দীর্ঘক্ষণ রোদে রেখে ১ মাসের সন্তানকে হত্যা, ৮ বছর জেল রাশিয়ান ইনফ্লুয়েন্সারের
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
রোদ পোহানোর নামে নিজের ১ মাসের সন্তানকে হত্যা করল বাবা। প্রত্যেক মানুষই চান তাদের সন্তান মানুষের মতো মানুষ হোক, বিশেষ প্রতিভার অধিকারী হোক। কিন্ত তা বলে সন্তান কে ক্ষমতাশালী করার জন্যে ঘন্টার পর ঘন্টা রেখে দেবে। এরকম অমানবিক উদাহরণের দর্শন পেয়েছেন কখনও? সূর্যের রোদে বড়দেরই বেশিক্ষণ থাকলে মৃত্যু হতে পারে। সেখানে তো মাত্র ১ মাসের দুধের শিশু? ব্যাপারটা কি?
সম্প্রতি আদালতে ছেলেকে হত্যার কথা শিকার করে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত হয়েছেন অভিযুক্ত রাশিয়ান ইনফ্লুয়েন্সার। চলুন ঘটনাটি খোলাসা করা যাক! অভিযুক্ত প্রভাবশালী ম্যাক্সিম লিউতি, তার ১ মাসের সন্তানকে অতিমানবীয় অর্থাৎ ঈশ্বরের মতো ক্ষমতাবান বানানোর জন্যে সূর্যের আলোতে দীর্ঘক্ষণ রেখে দিয়েছিল।
তিনি ছেলেকে অতিমানবীয় বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, শিশুটি অপুষ্টি এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়েই মারা যায়। এই বিষয়টি অভিযুক্ত নিজেই শিকার করেছেন। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, তার ছেলে কসমসকে বাড়িতেই জন্ম দিয়েছিল কসমসের মা ওকসানা। পরবর্তীকালে, লিউটিই কঠোরভাবে ডায়েট শুরু করেন, নিজের আধ্যাত্মিক শক্তি বাড়ানোর জন্য। তাই তিনি তার স্ত্রীকে জোর করত, যাতে তার বাচ্চা না খায়। সূর্যের আলো খাইয়ে তাকে বড় করতে চেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
কিন্তু ওকসানা তার প্রেমিকের কথা শুনতেন না। গোপনে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতেন। এরপর প্রভাবশালী তার শিশুর উপর দৈবিক শক্তি পরীক্ষা করার জন্যে সূর্যের আলোতে রাখতে শুরু করে। এবং ছেলেকে অতি শক্তিশালী বানানোর জন্যে তাকে অধিক ঠান্ডা পানিতে গোসল করাতে শুরু করে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিল লিউতির পরিবারের লোকজনও। কিন্তু তার দাপটে কিছু করতে পারতেন না কেউ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলেকে বাঁচাতে পারলেন না লিউতি ওসকানা।
সূর্যের প্রখর রোদে তপ্ত হয়ে মারা যায় তার ছেলে। দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে কসমস এতটাই অপুষ্টিতে ভুগছিল। যে গত বছরের ৮ মার্চ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই সে মারা যায়। চিকিত্সকরা ৩.৫ পাউন্ডের শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরেই লিউতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতে নিজের দোষ শিকার করার পর তাকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৯০০ পাউন্ড জরিমানা দেওয়া হয়েছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সিরিজে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ নিগারদের
ইরান এক্সপো’তে ১০০ দেশের প্রতিনিধি
কুবি শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
মে দিবসে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা
কলেজ শিক্ষকদের অনলাইনে বদলি আবেদন শুরু রোববার
মস্কো উৎসবে তিনটি পুরস্কার জিতেছে ইরানি চলচ্চিত্র “কোল্ড সাই”
সব জিনিসের দাম বাড়লেও কমেছে শ্রমিকের দাম : সাইফুল হক
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ
নাটোরে আইনজীবীসহ জামায়াতের ২০ নেতাকর্মী আটক
এবছর ৫ থেকে ৭টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা ইরানের
ন্যায্য পাওনা বঞ্চিত করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে
শ্রমিক স্বার্থ নিশ্চিতে ইসলামী শ্রমনীতি প্রণয়নের বিকল্প নেই
তীব্র তাপদাহে মরে ভেসে উঠল ২০০ মেট্রিক মাছ
কুমিল্লায় শিশু ঝুমুরের ধর্ষক ও হত্যাকারী গ্রেফতার, প্রেসব্রিফিংয়ে আবেগতাড়িত র্যাব অধিনায়ক
বঙ্গবন্ধু দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ : খাদ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে : প্রধান বিচারপতি
ফেনীতে চলন্ত সিএনজি উল্টে চালক নিহত
ভুল চিকিৎসার নাম করে চিকিৎসকদের উপর আক্রমণ মেনে নেয়া যায় না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পূর্ণিমা গণধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২৩ বছর পর গ্রেপ্তার