পশ্চিমবঙ্গে কতটা সফল হবে বাম-কংগ্রেস জোট?
৩১ মে ২০২৪, ১০:৪০ এএম | আপডেট: ৩১ মে ২০২৪, ১০:৪০ এএম
পশ্চিমবঙ্গে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা কিছু কেন্দ্রে প্রচারে ভালো সাড়া পেয়েছেন। অনেক টালবাহানার পর পশ্চিমবঙ্গে এবার বাম-কংগ্রেসের জোট হয়েছে। কয়েকটি আসন নিয়ে শেষ সময় পর্যন্ত টানাপোড়েন চলেছে। তারপরেও জোট হয়েছে।
আর সম্ভবত এই প্রথমবার বিভিন্ন কেন্দ্রে দেখা গেছে, নেতা তো বটেই, কংগ্রেস ও সিপিএমের সাধারণ কর্মীরাও একসঙ্গে প্রচার করছেন। একযোগে মিছিল করছেন। জনসভায় গেছেন। ভোটের দিন সিপিএম প্রার্থীর হয়ে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা কাজ করেছেন। আর কংগ্রেস প্রার্থীর জন্য সিপিএম। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, কলকাতা, উত্তরবঙ্গ সব জায়গায় এই ছবি দেখা গেছে।
মুর্শিদাবাদে মহম্মদ সেলিমের গাড়িতে কংগ্রেসের পতাকা বাঁধা ছিল। বহরমপুরে অধীর চৌধুরীর গাড়ি ও প্রচারেও ছিল সিপিএমের লাল পতাকা। যাদবপুর, দমদম, বসিরহাটসহ কয়েকটি কেন্দ্রে বাম প্রার্থীরা প্রচারে সাড়া পেয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, মানুষের মন বদল হচ্ছে।
বসিরহাটে ইছামতী নদীর ধারে সিপিএমের পার্টি অফিসে বসে সেখানকারবাম প্রার্থী ও সাবেক বিধায়ক নিরাপদ সর্দার বলছিলেন, ‘এই লোকসভা নির্বাচনে তিনটি মূল বিষয় রয়েছে। বিজেপি আবার ক্ষমতায় এলে সংবিধান বদল করতে পারে, তা রুখতে হবে। রাজনীতিতে ধর্মীয় মেরুকরণ বন্ধ করতে হবে এবং গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে।’
তার দাবি, ‘সীতারাম ইয়েচুরি তাই যখন কংগ্রেস নেতৃত্বকে বলেন, দলীয় স্বার্থ, লড়াই পরে দেখা যাবে। আগে আমরা এই তিনটি বিষয় নিয়ে একজোট হই, তখন কংগ্রেস তা মেনে নেয়। ফলে এবার জোট হয়েছে। কর্মীরা রাস্তায় নেমে একসঙ্গে কাজ করছে। সেটা পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র হয়েছে।’
কিন্তু একটা প্রশ্ন উঠছে। বাম আমলে সিপিএমের বিরুদ্ধে বারবার কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, তাদের কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে, অত্যাচার করা হয়েছে। সেরকম দুইটি দল একসঙ্গে এলে কি বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে?
দমদমে প্রার্থী হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। বিরাটির পা্টি অফিসে বসে সুজন বলছিলেন, ‘২০১১ সালে তৃণমূল ও কংগ্রেস মিলে সরকার গঠন করেছিল। এক বছরের মধ্যে কংগ্রেস আউট। এটা রাজনীতি। আজ যা হচ্ছে, কাল বা পরশু তা নাও হতে পারে। কংগ্রেস বুঝতে পারছে, তাদের ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে। এটা এখন তাদের কাছে স্পষ্ট।’
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান দীর্ঘদিন ধরে এই জোটের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তখন দলের নেতারা তার কথাকে আমল দেয়নি। মান্নানও ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘রাজনীতিতে পরিবর্তন হয়। যদি তৃণমূল ও বিজেপি আমাদের বড় শত্রু হয় এবং যখন আমরা নিজের ক্ষমতায় বিজেপি ও তৃণমূলকে পুরোপুরি হারাতে পারছি না, তখন বামেদের সঙ্গে হাত মেলাতে আপত্তি কোথায়?’
এবার একটা বিষয় দেখা গেছে, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সিপিএমের যুব প্রার্থীরা যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছেন। তাদের ঘিরে সেলফি তোলার হিড়িক দেখা গেছে। তাদের দেখতে, কথা শুনতে মানুষ আগ্রহী হয়েছেন। তার মানে এই নয় যে, যারা এসেছেন, তাদের সব ভোট সিপিএম প্রার্থী পাবেন। কিন্তু এই যে তাদের ঘিরে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, এটাও এবার নতুন বিষয়।
বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীদের সামনে যে অসুবিধাটা বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে, তাদের একেবারে নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে। গতবার তাদের সঙ্গে জয়ী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ছিল বিশাল। কোথাও দুই লাখ, কোথাও চার লাখ বা তারও বেশি। এই ব্যবধান চট করে ঘুচিয়ে ফেলা খুব সহজ কাজ নয়।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আরও দুটি শহর মুক্ত, দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে রুশ সেনা
রাজবাড়ীতে পুকুরের পানিতে ডুবে বাকপ্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
সিংগাইরে একই দিনে সকাল-বিকেল পৃথক স্থান থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার
সোনালী ব্যাংকের নতুন এমডি শওকত আলী খান
চেচনিয়ায় ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নেবেন কাদিরভ
কর্মকর্তারা বদলির তদবির করলেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা : ইসি
এলসি কমছে, ব্যবসা বাণিজ্যে স্থবিরতা
কাশ্মীরে আবার কেন অশান্তি বাড়ছে?
সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ ৪ দিনের রিমান্ডে
উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ছাত্রশিবিরকে হেয় করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
নর্ডিক রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে যুদ্ধের কৌশল নিয়ে আলোচনা জেলেনস্কির
টেকনাফে জনতার কর্তৃক অস্ত্রসহ ডাকাত আটক
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অফিস প্রয়োজন আছে কি না দেখছি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
দৌলতখানে ইউএনও পরিচয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে প্রতারণা
১৬ ঘণ্টা পর আরেক এএসআইয়ের লাশ উদ্ধার
৩২ রানে ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের
আন্তর্জাতিক ওটিটি প্লাটফর্মে মেহজাবীনের 'কাজল'
সাবেক আইনমন্ত্রীর ‘আইনি খড়গ’
শুরুতেই নড়বড়ে বাংলাদেশ
এই ভূখণ্ডে ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে দেয়ার অন্যতম ভিকটিম জাবি : শিবির সেক্রেটারি