গাজায় যুদ্ধাপরাধ, আইসিসি’র গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে আতঙ্কে ইসরাইলি নেতারা
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৬ এএম
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি রাজনৈতিক ও সামরিক নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির করতে যাচ্ছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইলের বিচার মন্ত্রণালয় এবং সেনার আইনজীবীরা এটি যাতে না ঘটে তার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোও পরোয়ানা জারি করতে বিলম্ব বা প্রতিরোধ করতে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর করিম খানকে বোঝানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এটা স্পষ্ট নয় যে, তারা কতটা সফল হয়েছে।
ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলছেন যে, তারা মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ হারজল হালেভির বিরুদ্ধে এ সপ্তাহের কোনো এক সময় পরোয়ানা দেয়া হবে। তাদের নিচের কর্মকর্তারা রেহাই পাবেন।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলার শুনানিকারী আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের বিপরীতে, আইসিসি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, রাশিয়া, ইরান এবং বেশিরভাগ আরব দেশের মতো, ইসরাইল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কর্তৃত্বকে স্বীকৃতি দেয় তবে আইসিসি নয়।
যদি পরোয়ানা জারি করা হয়, তাহলে প্রতিটি আইসিসি সদস্য রাষ্ট্র (মোট ১২৩) যদি আসামীরা তাদের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে তবে আসামীদের গ্রেপ্তার করে হেগের কাছে হস্তান্তর করতে বাধ্য। যদিও আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আপিল করার কোনো উপায় নেই, যে কোনো দেশ তাত্ত্বিকভাবে আদালতকে বলতে পারে যে, সে নিজেই মামলা পরিচালনা করছে।
সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রয় শনডর্ফের মতে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ হতে পারে। ‘এই ওয়ারেন্টগুলো ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে লঙ্ঘনকারী হিসাবে বিবেচিত দেশগুলির সাথে গোষ্ঠীভুক্ত করবে এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে অন্যান্য সমস্ত মামলার শীর্ষে আসবে,’ শনডর্ফ বলেছেন।
ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কখনও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়নি। কিন্তু ২০২৩ সালের মার্চ মাসে, আইসিসি ইউক্রেনে সম্ভাব্য রাশিয়ান যুদ্ধাপরাধের তদন্তের অংশ হিসাবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে একটি পরোয়ানা জারি করেছে। ফলস্বরূপ, পুতিন সেসব দেশে যেতে পারবেন না যেখানে তিনি মনে করেন যে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। সূত্র: হারেৎজ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রক্তে ভাসল তেল আবিব, হামলায় নিহত ৬, অসংখ্য আহত
অভিনেত্রী রাভিনার শরীরের গন্ধ কেন বিশেষ পছন্দ শাহরুখের?
ফরিদগঞ্জে আইনী জটিলতা পেরিয়ে আলোর মুখ দেখছে স্বপ্নের উটতলী সেতু
যশোরে স্বর্ণ মামলায় গোল্ড নাসিরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
ইনানাীর অবৈধ জেটি ভেঙে ফেলার দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান
বিমানবন্দর মহাসড়কে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ৩ শিক্ষার্থী আহত
ফুডপ্যান্ডার সাথে বেক্সকা’র চুক্তি
হালদা নদীতে অভিযান, ২৫০০ মিটার ঘেরাজাল জব্দ
বর্তমান সংবিধান ও রাষ্ট্রপতিকে রেখে দেশে সুস্থ নির্বাচন সম্ভব নয় ---মৌলভীবাজারে পীর সাহেব চরমোনাই
ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীদের ধরিয়ে দিলে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা কুবি সমন্বয়কের
যুক্তরাষ্ট্র কতটা গণতান্ত্রিক দেশ?
গোদাগাড়ীতে ফুটবলের ভিতর থেকে ২ কেটি ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে র্যাব-৫
‘স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স-২০২৪’ -এ লীড ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি.
কক্সবাজারে আরডিআরএস' সভায় বক্তারা নারী বলে অবহেলা করা চলবে না
পদ্মা ব্যাংকের ঋণ খেলাপি শফিকুল ইসলাম জুলহাস গ্রেপ্তার
নড়বড়ে পরিস্থিতিতে ভোট দিচ্ছে জাপান
ঢাকায় শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী নির্মাণ-আবাসন-বিদ্যুৎ মেলা
নৌ ও বিমান বাহিনী মানুষের আস্থার প্রতীক : প্রধান উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে ভরাটের ক্ষমতা দেয়ার বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
সংবিধানে নারীর সম-অধিকার সুরক্ষিত রয়েছে : মহিলা ও শিশু উপদেষ্টা