ভূগর্ভস্থ পানিরস্তর তলানিতে! বড় সংকটের মুখে গোটা দক্ষিণ ভারত
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৯ এএম | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৯ এএম
আগুনে গরমে পুড়ছে গোটা ভারত। ফাটছে মাটি। ভয়ংকর তাপপ্রবাহে শুকিয়ে যাচ্ছে খাল-বিল-নদী-পুকুর। গরম যত বাড়ছে, তত দেখা দিচ্ছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে একই পরিস্থিতি হলেও সবচেয়ে অস্বস্তিতে দক্ষিণ ভারত। কারণ সেখানে ভূগর্ভস্থ পারির স্তর ক্রমশ কমছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের প্রকাশিত রিপোর্টে সামনে এসেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ ভারতের জলাধারগুলির পানির স্তর ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। বিগত ১০ বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে কম।
প্রযুক্তির রাজধানী বেঙ্গালুরুর পানিসংকট এখন গোটা ভারতের জানা। সেখানে নাগরিকদের একাংশকে পানি কিনে খেতে হয়েছিল। এক বালতি পানির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল নাগরিকদের। এমনকি পানি নষ্ট বন্ধ করতে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল পৌরসভা। বর্তমানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বিপদের কালো মেঘ যে কাটেনি, তা বুঝিয়ে দিল কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের রিপোর্ট। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে তীব্র পানিসংকট দেখা দেবে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, কেরল এবং তামিলনাড়ুতে। কারণ স্পষ্ট।
দক্ষিণ ভারতের ৪২টি জলাধারে বর্তমানে মোট ৫৩.৩৩৪ বিলিয়ন বর্গ মিটার (বিসিএম) পানি থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে রয়েছে মোটে ৮.৮৬৫ বিসিএম। যা মোট ধারণ ক্ষমতার মাত্র ১৭ শতাংশ। গত বছর ছিল ২৯ শতাংশ। কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এর প্রভাব পড়বে দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কমতে থাকায় সেচ এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদন হোঁচোট খাবে। পাশাপাশি খাবার পানির সংকট দেখা দেবে।
কমিশনের রিপোর্টে বাংলা তথা পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যের জন্য আশার কথা বলা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলে মজুত পানির ভাণ্ডারে উন্নতি হয়েছে। সেখানে ২৩টি জলাধারের মোট ধারণ ক্ষমতা হল ২০.৪৩০ বিসিএম। বর্তমানে রয়েছে ৭.৮৮৯ বিসিএম। যা ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৩৯ শতাংশ। গতবছর যা ছিল ৩৪ শতাংশ। গুজরাট, মহারাষ্ট্র-সহ পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর এবং মধ্যাঞ্চলের জলাধার নিয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই অঞ্চলগুলিতে পানির স্তর আগের বছরের তুলনায় কমেছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রামগঞ্জে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধু আত্মহত্যা
বরিশালে ছাত্রলীগ মানেই ছিল আতঙ্ক
১ নভেম্বর থেকে পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে কঠোর মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট শুরু হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
গণ অধিকার পরিষদের উদ্যোগে স্বস্তির হাট
সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ
আশুলিয়ায় হত্যা মামলায় আসামিসহ গ্রেফতার ১০
রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করে নিজ শপথ ভঙ্গ করেছেন -ইসলামী আন্দোলন ঢাকা জেলা দক্ষিণ
এলডিপির নতুন চেয়ারম্যান সেলিম, মহাসচিব টিটু
মুসলমানদের জন্য ইসলামী রাজনীতি করা ফরজ -ড.সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী।
ঝিনাইদহে ২৮ আ’লীগ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর
ফ্যাসিবাদী আ.লীগ ও যুবলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে : অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন
বৃহত্তর যশোরে মাদরাসা শিক্ষার অন্যতম অগ্রদূত ছিলেন মাও: আব্দুল মতিন। -ড. আলতাফ হোসেন
খিলগাঁওয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ কর্মী গ্রেফতার
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
জর্জিয়ার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ড্রিম পার্টির জয়
ডোনেটস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরভস্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছে রুশ সেনা
জাতি গঠনের এমন সুযোগ নষ্ট হলে দেশ অনেক পিছিয়ে যাবে : ড. ইউনূস
ভুটানকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
ইবিতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে নতুন সভাপতির দায়িত্ব গ্রহন
৫ আগষ্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাতক্ষীরার সাংবাদিক অসীম বরণ চক্রবর্তী