হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে সমঝোতা আগেই হয়েছিল। কাতার জানিয়েছে, শুক্রবার সাময়িক সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে। সে সময়েই পণবন্দিদের মুক্তি দেবে হামাস।

কাতার, মিশর এবং আমেরিকার মধ্যস্থতায় সমঝোতায় ঠিক হয়েছিল, শুক্রবার সাময়িক সময়ের জন্য লড়াই বন্ধ থাকবে। সে সময় হামাস ৫০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেবে। গত ৭ অক্টোবর হামাস যাদের ইসরাইল থেকে পণবন্দি করেছিল, তাদের থেকেই ৫০ জনকে মুক্তি দেয়া হবে। অন্যদিকে ইসরাইলও বেশ কিছু ফিলিস্তিনি জেলবন্দিকে মুক্তি দেবে। কাতার জানিয়েছে, এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে লড়াই বন্ধ থাকবে। প্রথম পণবন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে বিকেল ৪টা নাগাদ। তার মাঝে গাজার মানুষের জন্য মানবিক ত্রাণও নিয়ে যাওয়া হবে।

তবে শুক্রবারের এই বিরতি সাময়িক বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সামরিক প্রধান। সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘একটা লম্বা লড়াইয়ের মাঝে সামান্য বিরতি।’ তার বক্তব্য, উত্তর গাজায় আধিপত্য কায়েম করা এই লড়াইয়ের প্রথম পদক্ষেপ বলা যেতে পারে। এখনো অনেক লড়াই বাকি আছে। তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তী লড়াইয়ের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই পরবর্তী ধাপের লড়াই শুরু হবে।

দ্য টাইমস অফ ইসরাইল পত্রিকায় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আরো অন্তত দুই মাস লড়াই চলবে। পত্রিকাটি জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশের সেনা বাহিনীকে পরবর্তী ধাপের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। নতুন করে অস্ত্রের জোগান দেয়ার কথাও বলেছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘লড়াই চলবে কারণ, বাকি পণবন্দিদের মুক্ত করতে হবে। হামাসের উপর চাপ তৈরি না করলে সে কাজ সম্ভব হবে না।’ শুধু তা-ই নয়, তিনি জানিয়েছেন, যে কাজ শুরু হয়েছে, তা শেষ করতে হবে। অর্থাৎ, গাজা স্ট্রিপে ইসরাইলের ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।