দুই পর্ব ভোটের পর যে কারণে বিজেপির কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫১ এএম | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫১ এএম
গরমের পারদ যত চড়ছে তত কমছে ভোটের হার। প্রথম পর্বেই ভোট কম পড়েছিল। আর গত শুক্রবার দ্বিতীয় পর্বে তো প্রথম পর্বের চেয়েও আট শতাংশ ভোট কম পড়েছে। যাতে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় বিজেপি নেতৃত্ব।
প্রথম দুটি দফায় দেশের মোট আসনের প্রায় ৩৫ শতাংশ আসনে ভোট হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ১৭টি আসন। এলাকাটি জাঠ ও মুসলিম অধ্যুষিত হওয়া সত্ত্বেও গতবার ১৭টির মধ্যে দশটি আসন জিতে নিতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। যে কারণে সার্বিক ভাবে উত্তরপ্রদেশে ভারো ফল করে দল। বিজেপি নেতৃত্ব খুব ভারো করেই জানেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে গেলে উত্তরপ্রদেশের আশিটি আসনের মধ্যে অন্তত সত্তরটিতে জিততে হবে দলকে। কিন্তু প্রথম দুটি পর্বে যেভাবে যাদব ও সংখ্যালঘু সমাজ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছে, তুলনায় গেরুয়া সমর্থকদের সেভাবে খুঁজে না পাওয়ায় অশনি সংকেত দেখছেন বিজেপি নেতারা। বিশেষত রাজপুত-ক্ষত্রিয় সমাজ যেভাবে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়েছে তা প্রশমিত হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
রাজপুতদের পাশে থাকার বার্তা দিতে রাজনাথ সিংহের ছেলে পঙ্কজ সিংহকে বিক্ষোভকারীদের কাছে পাঠিয়েছিল দল। কিন্তু তাতেও বিশেষ যে লাভ হয়নি তা গত শুক্রবারের ভোটেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেই মনে করছে দল। উত্তরপ্রদেশে এখন পাঁচ দফায় ভোট বাকি রয়েছে। রাজ্যের সবক’টি আসনে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ডাক দিয়েছে রাজপুত সমাজ। দ্রুত রাজপুতদের ওই ক্ষোভ সামলাতে না পারলে দলকে যে সেই মাসুল ভোটের বাক্সে গুণতে হবে তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
সমস্যা হলো কেবল উত্তরপ্রদেশেই নয়, রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, কার্যত গো-বলয়ের সব রাজ্যে বিজেপির উপরে ক্ষুব্ধ রাজপুত-ক্ষত্রিয় সমাজ। যাদের পাশে টানাই আগামী দিনে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের।
প্রথম দফা নির্বাচনে ভোটের হার কম দেখে আশঙ্কায় ভুগছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। দ্বিতীয় দফার পরে রীতিমতো অস্বস্তিতে কেন্দ্রের শাসক দল। প্রাথমিক ভাবে দল মনে করছে, দলের তৃণমূল স্তরের নেতৃত্বের একাংশ কাজ করছেন না। পাশাপাশি ভোটারদের উদাসীনতা এ বারের নির্বাচনে চোখে পড়ার মতো। চলতি নির্বাচনে মোদী ঝড় না থাকায় আমজনতা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিতে বেরুচ্ছেন না বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির। সে ক্ষেত্রে আগামী পর্বগুলোতে গেরুয়া সমর্থকদের কি ভাবে ভোটের লাইনে টেনে আনা যায় সেই সমাধান সূত্র খুঁজে বের করাই এখন প্রধান লক্ষ্য বিজেপির।
বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের বিশ্লেষণ, গত শুক্রবারের দিনটি গো-বলয়ের মানুষের কাছে শুভ দিন ছিল। বিবাহের দিন থাকায় বহু পরিবার ভোট দিতে ঘর থেকে বেরোয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই ভোটের হার কমেছে।
প্রথম পর্বের ভোটের আগে সেই অর্থে ভোটের প্রচারে হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গ উঠতে দেখা যায়নি। কিন্তু প্রথম দফায় ভোটের হার দেখে দ্বিতীয় দফার প্রচারে তীব্র মেরুকরণের পথে হাঁটেন নরেন্দ্র মোদী ও তার দলের নেতারা। কিন্তু তাতেও যে বিশেষ লাভ হয়েছে এমনটি অন্তত দ্বিতীয় পর্বের ভোটের পরে মনে করছে না দল। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে মেরুকরণের রাজনীতিই প্রাধান্য পাবে না কি মানুষকে পাশে নতুন কোনো প্রচারের পথে হাঁটবে বিজেপি সেটাই এখন দেখার। -আনন্দবাজার
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত