ঢাকা   শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ | ১০ কার্তিক ১৪৩১

কেজরিওয়ালের গ্রেফতারে কি বিভেদ ভুলে এক হতে পারবে বিরোধীরা?

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২০ পিএম | আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২০ পিএম

 

 

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক আবহাওয়া বেশ সরগরম, ক্ষমতাসীন বিজেপি আর বিরোধী শিবিরের মধ্যে উত্তেজনাও বাড়ছে চড়চড় করে। এ আবহে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে তৈরি 'ইন্ডিয়া' জোট ঝাড়খণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিকে সামনে রেখে রোববার রামলীলা ময়দানে ভোটের আগে কেন্দ্র সরকারের 'অতি-সক্রিয়তা' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

 

‘লোকতন্ত্র বাঁচাও’-এর ডাক দিয়ে দিল্লির জনসভায় বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া’র একটা ‘ঐক্যবদ্ধ’ ছবিও তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন জোটে সামিল শরিক দলের নেতারা। ওই দিনই আবার উত্তরপ্রদেশের মিরাটে আয়োজিত জনসভায় এই বিরোধী জোটকেই ‘দুর্নীতিগ্রস্তরা একত্রিত হয়েছে' বলে বিঁধেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে সাম্প্রতিককালেও আসন সমঝোতা সংক্রান্ত ইস্যুগুলি নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলির মধ্যে যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছিল, তার আবহে রোববার দিল্লির ঐক্যমঞ্চ বিশেষ অর্থবহ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

 

একই মঞ্চে পাশাপাশি দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গে, রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে)-র প্রধান উদ্ধব ঠাকরে, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, আরজেডি-র তেজস্বী যাদব, এসপি-র অখিলেশ সিংহ যাদব, তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ ইন্ডিয়া জোটে সামিল শরিক দলের নেতাদের। ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল এবং হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেনও।

 

প্রসঙ্গত, একই মঞ্চে শরিক দলের নেতাদের দেখা গেলেও মতপার্থক্য যে সব মিটেছে তা বলা যাবে না, কারণ সিট নিয়ে সর্বত্র সমঝোতা হয়নি। ডেরেক ও’ব্রায়ানকে ইন্ডিয়া জোটের সভায় তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসাবে দেখা গেলেও সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদীয়ার সভায় স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, “সর্বভারতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোট আমি তৈরি করেছি, ইন্ডিয়া নামও আমার দেওয়া। ভোটের পর আমি (জোট) দেখে নেব। লড়ছি একলা। বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।”

 

এখন প্রশ্ন হল দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতারি, ইডি নোটিস-এর মত একইরকম সমস্যায় জেরবার বিরোধী দলগুলি কি আদৌ তাদের পার্থক্য সরিয়ে রেখে নির্বাচনী ময়দানে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘একতা’ দেখাতে পারবে? এবং এই ‘একতার’ প্রতিফলন ভোটব্যাঙ্কে দেখা যাবে কি?

 

ইডি-সিবিআই-আয়কর বিভাগের অভিযান

লোকসভা ভোটের আগে এই প্রথম কোনও বড় সমাবেশে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে সমবেতভাবে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। কেন্দ্র সরকার যে এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টোরেট, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ‘ব্যবহার’ করছে এই বিষয়ে আগেও সরব হয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু ভোটের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার, কংগ্রেসের মতো শতাব্দীপ্রাচীন দলকে আয়কর বিভাগের বকেয়া টাকা দেওয়ার নোটিস পাঠানো ইত্যাদির উদ্দেশ্য যে 'নির্বাচনী ময়দানকে বিরোধীশূন্য করা' - সে বিষয়ের ওপর বিরোধীরা রোববার জোর দিয়েছেন।

 

রোববারের সভায় রাহুল গান্ধী বলেছেন, “ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কথা শুনেছি, এবারের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীজি ম্যাচ ফিক্সিং করার চেষ্টা করছেন।" "৪০০ আসন পার করার স্লোগান দিয়েছে বিজেপি। ইভিএম-এ কারচুপি এবং ম্যাচ ফিক্সিং ছাড়া ওরা ১৮০ পার করতে পারবে না। আম্পায়ার ওদের। আমাদের দু’জন খেলোয়াড়কে (অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং হেমন্ত সোরেন) জেলে পাঠানো হয়েছে।”

 

আয়কর দফতরের পাঠানো নোটিশ অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের বকেয়া আয়করের পরিমাণ সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাদের একাধিক অ্যাকাউন্ট আগেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের আর্থিকভাবে পঙ্গু করা হচ্ছে। অথচ নির্বাচনী বন্ড থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পকেটে ভরেছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, সোমবার নির্বাচনী আবহে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে আয়কর দফতর।

 

অন্যদিকে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল এবং হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেন একে অন্যের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী সরকারকে। দু'জনেই অভিযোগ করেছেন, ‘মিথ্যা অভিযোগে’ তাদের স্বামীদের জেলে পাঠানো হয়েছে। রবিবার তৃণমূলের প্রতিনিধিত্বকারী ডেরেক ও’ব্রায়ান দাবি করেন এটা বিজেপির সঙ্গে ভারতীয় গণতন্ত্রের লড়াই। মঞ্চের দু’টি ফাঁকা চেয়ারের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আমরা দুটো আসন ফাঁকা রেখেছি। মাননীয় কেজরীওয়ালজি এবং মাননীয় সোরেনজি আপনারা আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন।”

 

বিরোধী শিবিরে মতপার্থক্য

বিজেপির সঙ্গে সমবেত ভাবে লড়ার উদ্দেশ্যে তৈরি ‘ইন্ডিয়া জোট'-এর টালমাটাল অবস্থা সাম্প্রতিককালে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী জোটে ‘ঐক্যের অভাব’ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। সেই চিত্র আরও স্পষ্ট হয়ে যায় কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার’ সময়। তৃণমূল-সহ ইন্ডিয়া জোটে সামিল একাধিক শরিক দল রাহুল গান্ধীর এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকে।

 

গত ১৭ মার্চ মুম্বইয়ে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় বিরোধী ঐক্যের ছবি তুলে ধরার চেষ্টা হলেও, সেখানে তৃণমূল এবং বাম দলগুলি ছিল না। বিভিন্ন রাজ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে মতপার্থক্যই এর প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়। তবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের পর সেই ছবি কিছুটা হলেও বদলেছে। তার গ্রেফতারির পরেই এক সুরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছিল বিরোধী দলগুলি। রামলীলা ময়দানের সভাতেও সেই ছবি ধরা পড়েছে।

 

জাতীয় স্তর এবং আঞ্চলিক স্তরে ছবিটা যে আলাদা সে কথা তৃণমূল অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে আসন নিয়ে কোনও মতেই সমঝোতাতে যাবে না। নদীয়ার ধুবুলিয়াতে এক সমাবেশে মমতা ব্যানার্জী আবারও বলেছেন, “মনে রাখবেন সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া।” তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি একলাই লড়ছেন। আসন সমঝোতা নিয়ে মতপার্থক্য দেখা গিয়েছে অন্য রাজ্যেও। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচনী ময়দানে ‘একতা’ দেখাতে পারবে কি ইন্ডিয়া জোট?

 

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

রাজনৈতিক বিশ্লেষক শিখা মুখার্জি বলেন, “এখানে একাধিক বিষয় রয়েছে। প্রথম হল অরবিন্দ কেজরিওয়াল, হেমন্ত সোরেন এবং অন্যান্য দলের বড় বড় নেতাদের গ্রেফতার হওয়া অথবা কংগ্রেসেকে আয়কর নোটিস পাঠানোর মতো বিষয়, যা ঠিক ভোটের আগেই ঘটছে। দ্বিতীয় বিষয়টি হল, যেখানে আসন সমঝোতা হয়নি ইন্ডিয়া জোটের উপর সেটার প্রভাব।” তবে কয়েকটি বিষয়ে ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা একমত।

 

“ইডি, সিবিআই এবং আয়করের মতো ইস্যুতে শরিকরা একমত। কংগ্রেসের মতো একটি দলের বিরুদ্ধে যখন তারা আয়করের নোটিস পাঠিয়েছে তখন অন্যান্য দলগুলিকেও তারা নিশানা করবে এই বিষয়টা স্পষ্ট। এটা টার্গেটেড আট্যাক।” “ভোটে লড়তে গেলে টাকা লাগে। প্রশ্ন উঠেছিল বিজেপি নির্বাচনী বন্ড মারফত কী ভাবে এই বিপুল অর্থ পেল।”

 

একাধিক ক্ষেত্রে ইডির কর্মকর্তাদের অভিযানের পর কয়েকটি সংস্থার কেনা বিপুল পরিমাণ নির্বাচনী বন্ড যা বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে, সে প্রসঙ্গও তুলেছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষক শিখা মুখার্জির মতে, “এখন বিজেপি প্রমাণ করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস হল এমন একটা দল যারা টাকা লুঠ করে আয়কর দেয়নি।” অন্যদিকে, দলের বড় নেতা বা মন্ত্রীদের গ্রেফতার করার পিছনেও নির্বাচনী সমীকরণ রয়েছে বলে ব্যখ্যা করেছেন তিনি।

 

তার কথায়, “ছোট দলগুলিতে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যাতে কেউ না থাকে সেটাও সুনিশ্চিত করতে চায় বিজেপি। ছোট দলগুলিতে দু-একজন বড় নেতার অনুপস্থিতিতে দলে বিকল্প নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়াটা মুশকিল, কারণ ছোট দলগুলি সেইভাবে তৈরিই নয়। এটা আসলে একটা ‘পাওয়ার ট্যাকটিক্স’, ভয় পাওয়ানোর পন্থা।”

 

এবার দ্বিতীয় বিষয় হল আসনের ভাগ। “যেমন পাঞ্জাবে কংগ্রেসের সঙ্গে আপ সিট ভাগ করতে চায়নি। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস করতে পারেনি এবং বাম-কংগ্রেসের একটা বোঝাপড়া হয়েছে”, বলছিলেন শিখা মুখার্জি।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী আবার বলছেন, “বিষয়টা হল ইন্ডিয়া জোটে যে দলগুলি আন্তরিক ভাবে সামিল ছিল তাদের সঙ্গে জোট ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। কিন্তু কয়েকটি দল যাদের সঙ্গে এই জোট সম্ভব হয়নি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারা আদৌ তারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চায় কি না।”

 

“গতকাল দিল্লির সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সামিল হননি। তারা এই ইন্ডিয়া জোটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নিয়েও বিশেষ সচেষ্ট হননি।" "এদিকে জোট বিহার, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে যেখানে যেখানে জোট হওয়ার সেখানে হয়ে গেছে। এখন নতুন করে কোনও জোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই”, বলছেন মি চক্রবর্তী।

 

নির্বাচনী সমীকরণ

ভোটে আসন ভাগের ক্ষেত্রে প্রতিটি দলের নিজস্ব অঙ্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিখা মুখার্জি । “অঙ্কটা হল একা লড়লে বেশি সিট জিতব। এই সিটগুলো কোনও মতেই বিজেপির পক্ষে যাবে না, এমনটাই দলগুলির যুক্তি।”

 

“প্রতিটা রাজ্যে এইটা একটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জোটের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিজেপি বিরোধী ভোট যাতে ভাগ না হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সেটা তিন ভাগে ভাগ হচ্ছে। পাঞ্জাবে আপ, অকালি দল এবং কংগ্রেস তিন দলের মধ্যে ভাগ হচ্ছে”, বলেছেন শিখা মুখার্জি।

 

তার কথায়, “অনেক রাজ্যে যেখানে আসন সমঝোতা হয়নি, ফ্রেন্ডলি ফাইটের প্রসঙ্গ এসেছে সেখানে আঞ্চলিক দলগুলো একরকম অঙ্ক কষেছে, আবার জাতীয় স্তরের দলগুলোও নিজেদের মত হিসাব কষেছে।"

 

"ফলে এখন দেখতে হবে সত্যি সত্যই লাভ হল, না কি ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে ইগোর সমস্যা হল, কিংবা বিরোধী জোট শক্ত হওয়ার ফলে বিজেপির ক্ষতি হল। এই মুহূর্তে এটা কিন্তু মতামত মাত্র, এখনই কিছু নির্দিষ্ট ভাবে বলা যাবে না।”

 

তবে বিজেপি সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে একটা রাজনৈতিক আবহ তৈরি হচ্ছে যার প্রভাব ভোটারদের একাংশের মধ্যে দেখা যেতে পারে বলেও মনে করেন অধ্যাপক ড. বিশ্বনাথ চক্রবর্তী।

 

“একটা রাজনৈতিক আবহ তৈরি হচ্ছে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের নিশানা করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে কিন্তু তার নিজের দলে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাদের কিছু করছে না। এই ভাবনাটা মানুষের মনে দানা বাঁধছে, বিশেষত শিক্ষিত শহুরে মানুষের মধ্যে।”

 

“তবে, বিরোধীরা এর কতটা লভ্যাংশ পাবে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। কিন্তু হেমন্ত সোরেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার, এবং তদন্তের নাম করে ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করা, বিরোধীদের মনোবল ভাঙা এবং তাদের নিশানা করার মতো অন্যায় বিষয়গুলিকে নিয়ে চিন্তা ভোটারদের মধ্যে দানা বাঁধছে।”

 

স্থান এবং সময় এই দুটোই কিন্তু এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেন তিনি।

 

“কারণ নির্বাচনের আগেই নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছেন যা শুধুমাত্র ওই সংস্থার কার্যকারিতা এবং সততা নিয়ে প্রশ্নই তুলছে না, বিরোধীদেরও সুযোগ করে দিচ্ছে। তারা বলতে পারছে মোদী সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে নয়, বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়তে চায়।এই বিষয়গুলো শহুরে, শিক্ষিত মানুষ বুঝতে পারছেন।”

 

একই সঙ্গে বলেছেন, “এর ফলে সংখ্যালঘু ভোটও কিন্তু একত্রিত হবে এবং এর প্রভাব ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে যাবে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে।” সূত্র: বিবিসি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

তুরাগ থানা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেলোয়ার গ্রেফতার

তুরাগ থানা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেলোয়ার গ্রেফতার

স্যান্টনারের তোপে এবার ১৫৬ রানে গুটিয়ে গেল ভারত

স্যান্টনারের তোপে এবার ১৫৬ রানে গুটিয়ে গেল ভারত

কালিয়াকৈরে শশুরবাড়িতে জামাইকে হত্যার অভিযোগ

কালিয়াকৈরে শশুরবাড়িতে জামাইকে হত্যার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার বিজয়নগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান'সহ আ:লীগ নেতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার বিজয়নগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান'সহ আ:লীগ নেতা

এবার সউদী আরবে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

এবার সউদী আরবে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

ট্রাম্পকে জেতাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা দিলেন ইলন মাস্ক

ট্রাম্পকে জেতাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা দিলেন ইলন মাস্ক

খুবি কেন্দ্রে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৭১ দশমিক ৮১ শতাংশ

খুবি কেন্দ্রে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৭১ দশমিক ৮১ শতাংশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও ৫ প্রসিকিউটর নিয়োগ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও ৫ প্রসিকিউটর নিয়োগ

সাভারে আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত ও আহতদের খোঁজ নিলেন জাবির প্রো-ভিসি

সাভারে আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত ও আহতদের খোঁজ নিলেন জাবির প্রো-ভিসি

দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনে উ.কোরিয়ার বেলুন থেকে আবর্জনা নিক্ষেপ

দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনে উ.কোরিয়ার বেলুন থেকে আবর্জনা নিক্ষেপ

গুলিস্তানে দুই বাসের চাপায় ট্রাভেল এজেন্সির মালিক নিহত

গুলিস্তানে দুই বাসের চাপায় ট্রাভেল এজেন্সির মালিক নিহত

বর্তমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব না: মাহমুদুর রহমান

বর্তমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব না: মাহমুদুর রহমান

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় হাতি মৃত্যুর ঘটনায় লোকোমাস্টার বরখাস্ত

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় হাতি মৃত্যুর ঘটনায় লোকোমাস্টার বরখাস্ত

রাজনৈতিক সমস্যার রাজনীতিবিদদেরই সমাধান করতে হবে : গয়েশ্বর

রাজনৈতিক সমস্যার রাজনীতিবিদদেরই সমাধান করতে হবে : গয়েশ্বর

হলে মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, বাইরে অপেক্ষারত মায়ের মৃত্যু

হলে মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, বাইরে অপেক্ষারত মায়ের মৃত্যু

মাদক সেবনরত অবস্থায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ৭ নেতাকে সাজা

মাদক সেবনরত অবস্থায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ৭ নেতাকে সাজা

ট্রামির প্রভাবে আকস্মিক বন্যায় ফিলিপাইনে নিহত ৪০, বাস্তুচ্যুত ১০ হাজার মানুষ

ট্রামির প্রভাবে আকস্মিক বন্যায় ফিলিপাইনে নিহত ৪০, বাস্তুচ্যুত ১০ হাজার মানুষ

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট সচল রাখতে ড্রেজিং শুরু

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট সচল রাখতে ড্রেজিং শুরু

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার-৪

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার-৪

রামগড়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযান

রামগড়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযান