পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আসিম মুনির এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার পর স্টেট ডিপার্টমেন্ট একটি প্রধান মিত্র এবং অংশীদার হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের কেন্দ্রিকতার উপর জোর দিয়েছে। জেনারেল মুনির, যিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত সফরে রয়েছেন, তিনি প্রধান প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র নীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

যদিও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং এ সফরের ঘোষণা দিয়েছে, তবে তার সফরের বিস্তারিত সূচি প্রকাশ করা হয়নি। ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্রগুলো অবশ্য বলেছে যে, তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষা ও রাষ্ট্র সচিবের পাশাপাশি হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে পারেন। ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের ব্যস্ততার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র এ সফর সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট বিবরণ দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।

তবে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে স্থায়ী সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছে। ‘পাকিস্তান একটি প্রধান ন্যাটো মিত্র এবং ন্যাটো অংশীদার। সাধারণভাবে বলতে গেলে, আমরা আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে তাদের সাথে অংশীদারিত্বের জন্য উন্মুখ,’ ডনকে মুখপাত্র বলেছেন। যেহেতু জেনারেল মুনিরের ওয়াশিংটনে আগমন একটি ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সময়ে হয়েছিল যেটি অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সাথে একীভূতকরণকে সমর্থন করেছিল, তাই অনেকেই অনুমান করেছিলেন যে মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে তিনি যে আলোচনা করেছিলেন তাতে এ বিষয়টি উপস্থিত হতে পারে।

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র একটি পরিমাপিত অবস্থান বজায় রেখেছিলেন। ‘আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের ঘটনাগুলি ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করছি, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়কে লক্ষ্য করে,’ তারা ডনের সাথে কথা বলেছে। মুখপাত্র অবশ্য ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উপর এ সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন।

মুখপাত্র যোগ করেছেন, ‘আমরা জম্মু ও কাশ্মীরে রাজনৈতিক স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য ভারত সরকারের আরও পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছি, যার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নির্ধারিত বিধানসভা নির্বাচনও রয়েছে।’ সূত্র: ডন।