বিশ্বব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ
০৬ মে ২০২৪, ০৮:৫৫ এএম | আপডেট: ০৬ মে ২০২৪, ০৮:৫৫ এএম
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী বিক্ষোভ আরও কয়েকটি দেশে ছড়িয়েছে। ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধের দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়-গুলোয় চলমান বিক্ষোভ একপর্যায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই তালিকায় যুক্ত হয় ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত ও লেবাননের নাম। নতুন করে যেসব দেশে শিক্ষার্থী বিক্ষোভ ছড়িয়েছে, এর মধ্যে আছে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও মেক্সিকো।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ইসরায়েল-বিরোধী এই আন্দোলন সহসাই থামছে না। বরং ইউরোপের আরও কিছু দেশে এই আন্দোলন মাথাচাড়া দিতে পারে। ফ্রান্সের সবচেয়ে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম প্যারিসের সায়েন্সেস পো বিশ্ববিদ্যালয়। এটা ছাড়াও প্যারিসের সরবন বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্রিলের শেষ দিকে গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়।
২৯ এপ্রিল সরবন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীরা বলেন, সারা বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। আমরা বসে থাকতে পারি না। বিক্ষোভকারীদের ‘শেম’ ও ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। লুইস নামের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, কলাম্বিয়া, হার্ভার্ড, ইয়েলসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা এ বিক্ষোভ করছেন।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় ৫০টি তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ১০০ জনের মতো বিক্ষোভকারী রাতেও অবস্থান করছেন। গতকাল শুক্রবার সেখানে পাল্টা বিক্ষোভের আয়োজন করে ইহুদি গোষ্ঠীগুলো। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের বিরোধিতা করে ইহুদি গোষ্ঠীগুলো, এতে ক্যাম্পাসে অহেতুক উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে। যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকে ‘বর্ণবাদী’ ও ‘ইহুদি-বিদ্বেষী’ বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা পিটার ডুটন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর বর্তমানে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের বিরুদ্ধে দুর্নাম রটাতে নানা মিথের আশ্রয় নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অনেকে এ বিক্ষোভকে ‘ছাত্র ইন্তিফাদা’ ও ‘আমেকিান বসন্ত’ বলে উল্লেখ করছেন। তবে বিভিন্ন ভাষ্যকররা ফিলিস্তিনিদের পক্ষের এই ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন বিক্ষোভ আন্দোলনকে নানাভাবে অভিহিত করার চেষ্টা করছেন। এই বিক্ষোভ এখন বিশ্বের নজর কেড়েছে।
গত ১৭ এপ্রিল নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এবং গাজার জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে তাঁবুর শিবির স্থাপন করে বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর বিশ্বের ৫০টি দেশের শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিক্ষোভের বিস্তার ঘটেছে। এমনকি ভারতের নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ চলছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যার মধ্যে ১৩ হাজারই শিশু।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বার্সার কাছে হেরে খুবই হতাশ রিয়াল কোচ
১৯ জানুয়ারি ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলন সফল করার আহ্বান"
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সিলেটে কোরআন খতম ও দোয়া
অধ্যক্ষ হয়ে ভাগ্য বদলে যায় অনুতোষ কুমারের
দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে আন্দোলনে নামা হবে : কর্নেল অলি
ভুল এমনি এমনি হয় না, এর পেছনে কারো না কারো হাত থাকে : ইসি
সিলেটকে উড়িয়ে জয়ের ধারায় চট্টগ্রাম
ঈশ্বরগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সচিবালয়ের পথে জবির অনশনকারী শিক্ষার্থীরা
হাজীগঞ্জে ছেলের ঘুষিতে বাবার মৃত্যুর অভিযোগ
ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যা: চেয়ারম্যানকে আসামি করে মামলা
নরকিয়া ও এনগিডিকে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ. আফ্রিকা দল
বান্দরবানে দূর্বৃত্তের গুলিতে মার্মা নারী আহত
‘বিতর্ক ওঠায়’ পিএসসির ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল
পুলিশকে নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে : পুলিশ সুপার
কুয়াকাটায় জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৩
বাংলাদেশে থেকে ওরা পালিয়েছে- আল্লামা তারেক মনোয়ার
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ সমস্যা সমাধানে কঠোর পদক্ষেপ চাই
"স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ: আপামর জনতার ত্যাগের ফসল"
পূর্ব ইউক্রেনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া