তাইওয়ানের জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে বেইজিং তাদের মিশন অব্যাহত রেখেছে। কারণ তাইওয়ান বৃহস্পতিবার রাতে তার দ্বীপের চারপাশে চীনা সামরিক তৎপরতার খবর দিয়েছে। বলা হয়েছে চীনা বিমান তাইওয়ান প্রণালীর সংবেদনশীল মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। খবর রয়টার্সের।
গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান যাকে চীন তার নিজস্ব অঞ্চল বলে দাবি করে। গত চার বছর ধরে দ্বীপের কাছে নিয়মিত চীনা সামরিক টহল এবং মহড়ার অভিযোগ করছে।
তাইওয়ানে আগামী ১৩ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চীনের সাথে সম্পর্ক একটি প্রধান বিতর্কের বিষয়।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা এসইউ-৩০, জে-১০ ও জে-১১ যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি পারমাণবিক সক্ষম এইচ-৬ বোমারু বিমান দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তৎপরতার বিষয়টি সনাক্ত করেছে।
এর মধ্যে ১৩টি বিমান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্য রেখা বা নিকটবর্তী এলাকা অতিক্রম করে চীনা যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে 'যৌথ যুদ্ধ প্রস্তুতি টহল' চালানোর কাজ করছে।
প্রণালীর মধ্যবর্তী লাইনটি একসময় উভয় পক্ষের মধ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক বাধা হিসাবে কাজ করেছিল। তবে চীনা বিমানগুলি এখন নিয়মিতভাবে এর উপর দিয়ে উড়ে যায়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাইওয়ান তাদের নিজস্ব বাহিনী পাঠিয়েছে পর্যবেক্ষণের জন্য।
গত এক মাসে তাইওয়ানে চীনের বিমান বাহিনীর অন্তত চারটি বড় আকারের তৎপরতার খবর পাওয়া গেছে, যা নিয়ে বেইজিং কোনো মন্তব্য করেনি।
চীন বলছে, তাইওয়ানে তাদের কার্যক্রমের লক্ষ্য তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে 'যোগসাজশ' রোধ করা এবং চীনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা।
তাইওয়ান সরকার, বারবার চীনের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে এবং বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাইওয়ান বারবার বলছে, কেবল দ্বীপের জনগণই তাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে পারে।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির লাই চিংতে যাকে বেইজিং বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে নিন্দা করেছে। তিনিই তাইওয়ানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
তাইওয়ানের প্রধান বিরোধী দল কুওমিনতাং ঐতিহ্যগতভাবে বেইজিংয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে সমর্থন করে। তারা নির্বাচনে জয়ী হলে চীনের সাথে সংলাপ পুনরায় শুরু করার অঙ্গীকার করেছে।