চীন-হাঙ্গেরি সম্পর্ক স্বর্ণযুগে প্রবেশ করেছে: সিএমজি

ইনকিলাব ডেস্ক

১১ মে ২০২৪, ১০:৫১ এএম | আপডেট: ১১ মে ২০২৪, ১০:৫১ এএম

প্রেসিডেন্ট সি’র এবারের সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওর্বান। হাঙ্গেরির স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সিএমজি-কে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।

কেন এ সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ বলা হচ্ছে? উত্তর হলো, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের এবারের হাঙ্গেরি সফর ফলপ্রসূ হয়েছে। সফরকালে দু’দেশের নেতৃবৃন্দ কর্তৃক প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে চীন-হাঙ্গারি সম্পর্ককে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক থেকে নতুন যুগে সার্বক্ষণিক সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এর মানে চীন ও হাঙ্গেরির পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা, কৌশলগত মতৈক্য, এবং সমন্বিত সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। বহির্বিশ্বের পরিবেশ যতই পরিবর্তিত হোক না কেন, চীন ও হাঙ্গেরির সম্পর্ক নানান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে। তা ছাড়া, উভয় পক্ষ ডজনের অধিক সহযোগিতা-দলিলও স্বাক্ষর করেছে, যা ভবিষ্যতে দু’দেশের সহযোগিতায় নতুন চালিকাশক্তি যোগাবে।

চলতি বছর চীন ও হাঙ্গেরির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭৫তম বার্ষিকী। বিগত ৭৫ বছরে দু’দেশ সমতার ভিত্তিতে একে অপরের সাথে আচরণ করেছে, পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে একে অপরকে সাহায্য করেছে, এবং সহযোগিতার মাধ্যমে জয়-জয় নীতি বাস্তবায়ন করেছে। ফলে, একে একে অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময়ের গল্প রচিত হয়েছে।

বাস্তবতা থেকে প্রমাণিত হয় যে, চীন ও হাঙ্গেরির সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো সময়ে প্রবেশ করেছে। তাই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মান এবং দু’দেশের সহযোগিতার বিষয় বৈচিত্র্যময় করে তোলা খুব প্রয়োজন। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট সি যে ধারাবাহিক পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তা পরবর্তীতে চীন ও হাঙ্গেরির সম্পর্কের উন্নয়নে দিক-নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।

রাজনৈতিক ব্যবস্থা ভিন্ন হলেও, চীন ও হাঙ্গেরি একে অপরের সেরা বন্ধু, পারস্পরিক কল্যাণ ও জয়-জয় সহযোগিতার ভালো অংশীদার। প্রধানমন্ত্রী ওর্বান আগেও বলেছিলেন যে, দশটিরও বেশি বছর আগে তিনি বুঝতে পারলেন যে, হাঙ্গেরির ভবিষ্যত অনেক মাত্রায় চীনের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের ওপর নির্ভর করে। বর্তমানে চীন ও হাঙ্গেরির সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশ দুটি নিজ নিজ আধুনিকায়নের প্রক্রিয়ায় আরও ঘনিষ্ঠভাবে এগিয়ে যাবে, অভিন্ন উন্নয়ন বাস্তবায়ন করবে, এবং আরো গভীরে চীন-মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর সহযোগিতায় নেতৃত্ব দেবে। চীন-হাঙ্গেরি সম্পর্ক এখন এক নতুন স্বর্ণযুগে প্রবেশের সূচনা করেছে।

বিভাগ : আন্তর্জাতিক