ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

‘ফিলিস্তিনপন্থী’ জেএনইউ! বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণ ‘প্রত্যাখ্যান’ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪০ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪০ পিএম

ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তার ছায়া পড়ল ভারতেও। গত কয়েকদিন ধরে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনপন্থী পোস্টার দিয়েছেন ক্যাম্পাসের একাধিক অংশে। তার মধ্যেই জেএনইউতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করলেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি।

 

সোমবার জেএনইউর স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে একটি আলোচনাসভায় যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় গারসেটিকে। ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক নিয়ে এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার কথা ছিল মার্কিন রাষ্ট্রদূতের। কিন্তু বিষয়টি মোটেই পছন্দ হয়নি ছাত্র সংসদের। গারসেটিকে আমন্ত্রণের বিরোধিতা করে বিবৃতি পেশ করা হয় সংসদের তরফে। সাফ জানিয়ে দেয়া হয়, ‘ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংঘাতে আমেরিকা সমর্থন করছে ইসরাইলকে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শের সঙ্গে এই আচরণ মোটেই খাপ খায় না। আমরা ফিলিস্তিনের পাশে আছি। নিপীড়ন আর অবিচারমুক্ত দুনিয়া গড়ার দাবি জানাচ্ছি।’

 

এই বিবৃতির পরেই জানা যায়, জেএনইউতে আসার আমন্ত্রণ আপাতত প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। কেন আচমকা পরিকল্পনা বদল, সেই নিয়েও বিস্তারিত খবর মেলেনি। আগামীদিনে গারসেটি জেএনইউ ক্যাম্পাসে যাবেন কিনা, সেই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গারসেটির আমন্ত্রণের ‘বিরোধিতা’ করে ছাত্র সংসদ যে বিবৃতি দিয়েছে সেই প্রসঙ্গেও কিছু বলা হয়নি।

 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। গত অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলের ফৌজ। জঙ্গি হামাসকে নিঃশেষ না করে অভিযান শেষ হবে না বলে সাফ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলের জন্য বিরাট অঙ্কের সামরিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করে আমেরিকা। তার পর থেকেই সেদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ফিলিস্তিনপন্থীদের প্রতিবাদ। মার্কিন সামরিক সহায়তা প্রত্যাহার থেকে শুরু করে গাজায় যুদ্ধবিরতি- নানা দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শিক্ষর্থীরা।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত