিৎজ এবং ৭৯ বছর বয়সী নুরিত কুপার। তাদের মুক্তির বিষয়ে মধ্যস্থতা করেছে কাতার ও মিশর।

এ নিয়ে মোট চার জিম্মিকে মুক্তি দিলো হামাস। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে অন্তত ২১৮ জনকে জিম্মি করেছিলেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।

‘ওরা প্রস্তুত ছিল’
ছাড়া পাওয়ার একদিন পরে গত মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন লিফশিৎজ। তেল আবিবে একটি হাসপাতালের সামনে হুইলচেয়ারে বসে কথা বলেন তিনি।

অপহৃত হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে এ ইসরায়েলি বৃদ্ধা জানান, যখন বাইকে ছিলাম, তখন আমার মাথা একপাশে আর শরীরের বাকি অংশ অন্য পাশে ছিল। তরুণ যোদ্ধারা পথে আমাকে আঘাত করেছিল। তারা আমার পাঁজর ভাঙেনি, তবে এটি যন্ত্রণাদায়ক ছিল এবং আমার শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছিল।

সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে এ নারী বলেন, আমি জাহান্নামের ভেতর ছিলাম... আমরা কখনো জানতাম না বা ভাবিনিওনি এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে।

তবে গাজায় পৌঁছানোর পর অপহরণকারীরা তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা যে খাবার খেতেন, সেই একই খাবার দেওয়া হতো লিফশিৎজ এবং অন্য জিম্মিদের।

ছাড়া পাওয়ার সময় এক হামাস যোদ্ধার সঙ্গে করমর্দন করেছিলেন ইসরায়েলি এ নারী। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আমাদের সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করেছিল এবং প্রয়োজনীয় সব কিছু দিয়েছিল।

বৃদ্ধার কথায়, এর জন্য তাদের প্রস্তুত বলে মনে হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিল। নারী-পুরুষের যা যা দরকার, যেমন- শ্যাম্পুসহ সব কিছুই ছিল তাদের কাছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর ক্ষোভ
নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এদিন ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ক্ষোভও ঝেড়েছেন অপহরণের শিকার হওয়া এই বৃদ্ধা। তার কথায়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামাসের হুমকিকে অবহেলা করেছিল। এছাড়া ব্যয়বহুল নিরাপত্তা বেড়া তাদের কোনো কাজেই আসেনি।

লিফশিৎজ বলেন, শিন বেট (ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা) এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অসচেতনতা আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। ওরা (হামাস) তিন সপ্তাহ আগেই আমাদের সতর্ক করেছিল- তারা ক্ষেত জ্বালিয়ে দিয়েছিল, আগুনের বেলুন পাঠিয়েছিল। কিন্তু আইডিএফ সেগুলোকে গুরুত্বসহকারে দেখেনি।

সূত্র: আল-জাজিরা, সিএনএন


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

নাইজেরিয়ায় পেট্রোল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৭০
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
ইস্তানবুলে বিষাক্ত মদ পানে ৩৩ জনের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক ৩২ জন
চিকি‍ৎসার নামে ২০০ রোগিনীকে যৌন হেনস্থা
অলিম্পিকের মেডেলও ছাপ ফেলল ‘কেলেঙ্কারি’?
আরও

আরও পড়ুন

নাইজেরিয়ায় পেট্রোল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৭০

নাইজেরিয়ায় পেট্রোল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৭০

লাল সন্ত্রাসের ঘোষণা : মেঘমল্লার বসুর শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

লাল সন্ত্রাসের ঘোষণা : মেঘমল্লার বসুর শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

চুয়াডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুল হককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম

চুয়াডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুল হককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম

বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবে না কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবে না কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু

মধ্যরাতে জাবির ছাত্রী হলের রুম থেকে লালন ভক্ত যুবক আটক

মধ্যরাতে জাবির ছাত্রী হলের রুম থেকে লালন ভক্ত যুবক আটক

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান

ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল

ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল

অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা

টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের

ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের

গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা

গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা

রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি

রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি

বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম

বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান

২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার

ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার

লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭

লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭

প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু

শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু

কী আছে তৌফিকার লকারে?

কী আছে তৌফিকার লকারে?