স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র মেনে নিলেই কেবল অস্ত্র সমর্পণ : হামাস নেতা

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম | আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-কাসাম ব্রিগেড বিলুপ্ত করে দেওয়া হবে। তবে শর্ত হলো, ইসরায়েলকে অবশ্যই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র মেনে নিতে হবে এবং এই রাষ্ট্রের সীমানা নির্ধারিত হবে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের আগের সীমান্ত অনুসারে।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে হামাসের পলিটব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে গতকাল বৃহস্পতিবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ইঙ্গিত দেন। এর আগে এপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হামাসের উপপ্রধান খলিল আল-হাইয়্যাও একই কথা বলেন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, হামাস নেতাদের এসব বক্তব্য গোষ্ঠীটির ইসরায়েলের প্রতি অবস্থান নরম করার ইঙ্গিত। এর আগে হামাস ইসরায়েল রাষ্ট্রের ধ্বংস চাইলেও বর্তমানে গোষ্ঠীটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে কথা বলছে। এমনকি প্রয়োজনে সশস্ত্র অবস্থান ত্যাগ করার কথাও বলছে।

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে হামাস সশস্ত্র পথ পরিত্যাগ করবে উল্লেখ করে বাসেম নাইম বলেন, ‘যদি জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে (ফিলিস্তিনি) শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের অধিকার সংরক্ষণ করা হয়, সে ক্ষেত্রে আল-কাসামকে (ভবিষ্যতে) জাতীয় সেনাবাহিনীতে একীভূত করা যেতে পারে।’

এর আগে খলিল আল-হাইয়্যা বলেন, ‘হামাস পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসরণ করে একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন এবং আন্তর্জাতিক রেজল্যুশন অনুযায়ী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন মেনে নেওয়া হলে হামাসের সামরিক শাখা বিলুপ্ত করা হবে।’

এদিকে, হামাসের এ দুই শীর্ষ নেতার বক্তব্যের পর ইসরায়েল বা ফাতাহ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে না ইসরায়েল হামাসের এই অবস্থানকে মেনে নেবে। কারণ, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েল একাধিকবার হামাসকে সমূলে বিনাশ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এমনকি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইসরায়েলের বর্তমান সরকারও ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসরণ করে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টি মেনে নিতে রাজি নয়।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

টেকনাফে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে স্কুল ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা

টেকনাফে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে স্কুল ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা

কুয়াকাটায় সড়ক সংস্কারের নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশালাকৃতির ১৫টি গাছ কর্তন, স্থানীয়দের ক্ষোভ

কুয়াকাটায় সড়ক সংস্কারের নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশালাকৃতির ১৫টি গাছ কর্তন, স্থানীয়দের ক্ষোভ

কুড়িগ্রামে ফিলিস্তিনি পতাকার আদলে ঘুড়ি উড়িয়েছে একদল যুবক

কুড়িগ্রামে ফিলিস্তিনি পতাকার আদলে ঘুড়ি উড়িয়েছে একদল যুবক

নোয়াখালীতে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষকের দুই হাত ভেঙ্গে দিল কিশোর গ্যাং

নোয়াখালীতে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষকের দুই হাত ভেঙ্গে দিল কিশোর গ্যাং

এবার উপজেলা নির্বাচনে ভোটবিরোধী প্রচারণায় বিএনপি

এবার উপজেলা নির্বাচনে ভোটবিরোধী প্রচারণায় বিএনপি

সকল সেবা প্রত্যাশীদের সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে -প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

সকল সেবা প্রত্যাশীদের সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে -প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই : জনপ্রশাসনমন্ত্রী

চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই : জনপ্রশাসনমন্ত্রী

এবার সোনা ও বিদেশি মুদ্রার মামলায় খালাস গোল্ডেন মনির

এবার সোনা ও বিদেশি মুদ্রার মামলায় খালাস গোল্ডেন মনির

হোয়াইটওয়াশের দুয়ারে বাংলাদেশ

হোয়াইটওয়াশের দুয়ারে বাংলাদেশ

দৌলতখানে নেয়ামতপুর চরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত -৩০

দৌলতখানে নেয়ামতপুর চরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত -৩০

কুষ্টিয়ায় রহমতের বৃষ্টি

কুষ্টিয়ায় রহমতের বৃষ্টি

দেশে পুরুষ বেকার বেড়ে কমেছে নারী, যা বলছেন নেটিজেনরা

দেশে পুরুষ বেকার বেড়ে কমেছে নারী, যা বলছেন নেটিজেনরা

১৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই প্রবাসী

১৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই প্রবাসী

বিশ্বের নবম বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ ইরান

বিশ্বের নবম বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ ইরান

দেশে বিস্তৃত ইভি লাইনআপ উন্মোচন করলো মার্সিডিজ-বেঞ্জ

দেশে বিস্তৃত ইভি লাইনআপ উন্মোচন করলো মার্সিডিজ-বেঞ্জ

সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি : বাড়ছে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পরিমান

সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি : বাড়ছে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পরিমান

শম্ভুগঞ্জ ইউসি উচ বিদ্যালয়র সভাপতি মোক্তার হোসেনর বিরুদ্ধ দূর্নীতির অভিযাগ: ছয় সদস্যের পদত্যাগ

শম্ভুগঞ্জ ইউসি উচ বিদ্যালয়র সভাপতি মোক্তার হোসেনর বিরুদ্ধ দূর্নীতির অভিযাগ: ছয় সদস্যের পদত্যাগ

বজ্রপাতে মাদারীপুরে পৃথক স্থানে দুই জন নিহত

বজ্রপাতে মাদারীপুরে পৃথক স্থানে দুই জন নিহত

একটানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহে অতিষ্ট চুয়াডাঙ্গাবাসীর ভাগ্যে অবশেষে মিললো স্বস্তির শিলা বৃষ্টি

একটানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহে অতিষ্ট চুয়াডাঙ্গাবাসীর ভাগ্যে অবশেষে মিললো স্বস্তির শিলা বৃষ্টি

আমেরিকা ও ইউরোপের বহিষ্কৃত ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে ইরান

আমেরিকা ও ইউরোপের বহিষ্কৃত ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে ইরান