ঢাকা   মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১

গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল এখন কবরস্থানে : ডব্লিউএইচও

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫৮ পিএম | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫৮ পিএম

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল পরিণত হচ্ছে কবরস্থানে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমনকি গাজার এই হাসপাতালটি মৃতদেহ দাফনও করতে পারছে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

গাজায় টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালকে ‘প্রায় কবরস্থান’ বলে বর্ণনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এই হাসপাতালটি গত কয়েকদিন ধরে তীব্র লড়াই প্রত্যক্ষ করছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জোর দিয়ে বলেছে, হাসপাতালের নিচে অবস্থিত একটি টানেলে হামাস কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল সেন্টার পরিচালনা করছে। তবে হামাস এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এটি অস্বীকার করেছে।

এই পরিস্থিতিতে ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, এখনও প্রায় ৬০০ জন হাসপাতালটিতে রয়ে গেছেন এবং অন্যরা হাসপাতালের হলওয়েতে আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের আশপাশে এমন অনেক মৃতদেহ পড়ে আছে যেগুলোর কাছে যাওয়া যাচ্ছে না, এমনকি দাফনও করা যাচ্ছে না বা সেগুলো উদ্ধার করে কোনও মর্গেও নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। যেভাবে কাজ করা উচিত হাসপাতালটি এখন আর সেভাবে কাজ করছে না। এটি এখন প্রায় একটি কবরস্থান।’

এদিকে হাসপাতালে মৃতদেহ জমে ও পচে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ড. মোহাম্মদ আবু সেলমিয়া বিবিসিকে বলেছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনও পচনশীল মৃতদেহগুলোকে দাফন করার জন্য হাসপাতালের বাইরে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি। এতে করে কুকুররা এখন হাসপাতালের মাঠে ঢুকে মৃতদেহ খেতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে আল-শিফা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে রোগীরা। জেনারেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা কয়েক ডজন শিশুর জীবনও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। মূলত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে তারা ইনকিউবেটরে আর থাকতে পারছে না।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান ট্রাম্প
শপথ নিয়েই যেসব নির্বাহী আদেশ সই করলেন ট্রাম্প
ইলন মাস্কের ‘নাৎসি’ অঙ্গভঙ্গি নিয়ে বিতর্ক
ট্রাম্পের জন্য জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন কঠিন হতে পারে
লেবাননের নতুন নেতৃত্বে হিজবুল্লাহর প্রভাব কি হ্রাস পাচ্ছে?
আরও

আরও পড়ুন

সোনারগাঁওয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক

সোনারগাঁওয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক

আবাহনীর ৬ মিনিটের ঝড়ে এলোমেলো ফকিরাপুল

আবাহনীর ৬ মিনিটের ঝড়ে এলোমেলো ফকিরাপুল

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান ট্রাম্প

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান ট্রাম্প

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য চায় জামায়াতের আমির ও চরমোনাই পীর

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য চায় জামায়াতের আমির ও চরমোনাই পীর

শপথ নিয়েই যেসব নির্বাহী আদেশ সই করলেন ট্রাম্প

শপথ নিয়েই যেসব নির্বাহী আদেশ সই করলেন ট্রাম্প

বাগবাড়ীতে ১ হাজার পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

বাগবাড়ীতে ১ হাজার পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

ইলন মাস্কের ‘নাৎসি’ অঙ্গভঙ্গি নিয়ে বিতর্ক

ইলন মাস্কের ‘নাৎসি’ অঙ্গভঙ্গি নিয়ে বিতর্ক

খুবি কেন্দ্রে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে নানা সিদ্ধান্ত

খুবি কেন্দ্রে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে নানা সিদ্ধান্ত

পাকুন্দিয়ায় দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে বিএনপি নেতা খুন

পাকুন্দিয়ায় দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে বিএনপি নেতা খুন

গাজীপুরে মহাসড়ক ঘেঁষে ময়লা‌ আবর্জনা, দুর্গন্ধে অতিষ্ট পথচারীরা

গাজীপুরে মহাসড়ক ঘেঁষে ময়লা‌ আবর্জনা, দুর্গন্ধে অতিষ্ট পথচারীরা

শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেওয়া হবে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন: আইন উপদেষ্টা

শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেওয়া হবে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন: আইন উপদেষ্টা

কাপ্তাইয়ে   চম্পাকুঁড়ি খেলাঘর আসরের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

কাপ্তাইয়ে   চম্পাকুঁড়ি খেলাঘর আসরের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জালালাবাদ ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি রায়হান ফারহি, সম্পাদক মোফাজ্জল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জালালাবাদ ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি রায়হান ফারহি, সম্পাদক মোফাজ্জল

লামায় ৪ ইটভাটার মালিককে ১১ লাখ টাকা জরিমানা

লামায় ৪ ইটভাটার মালিককে ১১ লাখ টাকা জরিমানা

পিরোজপুরে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও কর্মশালা

পিরোজপুরে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও কর্মশালা

গেল বছর উখিয়া টেকনাফে ১৯২ জনকে অপহরণ: সংখ্যা আর কত বৃদ্ধি পেলে রাষ্ট্রযন্ত্র ও প্রশাসনের টনক নড়বে!

গেল বছর উখিয়া টেকনাফে ১৯২ জনকে অপহরণ: সংখ্যা আর কত বৃদ্ধি পেলে রাষ্ট্রযন্ত্র ও প্রশাসনের টনক নড়বে!

মেসির আচরণে ক্ষুব্ধ মেক্সিকোর সাবেক তারকা ফুটবলার

মেসির আচরণে ক্ষুব্ধ মেক্সিকোর সাবেক তারকা ফুটবলার

র‍্যাশফোর্ডের নতুন ঠিকানা বার্সালোনা?

র‍্যাশফোর্ডের নতুন ঠিকানা বার্সালোনা?

জুলাই বিপ্লবের ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্র চলছে: হাসান সরকার

জুলাই বিপ্লবের ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্র চলছে: হাসান সরকার

তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টিকে অপসারণ করলেন প্রেসিডেন্ট

তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টিকে অপসারণ করলেন প্রেসিডেন্ট