বুরকিনা ফাসোতে হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ১৭০
০৪ মার্চ ২০২৪, ০১:০৫ পিএম | আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪, ০১:০৫ পিএম
সহিংসতায় বিধ্বস্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে হামলায় প্রায় ১৭০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বহুসংখ্যক নারী ও শিশুও রয়েছে। আফ্রিকার এই দেশটির তিনটি গ্রামে চালানো হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
হামলার পেছনে কোন গোষ্ঠী জড়িত তা জানা যায়নি। সোমবার (৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসোর তিনটি গ্রামে হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ প্রায় ১৭০ জনকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে বলে দেশটির একজন পাবলিক প্রসিকিউটর জানিয়েছেন। কমসিলগা, নর্ডিন এবং সোরো নামে তিনটি গ্রামে হামলা চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
এই ঘটনায় আক্রমণকারীদের খুঁজে বের করতে সাহায্য করার জন্য সাক্ষীদের এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন প্রসিকিউটর অ্যালি বেঞ্জামিন কুলিবালি।
আলাদাভাবে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী ‘শহুরে কেন্দ্রগুলোতে আক্রমণসহ’ ইসলামপন্থীদের আক্রমণের বর্ধিত ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী ২০২২ সালে ক্ষমতা দখল করে। তবে বুরকিনা ফাসোর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
কুলিবালি বলেছেন, তিনি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ইয়াতেঙ্গা প্রদেশে গ্রামে হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছেন। বার্তা-সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে কয়েক ডজন নারী ও শিশু রয়েছে। তবে হামলার পেছনে কোন গোষ্ঠী জড়িত তা জানা যায়নি।
অবশ্য এই হামলা দেশটিতে সাম্প্রতিক সহিংসতার সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে না। সম্প্রতি দেশটির একটি গির্জার পাশাপাশি একটি মসজিদ এবং সেনা ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে শুক্রবার দেশটির সেনাপ্রধান জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলার ঝুঁকি বাড়ার কারণে সৈন্যদের সতর্ক থাকার জন্য বলেছিলেন।
তিনি বলেন, শহরগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘বড় আকারের সিরিজের আক্রমণের শঙ্কা’ রয়েছে।
মানবিক কর্মীরা বলছেন, বুরকিনা ফাসোতে যে সংকট চলছে তা বিশ্বের অন্যতম অবহেলিত সংকট। বছরের পর বছর ধরে ব্যাপক নিরাপত্তা-হীনতার কারণে ২০ লাখেরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে বাস্তু-চ্যুত মানুষে পরিণত হতে বাধ্য হয়েছেন।
জাতিসংঘের ধারণা, পাঁচ বছরের কম বয়সী সকল শিশুর এক-চতুর্থাংশ ক্ষুধার কারণে বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
যদিও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই বছর আগে সামরিক বাহিনী বুরকিনা ফাসোর ক্ষমতা দখল করে, তবুও দেশটিতে এখনও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
এই সপ্তাহের শুরুতে ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিস জানায়, ‘সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল এখন চূড়ান্তভাবে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে এবং সাব-সাহারান আফ্রিকার মধ্য সাহেল অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বুরকিনা ফাসোর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা বর্তমানে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। দেশটির কর্তৃপক্ষ আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সাথে যুক্ত ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এসব গোষ্ঠী সাহেল অঞ্চলের বিশাল অংশ দখল করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাস্তু-চ্যুত করেছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
‘নিষিদ্ধ সংগঠনের নামে মিছিল করলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে’ : আইজিপি
দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : ধর্ম উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল
হেরে গেলেও ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে নারাজ পশ্চিমারা: হাঙ্গেরি
দেশের ৪৮ শতাংশ তরুণকে বাঁচাতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার দাবি
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে মঈন উদ্দিন
'ভূতপরী' সিনেমায় অভূতপূর্ব সমর্থন পেলেন জয়া আহসান'
বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা
ইরানে ইসরাইলের হামলায় উদ্বেগ রাশিয়ার
আলবার গোলে মায়ামির জয়
কেরানীগঞ্জে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী গ্রেফতার
বন্দিবিনিময় চুক্তিতে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবি
পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রির মধ্যে রাখতে না পারলে জলবায়ু অর্থায়ন কোনো কাজেই আসবে না
জনগণের ভোটাধিকার হাইজ্যাক করা দল আওয়ামী লীগ পালিয়েছে : কুমিল্লায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ
নোয়াখালীতে চোরাই অটোরিকশা উদ্ধার , গ্রেফতার ২
ইরানের প্রতিরোধের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় ইসরাইল
উলিপুরে জামায়াতে ইসলামীর গণজমায়েত অনুষ্ঠিত
নেত্রকোনার বিজয়পুর সীমান্তে বিজিবি’র কাছে বাংলাদেশীর মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
সিএমএইচসমূহে ৮৬৭ জন আহত ছাত্র চিকিৎসাধীন রয়েছে
ব্রাহ্মণপাড়ায় বিষপানে এক যুবকের আত্মহত্যা