ঢাকা   মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১

উত্তর ইরানের ঐতিহাসিক রত্ন কালে রুদখান

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম

 

 

উত্তর ইরানের শীর্ষ পর্যটন গন্তব্য কালে রুদখানে একটি পুনরুদ্ধার প্রকল্প শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রকল্পটির জন্য ২৫ বিলিয়ন রিয়ালের (৫০ হাজার মার্কিন ডলার) সরকারি বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গিলান প্রদেশের পর্যটন প্রধান বালি জাহানি এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রাচীনকালের এবং আর্দ্র ও বনজ জলবায়ুতে অবস্থিত হওয়ার কারণে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধটির অনেক ক্ষতি হয়েছে।

খননের মাধ্যমে উন্মোচিত প্রাথমিক প্রমাণগুলি ইঙ্গিত বহন করে, কাঠামোটির ভিত্তি নির্মিত হয় সাসানীয় যুগে (২২৪-৬৫১)। পরবর্তীতে সেলজুক শাসনামলে (১০৪০-১১৫৭) এটি পুনর্নির্মিত হয়।

কালে রুদখানকে গিলানের একটি ঐতিহাসিক মাস্টারপিস বলে উল্লেখ করেন এই পর্যটন কর্মকর্তা।

বিশিষ্ট স্থাপত্য ও চোখ ধাঁধানো নানা দর্শনীয় স্থানের কারণে এবং হাইরকানিয়ান বনের কেন্দ্রস্থলে ব্যতিক্রমী অবস্থানের কারণে দুর্গটি প্রতি বছর ইরান এবং বিশ্বের বহু পর্যটককে আকৃষ্ট করে।

স্মৃতিস্তম্ভের তাৎপর্য এবং উৎস সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে জাহানি বলেন, কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, রুদখান দুর্গের প্রতিষ্ঠা হয়েছে সাসানিদ যুগে (বা প্রথম দিকের ইসলামী যুগ)।

সেলজুক আমলে দুর্গটি পুনর্নির্মাণ করা হয় এবং ইসমাইলি যোদ্ধারা এটি একটি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে।

ইট এবং পাথর দিয়ে তৈরি প্রাচীর ঘেরা দুর্গটি প্রায় ৫০ হাজার বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। এটি একটি কাঁটাযুক্ত পাথুরে অঞ্চলের দুই পাশে নির্মিত। তাই এর স্থাপত্য প্রাকৃতিক পর্বতীয় বৈশিষ্ট্য থেকে উপকৃত হয়েছে।

এখন পর্যন্ত এটির নির্মাণের তারিখ সম্পর্কিত কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। ১৮ শতকে জান্দ রাজবংশের আগ পর্যন্ত স্মৃতিস্তম্ভটি ক্রমাগত ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। সূত্র: তেহরান টাইমস


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ট্রাম্পের জন্য জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন কঠিন হতে পারে
লেবাননের নতুন নেতৃত্বে হিজবুল্লাহর প্রভাব কি হ্রাস পাচ্ছে?
টিকটককে ৭৫ দিন সময় দিলেন ট্রাম্প
তুরস্কের হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০, আহত আরও ৩২
পানামা খাল নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যের কড়া জবাব প্রেসিডেন্ট মুলিনোর
আরও

আরও পড়ুন

নরসিংদীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ চলছে

নরসিংদীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ চলছে

কুষ্টিয়ায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলাচল করছে বালুভর্তি ড্রামট্রাক

কুষ্টিয়ায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলাচল করছে বালুভর্তি ড্রামট্রাক

আমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২ কোটি টাকা মূল্যের ১৬টি দোকান পুড়ে ছাই

আমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২ কোটি টাকা মূল্যের ১৬টি দোকান পুড়ে ছাই

ঘোড়াঘাটে সিসি ক্যামেরার সামনে থেকে দিনের বেলায় মোটরসাইকেল চুরি

ঘোড়াঘাটে সিসি ক্যামেরার সামনে থেকে দিনের বেলায় মোটরসাইকেল চুরি

ট্রাম্পের জন্য জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন কঠিন হতে পারে

ট্রাম্পের জন্য জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন কঠিন হতে পারে

লেবাননের নতুন নেতৃত্বে হিজবুল্লাহর প্রভাব কি হ্রাস পাচ্ছে?

লেবাননের নতুন নেতৃত্বে হিজবুল্লাহর প্রভাব কি হ্রাস পাচ্ছে?

টিকটককে ৭৫ দিন সময় দিলেন ট্রাম্প

টিকটককে ৭৫ দিন সময় দিলেন ট্রাম্প

আদানি পুত্রের বিয়েতে আসছেন টেইলর সুইফট!

আদানি পুত্রের বিয়েতে আসছেন টেইলর সুইফট!

বেনজীরের সাভানা ইকো রিসোর্টে এনবিআরের অভিযান, মিলেছে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকির প্রমাণ

বেনজীরের সাভানা ইকো রিসোর্টে এনবিআরের অভিযান, মিলেছে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকির প্রমাণ

৭ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার হবে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা: আইন উপদেষ্টা

৭ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার হবে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা: আইন উপদেষ্টা

পঞ্চগড়ে তারুণ্যের উৎসবে বিনামুল্যে চক্ষু শিবির

পঞ্চগড়ে তারুণ্যের উৎসবে বিনামুল্যে চক্ষু শিবির

আগামীকাল নেত্রকোণা জেলা যুবদলের সভাপতি মরহুম আল আমিন খান পাঠানের মৃত্যুবার্ষিকী

আগামীকাল নেত্রকোণা জেলা যুবদলের সভাপতি মরহুম আল আমিন খান পাঠানের মৃত্যুবার্ষিকী

তুরস্কের হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০, আহত আরও ৩২

তুরস্কের হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০, আহত আরও ৩২

কাল উত্তরায় আসছেন ধর্ম উপদেষ্টা ২ দিনব্যাপী ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির শুরু কাল

কাল উত্তরায় আসছেন ধর্ম উপদেষ্টা ২ দিনব্যাপী ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির শুরু কাল

কুলাউড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা

কুলাউড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা

জয়পুরহাট সীমান্তে বিএসএফের বেড়া, বিজিবির বাধায় কাজ বন্ধ

জয়পুরহাট সীমান্তে বিএসএফের বেড়া, বিজিবির বাধায় কাজ বন্ধ

অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে নির্বাচিত সরকার ভালো : মির্জা ফখরুল

অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে নির্বাচিত সরকার ভালো : মির্জা ফখরুল

ধরা পড়েননি পালানো ওসি, ‘সম্ভবত’ ইন্ডিয়া চলে গেছেন: ডিএমপি কমিশনার

ধরা পড়েননি পালানো ওসি, ‘সম্ভবত’ ইন্ডিয়া চলে গেছেন: ডিএমপি কমিশনার

কলাপাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্ক্র্যাপ চুরির মামলায় শ্রমিক দলের সভাপতি জেল হাজতে

কলাপাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্ক্র্যাপ চুরির মামলায় শ্রমিক দলের সভাপতি জেল হাজতে

জয়পুরহাট সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেস্টাকালে বিজিবির বাধায় বন্ধ

জয়পুরহাট সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেস্টাকালে বিজিবির বাধায় বন্ধ