ঢাকা   শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ | ১০ কার্তিক ১৪৩১

উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ হলো কুকুর পোষা

Daily Inqilab ইনকিলাব

১৬ মার্চ ২০২৪, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪, ১২:১৬ এএম

বাড়িতে কুকুর পোষা মানুষদের ‘অ-সমাজতান্ত্রিক আচরণ’ করার জন্য অভিযুক্ত করেছে উত্তর কোরিয়ার সরকার। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া একটি সংগঠনের বরাতে এই খবর জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যম ডেইলি এনকে।

এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুকুর পোষা কোনো ‘সমাজতান্ত্রিক আচরণ নয়’ এবং শুধু শুধু ‘অর্থের অপচয়’ হয় দাবি করে বিষয়টিকে নিষিদ্ধ করেছে উত্তর কোরিয়ার সোশ্যালিস্ট উইমেনস ইউনিয়ন। সংগঠনটি দাবি করেছে, একটি পোষা কুকুর রাখা এবং এটির সঙ্গে পরিবারের সদস্যের মতো আচরণ করা দেশ পরিচালনার জন্য কিম জং উনের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সোশ্যালিস্ট উইমেনস ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ডেইলি এনকে-এর সঙ্গে কথা বলেছেন। বাড়িতে কুকুর পোষা পরিবারগুলোর সংখ্যা বাড়ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘সোশ্যালিস্ট উইমেনস ইউনিয়ন সম্প্রতি তার সদস্যদের জানিয়েছে, একটি কুকুরকে পরিবারের সদস্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পরিবারের সদস্যরা কুকুরের সঙ্গে খায় এবং ঘুমায়। বিষয়টি সমাজতান্ত্রিক জীবনধারার সঙ্গে বেমানান এবং কঠোরভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় পোষা কুকুর রাখার প্রচলন শুরু হয় চলতি শতকের শুরুর দিকে। সেই সময় সরকার বিষয়টিকে সমস্যা হিসেবে মনে করেনি। কারণ সরকারি অনেক কর্মকর্তা নিজেদের নিরাপত্তা সহ তাঁদের সম্পত্তি চোরের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রহরী কুকুরের প্রয়োজন ছিল।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সোশ্যালিস্ট উইমেন ইউনিয়ন বলছে- কুকুর হলো মূলত একটি মাংস, যা প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে ওঠে এবং মারা গেলে এদের খাওয়া হয়। তাই কুকুরকে বাড়িতে রেখে পোষা সম্পূর্ণ অ-সমাজতান্ত্রিক এবং কঠোরভাবে নির্মূল করা উচিত।

সরকারের আদেশ অমান্য করে বাড়িতে কুকুর পোষাকে একটি বড় সমস্যা হিসেবেও চিহ্নিত করেছে সংগঠনটি। এর কর্তাব্যক্তিরা জানিয়েছেন, কুকুরের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাকে উত্তর কোরিয়ায় ‘পশ্চিমা সংস্কৃতির’ চিহ্ন হিসাবে দেখা হয়। ইঁদুর নির্মূল করার জন্য বাড়িতে বিড়াল রাখার প্রথা দেশটিতে বহু প্রাচীন। তবে কুকুরের সংখ্যা ছিল খুবই কম। তবে সেই সংখ্যা ধীরে ধীরে অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে, বিদেশি জাতের কুকুর- যা উত্তর কোরিয়ায় এক সময় বিরল ঘটনা ছিল।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

স্যান্টনারের তোপে এবার ১৫৬ রানে গুটিয়ে গেল ভারত

স্যান্টনারের তোপে এবার ১৫৬ রানে গুটিয়ে গেল ভারত

কালিয়াকৈরে শশুরবাড়িতে জামাইকে হত্যার অভিযোগ

কালিয়াকৈরে শশুরবাড়িতে জামাইকে হত্যার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার বিজয়নগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান'সহ আ:লীগ নেতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার বিজয়নগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান'সহ আ:লীগ নেতা

এবার সউদী আরবে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

এবার সউদী আরবে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

ট্রাম্পকে জেতাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা দিলেন ইলন মাস্ক

ট্রাম্পকে জেতাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা দিলেন ইলন মাস্ক

খুবি কেন্দ্রে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৭১ দশমিক ৮১ শতাংশ

খুবি কেন্দ্রে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৭১ দশমিক ৮১ শতাংশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও ৫ প্রসিকিউটর নিয়োগ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও ৫ প্রসিকিউটর নিয়োগ

সাভারে আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত ও আহতদের খোঁজ নিলেন জাবির প্রো-ভিসি

সাভারে আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত ও আহতদের খোঁজ নিলেন জাবির প্রো-ভিসি

দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনে উ.কোরিয়ার বেলুন থেকে আবর্জনা নিক্ষেপ

দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনে উ.কোরিয়ার বেলুন থেকে আবর্জনা নিক্ষেপ

গুলিস্তানে দুই বাসের চাপায় ট্রাভেল এজেন্সির মালিক নিহত

গুলিস্তানে দুই বাসের চাপায় ট্রাভেল এজেন্সির মালিক নিহত

বর্তমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব না: মাহমুদুর রহমান

বর্তমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব না: মাহমুদুর রহমান

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় হাতি মৃত্যুর ঘটনায় লোকোমাস্টার বরখাস্ত

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় হাতি মৃত্যুর ঘটনায় লোকোমাস্টার বরখাস্ত

রাজনৈতিক সমস্যার রাজনীতিবিদদেরই সমাধান করতে হবে : গয়েশ্বর

রাজনৈতিক সমস্যার রাজনীতিবিদদেরই সমাধান করতে হবে : গয়েশ্বর

হলে মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, বাইরে অপেক্ষারত মায়ের মৃত্যু

হলে মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, বাইরে অপেক্ষারত মায়ের মৃত্যু

মাদক সেবনরত অবস্থায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ৭ নেতাকে সাজা

মাদক সেবনরত অবস্থায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ৭ নেতাকে সাজা

ট্রামির প্রভাবে আকস্মিক বন্যায় ফিলিপাইনে নিহত ৪০, বাস্তুচ্যুত ১০ হাজার মানুষ

ট্রামির প্রভাবে আকস্মিক বন্যায় ফিলিপাইনে নিহত ৪০, বাস্তুচ্যুত ১০ হাজার মানুষ

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট সচল রাখতে ড্রেজিং শুরু

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট সচল রাখতে ড্রেজিং শুরু

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার-৪

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার-৪

রামগড়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযান

রামগড়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযান

আখাউড়া ছাত্রলীগ শূণ্য থেকে ‘কোটিপতি’ মুরাদ প্রতাপে এগিয়ে ছিলেন শাপলু

আখাউড়া ছাত্রলীগ শূণ্য থেকে ‘কোটিপতি’ মুরাদ প্রতাপে এগিয়ে ছিলেন শাপলু