চীন-ভারত বৈরিতার মধ্যে নেপালে রাজনৈতিক পরিবর্তন
২৪ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৬ এএম | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৬ এএম
১৩ মার্চ নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহল পার্লামেন্টে আস্থা ভোট জিতেছেন। তার দল কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওবাদী) বেইজিংয়ের সাথে সু-সম্পর্কের জন্য পরিচিত। দলটির নয়াদিল্লির দিকে ঝুঁকে থাকা নেপালি কংগ্রেস থেকে দূরে সরে গিয়ে নেপালের আরেক কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী জোট) সাথে মিলিত হওয়ার সিদ্ধান্ত দেশটির রাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনকে চিহ্নিত করেছে।
ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস (আইডিএসএ) এর গবেষক নিহার নায়কের মতে, জোটের এই পরিবর্তন এই অঞ্চলে চীন-ভারত বৈরিতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ এটি নেপালকে চীনা স্বার্থের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত করে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালের অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষায় চীনের প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বেইজিং নেপালে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের (এফডিআই) একটি প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে অবকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে। চীন এর মাধ্যমে নেপালের বৃহত্তম বিনিয়োগকারী হিসেবে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে, যা কাঠমান্ডু ও দিল্লির মধ্যে ঐতিহ্যগত অর্থনৈতিক সম্পর্কের পরিবর্তনকে চিহ্নিত করেছে।
গত সেপ্টেম্বরে চীন ও নেপাল বাণিজ্য, সড়ক যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তিতে সহযোগিতা বাড়াতে সাতটি সমঝোতা স্মারক সহ ১২টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চার বছর বিনিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার পর নেপাল চীনের সাথে একটি বেল্ট অ্যান্ড রোড বাস্তবায়ন চুক্তি স্বাক্ষরের কাছাকাছি রয়েছে বলেও জানা গেছে। নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ কাজী শ্রেষ্ঠা আগামী সপ্তাহে পাঁচ দিনের সফরে চীন সফরে যাচ্ছেন। তিনি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করবেন। এই সফরে প্রত্যাশিত চুক্তিটি স্বাক্ষর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নেপালের বৈদেশিক নীতির পরিবর্তন ভারতের উদ্বেগকে আরও গভীর করতে পারে, যা ঐতিহ্যগতভাবে নেপালকে তার প্রভাব বলয়ের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। পাঁচটি ভারতীয় রাজ্যের সাথে একটি দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া দেশ নেপালে চীনের বর্ধিত প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের জন্য সম্ভাব্য কৌশলগত আধিপত্য সম্পর্কিত উদ্বেগও বাড়িয়েছে।
ভারতীয় সংস্থাগুলি নেপালের প্রধান বিনিয়োগকারী ফিল, যেগুলি মোট অনুমোদিত এফডিআই-এর ৩০ শতাংশেরও বেশি। ২০২৪ সালে জানুয়ারীতে ভারত ও নেপাল একটি দীর্ঘমেয়াদী বিদ্যুৎ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার লক্ষ্য ভবিষ্যতে নেপাল থেকে ১০হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা। দুই দেশের মধ্যে ১৯৫০ সালের শান্তি ও বন্ধুত্বের চুক্তি রয়েছে, যা উভয় দেশে বসবাস, সম্পত্তি, ব্যবসা এবং চলাচলের বিষয়ে ভারতীয় ও নেপালি নাগরিকদের পারস্পরিক আচরণের রূপরেখা দিয়েছে। নেপালের প্রায় ৩২ হাজার গুর্খা সৈন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ভূমিতে নাগরিক সেবা সুনিশ্চিত করতে হবে
বরিশাল অঞ্চলে ‘জরায়ুমুখ ক্যন্সার’ প্রতিরোধে ৫ লাখ কিশোরীকে ‘এইচপিভি’ টিকাদান কর্মসূচী শুরু
টয়লেটের কাজ সেরে সঙ্গে সঙ্গে অজু করা প্রসঙ্গে।
'কেটে গেছে সকল শংকা, নিশ্চিত হয়েছে ভেন্যু, উন্মুক্ত দর্শক,আতিফের অপেক্ষা'
সাতকানিয়ায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলারী আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের অপসারণ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো উপদেষ্টা পরিষদে
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ থেকে বাঁচতে সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আহŸান পীর সাহেব চরমোনাই’র
আকিজ বেকারিকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করলো নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় নারায়ণগঞ্জে আনন্দ মিছিল
নোয়াখালীতে মাদরাসা থেকে ফেরার পথে নসিমন চাপায় ছাত্রের মৃত্যু
যশোর আদ্-দ্বীন নার্সি ইনস্টিটিউটে নবীন বরণ ও গুনিজন সংবর্ধনা
তত্ত¡াবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল চায় ইসলামী ফ্রন্ট
সুবিদ আলী ভুইয়া ও মৃণাল কান্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
হাসিনার অবস্থান জানিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন
রোহিঙ্গাদের দেশের মাটিতে পা রাখতে দিল না ইন্দোনেশিয়া
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সাড়ে ৩’শ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
দীর্ঘ ৯ মাস বাদে জেল থেকে ছাড়া পেলেন ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি
মিডিয়াকে হুমকি ও ঘেরাওয়ের ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়
যশোর ভৈরব নদ থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ শমসপুরের সামাদের
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ থেকে বাঁচতে সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আহŸান পীর সাহেব চরমোনাই’র