জাপানে ভূমিকম্প: ব্যাহত উদ্ধারকাজ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩২ এএম | আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৫ এএম
ভারী বৃষ্টি আর তীব্র ঠাণ্ডায় ব্যাহত হচ্ছে জাপানে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের উদ্ধারকাজ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৭৮ জনে। আহত আরও তিন শতাধিক, যাদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) এমন তথ্য জানিয়েছে ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর।
এরমধ্যেই, জীবিতদের সন্ধানে চালানো হচ্ছে অভিযান। প্রতিকূলতার মধ্যেই দিনরাত-কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। যদিও, ভূমিকম্পের প্রায় তিনদিন পেরিয়ে যাওয়ায় আটকা পড়াদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১ জানুয়ারি) জাপানের প্রধান দ্বীপ হোনশুর নোটো প্রদেশ সুজুর উত্তর উপকূলে স্থানীয় সময় ৪টা ১০ মিনিটে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের ১০ মিনিটের মধ্যে হোনশুর ইশিকাওয়ার ওয়াজিমা শহরে ১ দশমিক ২ মিটার (প্রায় ৪ ফুট) উচ্চতার ঢেউ আঘাত হানে। জারি করা হয় সুনামির সতর্কতা। কয়েক ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
ভূমিকম্পের কারণে সুজুতে অনেক বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে যায়। আগুন লাগে ওয়াজিমা শহরে। এ পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে ৩১ হাজার ৮০০-র বেশি মানুষ।
সুজু শহরের মেয়র মাসুহিরো ইজুমিয়ার জানান, ভূমিকম্পে শহরটির প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। অবশিষ্ট ৩৪ হাজার বাড়িঘরে নেই কোনো বিদ্যুৎ। পুরো শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়। ভূমিধস ও ভারী বৃষ্টির কারণে ত্রাণ কার্যক্রম ও উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছেন। এতে করে ভূমিধসের ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এক জরুরি টাস্কফোর্স মিটিংয়ে বলেন, ভূমিকম্প বিপর্যস্ত এলাকার রাস্তাগুলো প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার জাহাজের মাধ্যমে নোটো উপদ্বীপের ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলোতে সাহায্য পাঠানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বের চারটি টেকটোনিক প্লেটের মিলনস্থল জাপানে। এ কারণে দেশটি বিশেষ ভূমিকম্পপ্রবণ। প্রতিবছর শতাধিক ভূমিকম্প হয় জাপানে। তবে শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থার দরুন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পায় পূর্ব এশিয়ার দেশটি।
জাপান সরকারের গত বছরের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সাল থেকে নোটো উপদ্বীপে ভূমিকম্পের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
২০১১ সালে জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের রেকর্ড করা হয়। সমুদ্রের তলদেশে হওয়া ৯ মাত্রার ভূমিকম্পটি প্রলয়ংকরী সুনামিতে রূপ নেয়। সুনামির ফলে, ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রে বিপর্যয় ঘটে। নিহত হয় প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ মানুষ। সূত্র : আলজাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার: তারেক রহমান
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কাম্য নয় : ইউট্যাব
আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের দাবি চরমোনাই পীরের
কোন শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও অনুপ্রবেশকারীর দলে জায়গা হবে না-কেন্দ্রীয় যুব দলের সাধারণ সম্পাদক নুরল ইসলাম নয়ন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে সমাবেশ
বিগত ৫৩ বছরের জঞ্জাল দূর করে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি
তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ছয়জনের পাঁচজনই ছাত্রলীগের
রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে নিহত ১, থমথমে পরিস্থিতিতে ১৪৪ ধারা জারি, ৭২ ঘন্টার অবরোধের ডাক
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান
নিরাপদ ও নির্ভয়ে উদযাপন হবে শারদীয় দূর্গোদসব এবং দূর্গাপূজা- এসএমপি কমিশনার রেজাউল করিম
মব কিলিং সরকার সমর্থন করে না: উপদেষ্টা নাহিদ
চট্টগ্রামে রাতের আঁধারে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর
বলিউডে কারিনা কাপুরের ২৫ বছর
মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ঢাবি কর্তৃপক্ষ
রাজশাহীতে ট্রেনে বরযাত্রীদের ওপর হামলা
চিহ্নিত গোষ্ঠী আবার দখলদারি ও চাঁদাবাজি শুরু করেছে : সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই
গায়িকা রুকসানার রহস্যজনক মৃত্যু!
যে কোনো মূল্যে লাহোর কর্মসূচি সফল করুন: ইমরান খান
চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালকসহ নিহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ভবনে বিচারককে গুলি করে হত্যা