ডোনেটস্ক পিপলস রিপাবলিক (ডিপিআর) তে বসবাসকারী এবং কর্মরত ফ্রান্সের একজন সামরিক সংবাদদাতা ক্রিস্টেল নিয়েন্ট নিশ্চিত যে, ফরাসি সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে কিয়েভ সরকারের পক্ষে ডনবাসে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে।

‘আমি প্রায় নিশ্চিত যে, ইউক্রেনীয় যুদ্ধক্ষেত্রে ফরাসি সৈন্য রয়েছে, কারণ অপ্রশিক্ষিত ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর পক্ষে সিজার অটোমেটিক হাউইটজার চালানো অসম্ভব হবে,’ তিনি একটি সাক্ষাতকারে বলেছেন। তিনি যোগ করেছেন যে, ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী তার সংহতি অভিযানের অংশ হিসাবে সামরিক অভিজ্ঞতাহীন লোকদের খসড়া তৈরি করছে এবং ‘মাত্র দুই বা তিন সপ্তাহের প্রশিক্ষণের পরে’ তাদের ফ্রন্টলাইনে পাঠাচ্ছে।

‘কার্যকরভাবে, তিন সপ্তাহের প্রশিক্ষণের পরে একটি স্ব-চালিত হাউইৎজার চালানো অসম্ভব। এর মানে হল যে অনেক বেশি অভিজ্ঞতার সাথে অন্য কেউ তাদের ব্যবহার করছে। স্পষ্টতই, তাদের সামরিক পটভূমি এবং এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের অভিজ্ঞতা থাকা উচিত: অন্য কথায়, ফরাসি কেরিয়ার অফিসার বা প্রাক্তন সৈন্য। তাই আমি বিশ্বাস করি যে, ফরাসি সৈন্যরা ইতিমধ্যেই যুদ্ধক্ষেত্রে রয়েছে,’ নিয়েন্ট বলেছিলেন।

তার মতে, ফ্রান্স বর্তমান ফরাসি নেতৃত্বের সম্ভাব্য রাজনৈতিক ঝুঁকি কমাতে ছোট দলে ইউক্রেনে তার সামরিক বাহিনী পাঠাচ্ছে। ‘এই মুহুর্তে, একটি বড় দল পাঠানো (ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল) ম্যাখোঁর জন্য একটি বড় ঝুঁকি হবে। যদি তারা একবারে মারা যায়, তাহলে তাকে পরিণতি ভোগ করতে হবে,’ তিনি বলেন, এটি খুঁজে পাওয়া অনেক সহজ। মাঝে মাঝে মৃত্যুর জন্য একটি যুক্তিসঙ্গত প্রকাশ্য ব্যাখ্যা।

‘তাই আমি মনে করি যে তিনি হাজারে হাজারে সামরিক বাহিনী পাঠাবেন না,’ সাংবাদিক যোগ করেছেন, ‘তাহলে, ফরাসি সরকার হাজার হাজার পরিবারকে কীভাবে বোঝাবে যেখানে তাদের প্রিয়জন আছে?’ এর আগে ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্টের সাথে একটি সাক্ষাতকারে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ স্বীকার করেছেন যে, কিয়েভের অনুরোধের ক্ষেত্রে ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে বিবেচনা করা সম্ভব হতে পারে যদি রুশ বাহিনী অনেক বেশি অগ্রসর হয়।’ সূত্র: তাস।