ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

ইসরায়েলে কারাগারে থেকে উপন্যাস লিখে পুরস্কার জিতলেন ফিলিস্তিনি লেখক

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম

ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি অবস্থায় উপন্যাস লিখে আরব বিশ্বের কথাসাহিত্যের সম্মানজনক পুরস্কার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর অ্যারাবিক ফিকশন-২০২৪ জিতেছেন ফিলিস্তিনি লেখক বাসেম খান্দাকজি। তিনি ‘এ মাস্ক, দ্য কালার অব দ্য স্কাই’ উপন্যাসের জন্য এই পুরস্কার জিতেছেন।

বাসেম খান্দাকজি ২০০৪ সাল থেকে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী রয়েছেন। চলতি বছর ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর অ্যারাবিক ফিকশনের জন্য খান্দাকজিকে মনোনীত করেছে। তবে তিনি কারাগারে বন্দী থাকায় তার হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন রানা ইদ্রিস।

রানা ইদ্রিশ লেবাননের দার আল-আদাব প্রকাশনী সংস্থার প্রকাশক। রানা বাসেমের পক্ষ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

বাসেম খান্দাকজি তার উপন্যাসে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় অবস্থিত একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী-শিবিরে বসবাসকারী প্রত্নতাত্ত্বিক নূরের গল্প বলেছেন।

১৯৮৩ সালে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরের নাবলুসে জন্মগ্রহণ করেন খান্দাকজি। ২১ বছর বয়সে ২০০৪ সালে তাকে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি করা হয়। কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তিনি আল-কুদস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন এবং ‘ইসরায়েল স্টাডিজের’ ওপর একটি থিসিসও করেছেন। এ ছাড়া কয়েকটি কবিতা সংকলন ও উপন্যাস প্রকাশ করেছেন।

খান্দাকজি ২০২১ সালে এই বইটি লেখা শুরু করেন এবং সে বছরই শেষ করেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক সাক্ষাৎকারে খান্দাকজির ভাই জানান, তাঁর পরিবার চার মাস ধরে খান্দাকজির সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী অনেক ফিলিস্তিনি এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।

খান্দাকজির ভাই আরও জানান, উপন্যাসটি লেখা শুরু করার পর তিনি প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে প্রায় দুই পৃষ্ঠা লিখতেন। তবে প্রায়ই তাঁর লেখার কাগজপত্রগুলো তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নিত গার্ডরা এবং সেগুলো তারা ধ্বংস করে ফেলত।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত