লেবাননে বন্দী হ্যানিবল গাদ্দাফির করুণ আর্তি, মুক্তি দাবি লিবিয়ার
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৭ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৭ এএম
লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পঞ্চম পুত্র হ্যানিবল গাদ্দাফিকে লেবাননের কারা হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে লিবিয়ার বর্তমান সরকার। সম্প্রতি লেবাননের একটি আন্ডারগ্রাউন্ড কারাগারে নিজের দুরবস্থার বর্ণনা করছেন- হ্যানিবলের এমন একটি ভিডিও প্রকাশের পর তাঁর মুক্তি দাবি করেছে লিবিয়া।
এ বিষয়ে সোমবার দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যানিবল গাদ্দাফি ২০১৫ সাল থেকে লেবাননের কারাগারে বন্দী আছেন। কারাগারে নিজের দুর্দশার জন্য অনশন করলে গত বছর তাঁকে অন্তত তিনবার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৭৮ সালে লিবিয়া সফরে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া লেবাননের একজন শিয়া ধর্মগুরুর বিষয়ে তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে হ্যানিবল বলছেন—যে সময়ে শিয়া ধর্মগুরু নিখোঁজ হয়েছিলেন, সেই সময়ে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২ বছর। ফলে এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানার কথা নয়। তাঁকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে।
লেবাননে আটক হ্যানিবলের বিষয়ে লিবিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় বলেছে, গাদ্দাফিকে অবশ্যই নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। কারণ যে মামলার জন্য তাঁকে আটক করা হয়েছে সেই ঘটনার সঙ্গে তাঁর যুক্ত থাকার সামান্যতম প্রমাণ নেই।
এ বিষয়ে লেবাননের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়ারও আশা করছে লিবিয়া।
গত সপ্তাহেই লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-জাদেদের প্রকাশিত একটি ফুটেজে হ্যানিবল বলেন, ‘আমি অপমানিত জীবনযাপন করছি। আমি একজন রাজনৈতিক বন্দী এবং আমার মামলাটি এমন একটি ফাইলের সঙ্গে সম্পর্কিত যে সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’
বহু বছর আগে নিখোঁজ শিয়া ধর্মগুরুর বিষয়ে হ্যানিবল বলেন, ‘আমার বাবা আমাকে জানিয়েছিলেন, ইমাম মুসা আল সদর লিবিয়া ছেড়ে রোমে চলে গেছেন এবং সেখানে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন।’
মুয়াম্মার গাদ্দাফির ৪২ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিপ্লব শুরু হলে তাঁর পুত্র হ্যানিবল ২০১১ সালে লিবিয়া ছেড়ে পালান। পরে তিনি সিরিয়ায় তাঁর লেবানিজ স্ত্রীর সঙ্গে আত্মগোপন করে ছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে একটি স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী তাঁকে অপহরণ করে লেবাননের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করেছিল, হ্যানিবলকে ভুয়া অভিযোগে বিচারের আগে আটকে রাখা হয়েছে।
গত বছর, লিবিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল সিদ্দিক আল সৌর তার লেবানিজ সমকক্ষের কাছে একটি অনুরোধ পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি হ্যানিবলকে বন্দী করে রাখার কারণ জানতে চেয়েছিলেন এবং তাঁকে লিবিয়ার কাছে হস্তান্তর কিংবা সিরিয়ায় যেতে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে লিবিয়ায় গিয়ে নিখোঁজ মুসা আল সদর আমাল আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কিত এবং লেবাননের শিয়া মুসলিম রাজনীতিতে প্রভাবশালী হিসেবে খ্যাত।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
‘ট্রামি’ আঘাতে লন্ডভন্ড ফিলিপাইনস, নিহত কমপক্ষে ১২৬
রক্তে ভাসল তেল আবিব, হামলায় নিহত ৬, অসংখ্য আহত
অভিনেত্রী রাভিনার শরীরের গন্ধ কেন বিশেষ পছন্দ শাহরুখের?
ফরিদগঞ্জে আইনী জটিলতা পেরিয়ে আলোর মুখ দেখছে স্বপ্নের উটতলী সেতু
যশোরে স্বর্ণ মামলায় গোল্ড নাসিরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
ইনানাীর অবৈধ জেটি ভেঙে ফেলার দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান
বিমানবন্দর মহাসড়কে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ৩ শিক্ষার্থী আহত
ফুডপ্যান্ডার সাথে বেক্সকা’র চুক্তি
হালদা নদীতে অভিযান, ২৫০০ মিটার ঘেরাজাল জব্দ
বর্তমান সংবিধান ও রাষ্ট্রপতিকে রেখে দেশে সুস্থ নির্বাচন সম্ভব নয় ---মৌলভীবাজারে পীর সাহেব চরমোনাই
ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীদের ধরিয়ে দিলে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা কুবি সমন্বয়কের
যুক্তরাষ্ট্র কতটা গণতান্ত্রিক দেশ?
গোদাগাড়ীতে ফুটবলের ভিতর থেকে ২ কেটি ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে র্যাব-৫
‘স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স-২০২৪’ -এ লীড ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি.
কক্সবাজারে আরডিআরএস' সভায় বক্তারা নারী বলে অবহেলা করা চলবে না
পদ্মা ব্যাংকের ঋণ খেলাপি শফিকুল ইসলাম জুলহাস গ্রেপ্তার
নড়বড়ে পরিস্থিতিতে ভোট দিচ্ছে জাপান
ঢাকায় শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী নির্মাণ-আবাসন-বিদ্যুৎ মেলা
নৌ ও বিমান বাহিনী মানুষের আস্থার প্রতীক : প্রধান উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে ভরাটের ক্ষমতা দেয়ার বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল