অস্ট্রেলিয়ার গির্জায় হামলাকারীর আচরণে উগ্রবাদ ছিল না
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭ এএম
সিডনির একটি গির্জার অ্যাসিরিয়ান বিশপকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার কিশোরের মধ্যে আগে উগ্রবাদের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন তার বাবা।
সোমবার (১৫ এপ্রিল ) সন্ধ্যার এ হামলায় অ্যাসিরিয়ান ক্রাইস্ট দ্য গুড শেফার্ড গির্জার বিশপ মার মারি ইমানুয়েল আহত হন। সন্দেহভাজন আক্রমণকারীরা ধর্মীয় উগ্রবাদ দ্বারা অনুপ্রাণিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলার পরপর জরুরি পরিষেবার কর্মীদের উপর হামলা চালানো লোকদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
লেবানিজ মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের সচিব গামেল খেইর রয়টার্সকে বলেছেন, অভিযুক্ত ছেলেটির বাবা তার ছেলের মধ্যে মৌলবাদের কোনো লক্ষণ দেখেননি বলে দাবি করেন। গামেল খেইর বলেন ‘‘অভিযুক্ত ছেলেটির বাবা জানান তার ছেলের মধ্যে প্রতিবাদী মনোভাব ছাড়া আর কোনো লক্ষণ ছিল না।''
গামেল জানান, সোমবার নিজেদের বাড়ি ছেড়ে অভিযুক্তের পরিবার স্থানীয় এক মসজিদে আশ্রয় নেয়ার সময় পরিবারটির সঙ্গে তাদের কথা হয়। সিডনি পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত হামলাকারীর পরিবার প্রতিশোধের ভয়ে সাময়িকভাবে তাদের পশ্চিম সিডনির বাড়ি থেকে অন্যত্র থাকছে।
ছুরিকাঘাতের ঘটনা অ্যাসিরিয়ান সম্প্রদায়ের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। অ্যাসিরিয়ান সম্প্রদায় মূলত মধ্যপ্রাচ্যের খ্রিস্টান ধর্ম অনুসারী লোকজন। তাদের অনেকে বিশ্বাসের কারণে মাতৃভূমি থেকে পালিয়ে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ৪২ হাজার অ্যাসিরিয়ান জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪০% গির্জার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে বসবাস করেন।
সম্পূর্ণ পরিচয় প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক মারিয়া জানান তার পরিবার ১৯৯৩ সালে ইরাক থেকে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসে। তিনি বলেন, ‘‘এটা খুবই ভয়াবহ। খ্রিস্টান হওয়ার কারণে ইরাকে অ্যাসিরিয়ান সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের জন্য আমার পরিবার এখানে চলে আসে।''
মারিয়া আরও বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্বাসের উপর এই আক্রমণ, এটা আমাদের অতীত স্মৃতিকে আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছে।'' শহরের মুসলিম সম্প্রদায়ও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
লেবানিজ মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, সোমবার রাতে সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বৃহৎ লাকেম্বা মসজিদ আগুনের বোমা হামলার হুমকি পেয়েছে। গামেল খের জানান, ‘‘মসজিদটি রক্ষার জন্য দুজন নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে।''
শনিবার (১৩ এপ্রিল) বন্ডি সৈকতের কাছে একটি বিপণিবিতানে ছুরিকাঘাতে ছয়জন নিহত হওয়ার তিন দিনের মধ্যে গির্জার ঘটনাটি ঘটে।
পশ্চিম সিডনির উপকণ্ঠে সোমবারের হামলার পর গির্জার বাইরে পুলিশ ও ক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেসময় ক্ষুদ্ধ জনতা সন্দেহভাজন হামলাকারীকে তাদের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানায়।
পুলিশ সংঘর্ষের জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করছে বলে জানিয়েছেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের পুলিশ কমিশনার কারেন ওয়েব। এবিসি রেডিওকে ওয়েব বলেন, হামলাকারীদের শনাক্ত করার জন্য সকল ভিডিও ফুটেজ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নানুপুর ওবাইদিয়া মাদ্রাসায় খতমে বুখারী অনুষ্ঠিত
চকরিয়ায় গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় ঘাতক স্বামী গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ফের বিএসএফের হানা, রুখে দাঁড়িয়েছে হাজারো গ্রামবাসী
রাজনৈতিক অঙ্গনকে দুর্বৃত্তমুক্ত করতে হবে : ড. বদিউল আলম
কুষ্টিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকালে অস্ত্র-গুলিসহ আটক ২
১৯ উইকেট পতনের দিনে এগিয়ে পাকিস্তান
আল্লাহর দয়ায় পা ভাঙেনি: শাওন
মাইজভান্ডার দরবার শরীফ জেয়ারতে প্রধান বিচারপতি
জবিস্থ ফেনী জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নেতৃত্বে শ্রাবণ -আরিফ
টিউলিপের পদত্যাগ ছিল অবধারিত
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
সীমান্তের ঘটনা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছে বিএসএফ
মুসলিম বিশ্বে অনৈক্যের কারণেই গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল : মাহমুদুর রহমান
আ’লীগ সাংবাদিকসহ প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ করেছিল: সাদিক রিয়াজ
যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন
জামায়াতকে কোন ইসলামী দল বলে মনে করি না: আমীরে হেফাজত
রুয়েটের ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
কালীগঞ্জে ছাত্রদল সভাপতি মবিন খানের স্মরণ সভা
একমাত্র সঞ্জয়ই দোষী, সাজা ঘোষণা সোমবার
চাঁদাবাজ, দখলবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে: ডা. শফিকুর রহমান