উত্তর ইরানের ঐতিহাসিক রত্ন কালে রুদখান
১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম
উত্তর ইরানের শীর্ষ পর্যটন গন্তব্য কালে রুদখানে একটি পুনরুদ্ধার প্রকল্প শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রকল্পটির জন্য ২৫ বিলিয়ন রিয়ালের (৫০ হাজার মার্কিন ডলার) সরকারি বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গিলান প্রদেশের পর্যটন প্রধান বালি জাহানি এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রাচীনকালের এবং আর্দ্র ও বনজ জলবায়ুতে অবস্থিত হওয়ার কারণে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধটির অনেক ক্ষতি হয়েছে।
খননের মাধ্যমে উন্মোচিত প্রাথমিক প্রমাণগুলি ইঙ্গিত বহন করে, কাঠামোটির ভিত্তি নির্মিত হয় সাসানীয় যুগে (২২৪-৬৫১)। পরবর্তীতে সেলজুক শাসনামলে (১০৪০-১১৫৭) এটি পুনর্নির্মিত হয়।
কালে রুদখানকে গিলানের একটি ঐতিহাসিক মাস্টারপিস বলে উল্লেখ করেন এই পর্যটন কর্মকর্তা।
বিশিষ্ট স্থাপত্য ও চোখ ধাঁধানো নানা দর্শনীয় স্থানের কারণে এবং হাইরকানিয়ান বনের কেন্দ্রস্থলে ব্যতিক্রমী অবস্থানের কারণে দুর্গটি প্রতি বছর ইরান এবং বিশ্বের বহু পর্যটককে আকৃষ্ট করে।
স্মৃতিস্তম্ভের তাৎপর্য এবং উৎস সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে জাহানি বলেন, কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, রুদখান দুর্গের প্রতিষ্ঠা হয়েছে সাসানিদ যুগে (বা প্রথম দিকের ইসলামী যুগ)।
সেলজুক আমলে দুর্গটি পুনর্নির্মাণ করা হয় এবং ইসমাইলি যোদ্ধারা এটি একটি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে।
ইট এবং পাথর দিয়ে তৈরি প্রাচীর ঘেরা দুর্গটি প্রায় ৫০ হাজার বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। এটি একটি কাঁটাযুক্ত পাথুরে অঞ্চলের দুই পাশে নির্মিত। তাই এর স্থাপত্য প্রাকৃতিক পর্বতীয় বৈশিষ্ট্য থেকে উপকৃত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত এটির নির্মাণের তারিখ সম্পর্কিত কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। ১৮ শতকে জান্দ রাজবংশের আগ পর্যন্ত স্মৃতিস্তম্ভটি ক্রমাগত ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। সূত্র: তেহরান টাইমস
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার