রাখাইনে তীব্র লড়াই, সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর দখলে নিল আরাকান আর্মি
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৩ এএম | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৩ এএম

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির (এএ) যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। রোববার রাখাইনের মিনবিয়া শহরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৩৮০ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর দখলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আরাকান আর্মি।
থাইল্যান্ড-ভিত্তিক মিয়ানমারের ইংরেজি দৈনিক ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ইরাবতি বলছে, রাখাইনের ম্রাউক ইউ, কিয়াকতাও ও রাথেডং এলাকায় জান্তা বাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির সদস্যদের লড়াই চলছে।
এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি বলেছে, ‘‘জান্তা সৈন্যরা আর আমাদের সাথে লড়াই করতে পারছেন না। তারা এখন আরও বেশি গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলা করছেন।’’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক ম্রাউক ইউ শহরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৩৭৭ ও ৫৪০ ব্যাটালিয়ন এবং পুলিশের ৩১ ব্যাটালিয়ন থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। আরাকান আর্মি বলেছে, শনিবার জান্তা বাহিনীর গোলাবর্ষণে ম্রাউক ইউ শহরের চারজন বাসিন্দা নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, রামরি শহরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জান্তা সৈন্যরা গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছেন। তবে শহরটিতে আরাকান আর্মির বিদ্রোহীদের সাথে সেনাবাহিনীর সম্মুখ লড়াইয়ের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, শনিবার বুথিডং শহরেও উভয়পক্ষের মাঝে তুমুল সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে জান্তা সৈন্যরা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আরাকান আর্মি। এ ছাড়া রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তেতে অবস্থিত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২৩২ ও ৩৪৪ ব্যাটালিয়ন সিত্তে ও মিনবিয়া শহরে গোলাবর্ষণ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে মিনবিয়া শহরের খোয়া সোন গ্রামের অন্তত তিন বাসিন্দা গুরুতর আহত হয়েছেন। এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি পাকতাও শহরের দখল নেয় আরাকান আর্মির যোদ্ধারা। এরপর থেকে পাকতাও শহরে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করছেন জান্তা সৈন্যরা।
আরাকান আর্মি বলেছে, শনিবার রাতেও পাকতাও শহরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওয়াই-১২ সামরিক পরিবহন বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে রাখাইন রাজ্যে নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ চিন রাজ্যের পালেতওয়া ও উত্তর রাখাইনে জান্তা বাহিনীর ১৬০টিরও বেশি ঘাঁটির দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি।
রাখাইনের আরাকান আর্মি ও আরও দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামের একটি জোট গঠন করেছে। এই জোটের যোদ্ধারা গত অক্টোবর থেকে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অপারেশন-১০২৭ নামে এক অভিযান শুরু করে। তাদের হামলার তীব্রতায় টিকতে না পেরে জান্তা বাহিনীর সেনারা অনেক জায়গা থেকে পালিয়ে যান। সূত্র: দ্য ইরাবতি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

বাংলাদেশের সংস্কারে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি জাতিসংঘের

গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা, ন্যাটোকে যুক্ত করতে চান

ভারতের কেন এত ভয় বাংলাদেশ নিয়ে? বারবার কেন হাসিনাকেই চায় ওরা?

মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক

নোয়াখালীতে বিআরডিবির অর্থ কেলেঙ্কারি: আওয়ামীলীগ নেতার ১১ বছর জেল, ৩১ লাখ টাকা জরিমানা

ন্যাটোর অস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান রুটের

৯ মিনিটেই শেষ ট্রেনের আগাম টিকিট, আধাঘণ্টায় ২০ লাখ হিট

যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে ১৭৮ আরোহীবাহী বিমানে ভয়াবহ আগুন

প্রিন্সিপাল মুফতি আব্দুল মতিনের প্রথম জানাজায় মুসল্লিদের ঢল

যুবদলের সভাপতির পায়ের রগ কেটে দিলেন শ্রমিক দল নেতা

সহিংসতা থেকে বাঁচতে রুশ বিমানঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন ৯ হাজার সিরীয়

মসজিদের সামনে মুসলমানদের ওপর হামলা ভারতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়

বদলি নেমে মেসির গোল, শেষ আটে মায়ামি

ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের

পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ইতালির বিপক্ষে জার্মান দল ঘোষণা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ইতিবাচক বললেন ৭৬ শতাংশ উত্তরদাতা

ফিরলেন এমবাপে, প্রথমবার ফ্রান্স দলে ডুয়ে

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সফর: নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সফর এলাকা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈঠক