নির্বাচনী বন্ড থেকে আয়ে বিজেপি ধারেকাছেও নেই কেউ
১৬ মার্চ ২০২৪, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪, ১২:১৬ এএম
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভারতের স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে কমিশনকে। সবচেয়ে বেশি রোজগার করেছে বিজেপি।
২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনী বন্ড থেকে সব চেয়ে বেশি অর্থ রোজগার করেছে বিজেপি। তাদের মোট রোজগারের পরিমাণ ৬ হাজার ৬০ কোটি রুপির সামান্য বেশি। দুই নম্বরেই আছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল। এই সময়ের মধ্যে তাদের মোট রোজগার ১ হাজার ৬০৯ কোটি রুপির সামান্য বেশি। তিন নম্বরে কংগ্রেস। তাদের মোট আয়ের পরিমাণ ১ হাজার ৪২১ কোটি রুপির সামান্য বেশি।
গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস। এই সংস্থাটির মূল ব্যবসা লটারি। মালিক স্যানটিয়াগো মার্টিন। দুর্নীতি এবং টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগে একাধিকবার এই সংস্থায় হানা দিয়েছে ইডি এবং সিবিআই। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) দেয়া তথ্য অনুযায়ী এই সংস্থাটি গত পাঁচ বছরে ১ হাজার ৩৬৮কোটি রুপির বন্ড কিনেছে। তবে বন্ড কেনার ক্ষেত্রে ভারতের প্রায় সমস্ত ছোট-বড় সংস্থার নামই মিলেছে।
২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ঘোষণা করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদান বা চাঁদা দেয়ার জন্য এসবিআই থেকে ইলেক্টোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ড কিনতে পারবে বিভিন্ন সংস্থা। সেই বন্ড দেয়া যাবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। রাজনৈতিক দলগুলি সেই বন্ড ভাঙিয়ে টাকা তুলে নিতে পারবে। এই লেনদেন সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে।
মোদী সরকারের এই নিয়ম আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট এই বন্ডকে অসাংবিধানিক এবং ক্ষতিকারক বলে ব্যাখ্যা দেয়। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসবিআই-কে নির্দেশ দেন, নির্বাচন কমিশনের হাতে বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য তুলে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়, ১৫ মার্চ বিকেল ৫টার মধ্যে সব তথ্য তাদের ওয়েব সাইটে দিয়ে দিতে হবে। সেই মতো ১৪ তারিখ সন্ধেতেই নির্বাচন কমিশন সমস্ত তথ্য ওয়েবসাইটে তুলে দেয়। সেখান থেকেই এই তথ্য মিলেছে।
ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট
এদিকে শুক্রবার শীর্ষ আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাদের বক্তব্য, এসবিআই যে তথ্য জমা দিয়েছে, তা অসম্পূর্ণ। বন্ডের নম্বর উল্লেখ করা হয়নি। সেই নম্বরও জানাতে হবে। বন্ডের নম্বর জানতে পারলে রাজনৈতিক দল এবং অনুদানকারীর সম্পর্ক স্পষ্ট হবে।
বস্তুত, যে সংস্থাগুলির নাম এই ঘটনায় উঠে এসেছে। যারা সবচেয়ে বেশি নির্বাচনী বন্ড কিনেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে দিয়েছে, তাদের মধ্যে প্রথম ৩০টির ১৪টি সংস্থায় কখনো না কখনো ইডি অথবা সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। অর্থাৎ, সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। তাদের অর্থ রাজনৈতিক দলগুলি ব্যবহার করেছে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলিও দুর্নীতির অর্থ ব্যবহার করেছে। এই আশঙ্কাই প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, বন্ডের মাধ্যমে অনুদান নেয়নি বাম দলগুলি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কালিয়াকৈরে শশুরবাড়িতে জামাইকে হত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার বিজয়নগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান'সহ আ:লীগ নেতা
এবার সউদী আরবে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
ট্রাম্পকে জেতাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা দিলেন ইলন মাস্ক
খুবি কেন্দ্রে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৭১ দশমিক ৮১ শতাংশ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও ৫ প্রসিকিউটর নিয়োগ
সাভারে আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত ও আহতদের খোঁজ নিলেন জাবির প্রো-ভিসি
দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনে উ.কোরিয়ার বেলুন থেকে আবর্জনা নিক্ষেপ
গুলিস্তানে দুই বাসের চাপায় ট্রাভেল এজেন্সির মালিক নিহত
বর্তমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব না: মাহমুদুর রহমান
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় হাতি মৃত্যুর ঘটনায় লোকোমাস্টার বরখাস্ত
রাজনৈতিক সমস্যার রাজনীতিবিদদেরই সমাধান করতে হবে : গয়েশ্বর
হলে মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, বাইরে অপেক্ষারত মায়ের মৃত্যু
মাদক সেবনরত অবস্থায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ৭ নেতাকে সাজা
ট্রামির প্রভাবে আকস্মিক বন্যায় ফিলিপাইনে নিহত ৪০, বাস্তুচ্যুত ১০ হাজার মানুষ
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট সচল রাখতে ড্রেজিং শুরু
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার-৪
রামগড়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযান
আখাউড়া ছাত্রলীগ শূণ্য থেকে ‘কোটিপতি’ মুরাদ প্রতাপে এগিয়ে ছিলেন শাপলু
ইসরাইলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন ইরানের!