পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিমসটেকের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি জোরদার করার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রদূতদের সাথে পরামর্শ করেছেন।
তিনি বলেন, বিমসটেকের প্রতি ভারতের অঙ্গীকার জোরদার করার জন্য একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিমসটেক দেশগুলিতে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং আমাদের আসন্ন সেক্রেটারি জেনারেল এই আলোচনায় যোগ দিয়েছেন। খবর ইকোনোমিক্স টাইমস’র।
বিমসটেক, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন ( বিমসটেক )। সাতটি দেশের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা; বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও থাইল্যান্ড এর সদস্য।
এটি একটি আঞ্চলিক বহুপাক্ষিক সংস্থা এবং এর সদস্যরা বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এবং সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থিত একটি সংলগ্ন আঞ্চলিক ঐক্য গঠন করেছে।
বিমসটেক শুধু দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকেই নয়, হিমালয় ও বঙ্গোপসাগরকেও সংযুক্ত করেছে।
সংগঠনটির লক্ষ্য দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরি করা। সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা এবং এই অঞ্চলে জনসাধারণের আগ্রহের বিষয়গুলিতে সহযোগিতা করা।
এর আগে জুলাইয়ে জয়শঙ্কর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের রিট্রিটে যোগ দেন, যেখানে বিমসটেকের সাতটি সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন।
বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নয়াদিল্লির নেবারহুড ফার্স্ট অ্যান্ড অ্যাক্ট ইস্ট নীতি নিয়ে আলোচনা করেন। এই নীতি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার সম্প্রসারিত প্রতিবেশীকে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র নীতির অংশ।
এদিকে, বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ১৮তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বসম্মতিক্রমে জি-২০ নয়াদিল্লি নেতৃবৃন্দের ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়।
বৈঠকের পর জয়শঙ্কর বলেন, জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় ত্রাণ সামগ্রী রফতানি এবং যুদ্ধ সাময়িক বিরতিসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যে সমঝোতা হয়েছে তাকে জি-২০ সদস্যরা স্বাগত জানিয়েছে। নেতৃবৃন্দ সম্মত অঙ্গীকার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার বিষয়ে দৃঢ় মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।